পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছায়৷ ঐস্বশীলকুমার দে হৃদয়-বীণাতারের যেন স্পন্দ জীবন-শতদলের যেন গন্ধ মৃরতি লভি উঠিল কবে ফুটি', মুগ্ধ করি আমার জাখি দুটি ; প্রাণের মাঝে অজানা কোন গানের যেন ছন্দ । ঘেরিয়া রহে মধুর তা’র মিনতি, মৌনে-ঢাকা প্রাণের বেন প্ৰণতি ; পক্ষ্মনত চক্ষে রহে লিখা অতল কালো আলোর যেন শিখ, তিমিরে-হারা ভাদরে ভর-মেঘের যেন আনতি । পাদপ-পাদে দেখেছি ছায়া লগ্ন, ভড়াগ-বুকে জড়ায়ে আছে ময় ; কায়া ত নাই, তেমনি যেন ছায়া ; জায়া সে নয়. মমতাময় মাম্বা ; ভাঙিতে নারে, ভাঙন-মুখে নিজেরে করে ভগ্ন । একেল কবে পথের পাশে চাহিয়া নিজেরে শুধু আতপতাপে দাহিয়া, বিছাল তার শীতল স্নেহখানি তিমিরঘন ঘোমূটাটুকু টানি’, অতিথি কোন পথিক যেন আসিবে পথ বাহিয়া। রচিয়া বুকে গভীর স্বখে স্বৰ্গ, ধরিয়াছিল ক্ষুদ্র তা’র অর্ঘ্য ; মেলিয়া বাছ মুদিয়া ছ’টি আঁখি, জীবন-পথে কখন নিল ডাকি ; আনেনি ব্যথা, হানেনি প্রাণে আঁথির খর খড়গ । বনের বাণী মনের মাঝে বিহরে, তিমিরতলে মুখের ছলে শিহুরে : চঞ্চলিয়া আঁথির দু'টি তার। সঞ্চরিয়া ধরার রসধারা, স্নিগ্ধ স্নেহ বহিয়া যায় মুগ্ধ প্রাণ-কুহরে। ক্ষুদ্র তা’র দুঃখ-সুখ-ক্লান্তি, আয়াসহীন-জীবন-ভরা শ্রান্তি ক্ষুদ্র তা’র ধরণীটিরে ঢাকে, আকাশটিরে ক্ষুদ্র করে রাখে ; স্বপনছায়া-চম্বনে শুধু নয়নে ভাসে ভ্রান্তি । সঙ্গীহীন রাত্রি দিন বসিয়া চাহে সে দূরে আলোর পারে খসিয়া ; নিবিড় যেন দীঘির কালো জলে অতল-তল শীতল প্রাণতলে স্বদূর কোন মধুর রাগ পড়িবে ধীরে খসিয়া। স্বপ্তিস্বরে তৃপ্ত প্রাণ-পুত্তি লভিল কবে গভীরতর স্ফুক্তি ; দেখিল মোরে স্বপ্ন-দেখা চোখে, ডাকিল কবে মানস-ছায়া-লোকে, হেরিন্থ তার প্রশ্নময়ী অরূপ রূপমূৰ্ত্তি । স্বখের লাজে বুকের মাঝে ধরিয়া শিহরি মুখে সরেনি মুখে বাণী, মনের মাঝে কি ছিল নাহি জানি, মোহের শুধু মন্ত্ৰ যেন পড়িল প্রাণে বরিয়া।