পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\eરાઉ তুমি পরীক্ষায় প্রথম হয়েচ, তিনটে প্রাইজ পেয়েচ তাতে নগদ তিন শো টাকা পাবে। এ মাসের আর দশ দিন আছে । আসচে মাস থেকে কলেজে তোমার মাসিক একশো টাকা বেতনের কৰ্ম্ম হবে। যোগেশ নিশ্চিন্ত হইয়া বাড়ি ফিরিল। সরোজিনী সকল কথা শুনিয়া বলিল, -আমাদের যে জাতে ঠেলবে তার কি হবে ? —তার সহজ উপায় আছে । পারিতোষিকের টাকা আনিম| যোগেশ সরোজিনীর হাতে দিল। তাহাকে একটা বাক্স কিনিয়া দিয়াছিল। যোগেশ হাতিবাগানের টােলে গিয়া পণ্ডিতদিগের নিকট হইতে প্রায়শ্চিত্তের ব্যবস্থা লইল। প্রায়শ্চিত্ত করিয়া দুইজনে শুদ্ধ হইল। এ পর্য্যন্ত যোগেশ বাড়িতে চিঠিপত্র লেখে নাই। এখন লিখিল । উমেশকে প্রায়শ্চিত্তের কথা উল্লেখ করিয়া লিখিল, সমাজে ঠেলিবার আর কোন আশঙ্কা নাই। যে বেতন পাইবে তাহাতে কলিকাতায় খরচের অকুলান হইবে না। বেতন ছাড়া কলেজের অধ্যক্ষ তাহাকে বাহিরের রোগী দেখিতে অনুমতি দিয়াছেন। মাতাকে এবং সরলাকেও পত্র লিখিল । সরোজিনীও লিখিল । উমেশ চিঠি পড়িয়া বলিলেন, প্রায়শ্চিত্ত করেচে, বেশ হয়েচে । আর কেউ কিছু বলতে পারবে না। আর যোগেশের চাকরিও বেশ ভাল হমেচে । আহ্বাদে যোগেশের মামের চক্ষে জল আসিল। সরলার মুখে হাসি ধরে না। সে তাড়াতাড়ি চিঠির উত্তর লিখিতে বসিল। পিসিমা বলিলেন,- যোগেশ সোনার চাদ ছেলে। তার ভাবনা কিসের ? দেখিতে দেখিতে বামা মুঠার ভিতর টাকা বাজাইতে বাজাইতে আসিল । বলিল, দেখ, ম-ঠাকরণ, দাদাবাবু আমাকে দশটা টাকা পাঠিয়ে দিয়েচে । যোগেশের মা বলিলেন—বেশ করেচে, তুই তার কত উপকার করেচিস । রমেশ কলিকাতায় অল্প মাহিনার চাকরি করিত, একটা মেসে থাকিতু। যোগেশের মুখে সকল কথা শুনিয়া সে রাগিয়া অস্থির। বাপকে কড়া করিয়া চিঠি লিখিতে যায়, যোগেশ প্রবাসী SOBO তাহাকে বুঝাইয়া থামাইল। কহিল, এতে রাগের কোন কথা নেই। আমাদের এখনও অনেক কুসংস্কার অাছে, এ তারইর ফল। জ্যাঠামশায়ের কোন দোষ নেই। আমি এখানে একটু গুছিয়ে নি, তার পর তুমি আমার বাড়িতে এসে থেকে, দেশ থেকেও সবাইকে নিয়ে আসব। যোগেশ কলেজে কৰ্ম্ম পাইতেই বাহিরের রোগী যোগেশের বাড়ি আসিতে আরম্ভ করিল। সে যেমন অস্ত্রচিকিৎসাক্ষ দক্ষ, রোগনির্ণয় করিয়া ঔষধের ব্যবস্থা করিতেও সেইরূপ পটু ৷ কলেজের অধ্যক্ষ ও অপর শিক্ষকেরা তাহার কর্ণের বিশেষ প্রশংসা করিতেন। কয়েক মাসের মধ্যেই তাকার পসার এত বাড়িয়া গেল যে, কলেজের কৰ্ম্ম করা তাহার পক্ষে অসম্ভব হইয়া উঠিল। ছয় মাস পরে সে কৰ্ম্ম ত্যাগ করিল। - যোগেশ বড় রাস্তার উপরে বড় বাড়ি ভাড়া করিল। নিজের গাড়ী করিল। সকাল বেল বাড়িতে ঘণ্টা-দুই রোগী দেখিত, তাহার পর সমস্ত দিন ও খানিক রাত্রি পর্যন্ত গাড়িতে ঘুরিয়া বেড়াইত। দুপুর বেলা আহার বিশ্রামের জন্য দুই-তিন ঘণ্টার অধিক সময় পাইত না। বাড়ীতে ফিরিয়া দুই পকেট হইতে মুঠ মুঠ টাকা বাহির করিয়া সরোজিনীর হাতে দিত। সরোজিনী লোহার সিন্দুকে টাকা তুলিয়৷ রাথিত। সরোজিনীর অঙ্গে নুতন অলঙ্কার উঠিল । বাড়িতে পাচক, দাস, দাসী নিযুক্ত হইল। মাস-কক্ষেকের মধ্যেই সরোজিনী একটা মস্ত সংসারের গৃহিণী হইয়৷ ਚੋਠਿੰਗ | אשי নৃতন বাড়িতে গিয়াই যোগেশ রমেশকে নিজের বাড়িতে লইয়। আসিয়াছিল। কিছু দিন পরে উমেশকে টাকা পাঠাষ্টয়া দিয়া বাড়ির সকলকে কলিকাতায় আসিতে লিখিল । তাহার আসিলে ষ্টেশনে গিয়া তাহাদিগকে বাড়ি লইয়া আসিল । , বাড়ির গাড়ী দেখিয় উমেশ বলিলেন,– এ তোমার নিজের গাড়ী ? যোগেশ কহিল,—আজ্ঞ ই । আমাকে সারা দিন ঘুরে বেড়াতে হয় । বাড়িতে উমেশের আলাদা বৈঠকখানা। তিনি আসিয়া বসিলে চাকর রূপাবধানো হকায় তামাক আনিয়া দিল। गरबांजिनैौ श्वासर्फ़ौब्र नाहब शंठ निब्रां नभकांब्र कब्रिहण