পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১২ পৃথিবীর অর্থের বা সোনর বাজারে একটা অসামঞ্জস্ত ঘটিয়াছে। রপ্তানী অপেক্ষ আমদানী বেণী হইম্বা দেশের অর্থ যাহাতে বিদেশে চলিয়া না যায় তজ্জন্ত বিদেশী মালের উপর অতিরিক্ত শুষ্ক বসাইয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাধার স্বাক্ট করা হইতেছে ; অবস্থার চাপে পড়িয়া কতগুলি দেশ স্বর্ণমান পরিহার করিতে বাধ্য হওয়ায় এবং তাহার ফলে তাহাদের মাল বিদেশে স্বল্পমূল্যে বিক্রয়ের হুবিধা হওয়ায় পরম্পরের মধ্যে রেফারেসি ও বিরোধ বৃদ্ধি পাইতেছে। স্বর্ণমান পরিহারের অন্তর্নিহিত কারণ বিদূরিত করিয়া, ffo off food offol, general price level-o উন্নতি সাধন করিতে পারিলেই সমস্তার সমাধান হইতে পারে ইহা আমরা বুঝিতে পারিতেছি । কিন্তু কি করিয়া তাহা সম্ভব এক্ষণে ইহাই প্রশ্ন বা সমস্যা। সকলেই ব্যক্তিগত স্বার্থ দেখিলে যেমন কোন জাতির সমষ্টিগত স্বার্থ রক্ষা হইতে পারে না, সেইরূপ প্রত্যেক জাতিই যদি নিজ নিজ পাউণ্ড অব ফ্লেশ দাবি করে, তাহা হইলে পরস্পরসংশ্লিষ্ট এই আন্তর্জাতিক সমস্তার মীমাংসা হওয়া স্বদরপরাহত। দেশসমূহের মনোবৃত্তি যদি বিশ্বাস ও সাহসের সহিত জাতীয়তার ও বিশ্বমানবতার সমন্বয় করিতে না পারে তাহ হক্টলে মীমাংসা অসম্ভব এবং সম্মপে বিপ্লব ও নুতন হষ্টি এক প্রকার অবশ্যম্ভাবী। স্বর্ণমান যতদিন থাকিবে ততদিন নোটের পরিবৰ্ত্তে স্বর্ণ দিবার সর্বও থাকিবে এবং আইন করিয়া স্বর্ণের অতিরিক্ত নোটের পরিমাণ সীমাবদ্ধ করিতে হইবে । দুনিয়ার পণ্য বাড়িয়া চলিলেও দর চড়া রাখিবার জন্ত ইচ্ছামত নোট প্রচলন করা যাইবে না। সেইজন্য প্রশ্ন উঠিয়াছে, দুনিয়ার স্বর্ণ-তহবিল অনুধায়ী অর্থের প্রয়োজন নিৰ্দ্ধারিত ఏOBO না করিয়া দুনিয়ার পণ্যের পরিমাণ অনুসারে অর্থ প্রচলন করা সম্ভব কি-না। তাহা হইলে অর্থের পরিমাণ বাড়িবে, সঙ্গে সঙ্গে জিনিযের মূল্যও চড়িয়া যাইবে এবং সেই মূল্যের এত ঘন ঘন পরিবর্তন হষ্টবে না। কিন্তু তাহা করিতে হইলে দেশ-বিশেষের চেষ্টায় উহা সম্ভব হইতে পারে না। সকল জাতি মিলিয়। যদি একটি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করিতে পারে এবং সেট ব্যাঙ্ক যদি সকল জাতির সম্মতি অনুসারে পৃথিবীর পণ্যের পরিমাণ বুঝিয়া মুদ্রার পরিমাণ নিয়গ্নিত করিতে পারে, তবেষ্ট ইহা সম্ভব। ইহাতে স্বর্ণমান একেবারে পরিত্যাগ করিবার প্রয়োজন হষ্টবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নিদেৰ্শ অনুযায়ী স্বর্ণের অন্তপাতে প্রত্যেক দেশের নোট প্রচলন করিবার ক্ষমতা আরও কিছু বাড়াইয়৷ দিলেই চলিবে এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে হিসাব-নিকাশ হইয়া যে দেন দাড়াইবে শুধু তাহ স্বর্ণদ্বারা পরিশোধ করিলেই চলিবে। এমনও কেহ কেহ বলেন, দেন স্বর্ণ-দ্বারা পরিশোধ না করিয়া জিনিষের দ্বারা পরিশোধ করিবার অধিকার দিতে হইবে। আবার এরূপ মতও কেহ কেহ পোষণ করেন যে, পৃথিবীর সকল দেশের স্বর্ণ তহবিল আন্তর্জাতিক Toso ( League of Nations) fox on Jiro জিন্মায় থাকিবে এবং সেখানে প্রত্যেক দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী লেন-দেন হইয়া হিসাবে জমা-খরচ হইবে। কিন্তু এই পন্থা কায্যকরী করিতে হইলে প্রত্যেক দেশের স্বাতন্ত্র্য ও স্বেচ্ছাচুবৰ্ত্তিতাকে অনেকখানি লোপ করিয়া দিতে হইবে। বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য তাহার একান্ত আবশ্যকতা থাকিলেও সেই মনোভাবের নিতান্তই অভাব দেখা যাইতেছে। অথচ এত আলোচনা ও চিন্তার পরও অন্য কোন পন্থা নির্দেশ আজ পর্যন্তও হইল না।