পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

فتيانو اربعة ごのにつ8○ লে আসতে হবে। শেষের দিকে স্বরটা তার ভষ্মনক গভীর আদেশমূলক শোনাল। অমিতাভ জিজ্ঞাসা করল, কেন ? খেকিয়ে উঠে উমানাথ বললেন, ‘কেন ! এতক্ষণে জিগগেষ করার ফুরসং হ’ল, কেন ! তোমার বিয়ে হয়েছে আমার চাকার মেয়ে মালতীর সঙ্গে, তা কি জান না ! ন্যাক । আর ই মুহিত, আমার বোন, তার বিয়ে হয়েছে জগংপুরের মারের সঙ্গে, এও কি তোমায় বলে দিতে হবে ? বরকনে বদাম্বের সময় মুহিতাকে ওরা ভুল ক’রে তোমার গাড়ীতে মলে দিয়েছে আর মালতীর্কে দিয়েছে জমিদার-বাড়ির গাড়ীতে। জামার কলকাতার বাসায় তোমার না পেয়ে বরাবর এখানে লে আসছি, আর কেন । এর উপর আর কিছু বলবার রকার আছে ? স্বহিত ও অমিতাভ দু-জনে লজাহভের মত বিমূঢ় হয়ে গড়িয়ে রইল । বিবাহ সম্বন্ধে অমিতাভ কতকগুলো নিজস্ব মতামত ড়েছিল। বন্ধুদের সঙ্গে মেয়ে দেখতে গিয়ে তাকে প্রশ্ন করার প্রথা তার মনে অত্যন্ত বিরাগ জাগাত। এ-সম্বন্ধে কিছু বললে স্কুরা উত্তর দিত, বা, যাকে বিয়ে করব তাকে দেখে শুনে নতে হবে না ? অমিতাভ বলত, মেয়েদের কি দেখে-শুনে নবার সুযোগটা দিয়েছ ? আগে ত মেয়েরাই হ’ত স্বয়ম্বর, টট ধনু ভাঙিয়ে, অসম্ভব লক্ষ বিধিয়ে শৌর্যাবীৰ্য্য পরীক্ষা রিয়ে নিত,--বন অরণা সন্ধান ক’রে রণরথ পরিচালনা ’রে আপন ভাগ্য আপনি চিনে নিত। আর আজ ? ন্ধুরা বলত, "আচ্ছ, দেখা যাবে নিজের বেল কি কর।’ পণ নেব না বলেও প্রাণপণে শোষণ করা দেখে দেখে মিতাভ ভাবত, সে যদি বিয়ে করে, এমন ঘরে করবে দের শোষণোপযোগী অবস্থাও নেই। - মালতীর সঙ্গে বিবাহের যপন সম্বন্ধ আসে, মাতার নিচ্ছাতেও সে রাজী হয়। মেয়ে দেখতে যাওয়৷ ইত্যাদি স্বন্ধে প্রথম হতেই সে অসম্মতি জানিয়ে, দিয়েছিল। এ কম না দেখেশুনে বিয়ে করেও এমন বধূ হয়েছে দেখে মিতাভের মাতার আনন্দের শেষ ছিল না। উমানাথ পুনরায় আরম্ভ করিলেন, যেখানে আমি না কিব সেখানেই অঘটন ঘটবে। নইলে এমন ভুলও হয় ! এমন একটা লোক ছিল না যে, বর-কনেকে দেখে-গুনে বিদায় করে। বরপক্ষদের দোষ দেওয়া যায় না, তারা ত কনেদের চেনে না, তাছাড়া কনের ছিল ঘোমটায় ঢাকা, কিন্তু আমাদের বাড়ির লোকগুলা কি ! যত সব অপদার্থ বঁদরের দল |’ অমিতাভ মুহিতার কাছে একটা আসন এগিয়ে দিয়ে জানালার ধারে সরে দাড়াল । উমানাথ বললেন, ‘আর সঙের মত দাড়িয়ে থেকে দেরি করে না বলছি, চল । ওদিকে কত কাজ পড়ে রয়েছে। ওদের বুঝিয়ে হাতে কিছু বড় রকমের নগদ ধরে দিয়ে দেখি কি বলে। আমাদের সাধামত চেষ্টা ত করতে হবে।’ এতক্ষণে স্বহিত কথা বললে,—‘আর মালতী ? ও, তাকে তার সেক্ট দিনই ফিরিয়ে দিয়ে গেছে । তথন থেকেই ত হৈ-চৈ মুরু হয়েছে। মালতাকে অবিশ্যি আমরা এখানে পাঠাতে পারি যদি গুই অমরেশ না কি ওর নাম, তাকে নিতে রাজী হয়, আর না নেয় ত সে যেমন ছিল আমাদের কাছে তেমনি থাকবে আর কি ! মেয়ে মাতুয,--খেতে পরতে পাবে, তার আবার দুঃখুটা কিসের। দরকার হ’লে একটা প্রায়শ্চিভটিভ করান যাবে না হয় । পরাশিত মালতীর কুমারী নামটা ত ঘুচে গেছে, তাহলেই হ’ল। কিন্তু মুহিত, জমিদার-ঘরের একমাত্র মেয়ে, তার কথা স্বতন্ত্র। কত সন্ধানে এতবড় ঘরে বিয়ে দেওয়া গেল, তাকে সেখানে না পাঠাতে পারলে সবই বৃথা । সমাজপতিদের মস্তক যথেষ্ট পরিমাণে তৈলসিক্ত করলেই ব্যাপারটা অনেক মন্থণ হয়ে যাবে, বৈষয়িক উমানাথের সে কথা বুঝতে বিলম্ব হয় নি। তিনি বললেন, 'চল বেরই ৷ যার হাতে তোমায় সম্প্রদান করা হয়েছে সে-ই তোমার স্বামী । এ-বাড়িতে থাকার তোমার ত অধিকার নেই।’ অমিতাভ দাড়িয়ে ভাবছিল লক্ষ্মীছাড়ার ভাগ্যে এমন লক্ষ্মীকে লাভ করা সম্ভব কি। তার এ দীন গৃহে লক্ষ্মীর স্বর্ণসন কি প্রতিষ্ঠিত হয় কখনও ! উমানাথের কথায় বিচলিত হয়ে বলে উঠল, “তা বলবেন না, ওঁর উপযুক্ত ঘর আমার নেই, কিন্তু আমার এ সামান্তকে উনি নিজের বলে ভাবলে ভাগ্য বলে মানব।”