পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vO'y^{No অজয় বলিল, “মাথা টিপে দিতে আমার বেশ লাগে, দাওনা, টিপে দিচ্ছি।” নন্দ কিছুতেই রাজি হইল না, কিন্তু ক্রমাগত বিছানায় এপাশ ওপাশ করিতে লাগিল । অজয় বলিল, “কাল রাত্রে খাওনি, নিশ্চয় খুব খিদে পেয়েছে তোমার। দুপয়সার বালি এনে জাল দিয়ে দিই, कि दल ?” নন্দ বলিল, “জরের প্রথম দিনটা লঙ্ঘন দেওয়াই ত ভালো। আজকে থাকৃ ” “কিন্তু মুখটা গুকিয়ে উঠেছে যে ” “আচ্ছ, একটু জল দিন।” পিপাসায় তাহার তালু, গলা এবং বুক তখন শুকাইয়া উঠিয়াছিল। অজয় বলিল, “দাড়াও, কাগজ জেলে জলটা একটু গরম করে দিচ্ছি ; ওতে পিপাসাও সহজে মিটবে, ঘাম হ’লে ভালোও লাগবে একটু।” উঠিয়া পুরান খবরের কাগজ সংগ্ৰহ করিয়া আগুন ধরাইল, তারপর একটা এলুমিনিয়মের গেলাসে জল লইয়া আগুনের অঁাচে ধরিতে যাইবে এমন সময় দরজার কড়াটা সজোরে নড়িয়া উঠিল। visitor, এমন সময়ে ? কি ব্যাপার ?” ,কাহারও অম্লখ দেখিলে অজয় যত ভড়কাইত এত আর কিছুতে নহে। বিশেষতঃ নন্দকে লইয়া সে এখন একেবারে -একাকী। মাথা টিপিয়া দিতে চাহিয়াছিল, বাস্তবিক ঐটুকু অবধিই সে পারিত, তাহার বেশী আরও কিছু তাহাকে করিতে হইবে বলিলে তাহার মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িত। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত একাকী এক রোগীর পরিচর্য্য, মরণপথের যাত্রীর সঙ্গে মুহূৰ্ত্ত হইতে মুহূর্ভে গুরুভার দুর্ভাবনা বহিয়া চলা, তদুপরি নন্দের রোগটা যে বাস্তবিক কি তাহাও সে জানে না, টি-বি হইতে পারে, উদ্দীপনা অজন্তু লুকাইতে পারিল না। হয়ত তাহার জজ্ঞাতবালের পাল কুরাইয়াছে। সে ইচ্ছা করে না স্বভত্র चांछ्क, क्रूि एइड शबब्र श्रृंहेिछ इङहरे खांशंक किब्रिञ्च जहेटउ SనOBO আসিয়াছে। আর কিছু না হউক, অন্তত: নদের সমস্ত ভার তাহার হাতে তুলিয়া দিয়া তাঙ্কা হইলে সে নিশ্চিন্ত হইতে পারে। নন্দ দুই কন্বয়ের উপর ভর দিয়া উঠিয়া বলিতে গেল, তাহাকে জোর করিয়া শোয়াইয়া অজয় দ্বার খুলিয়া দিল। টুপী হাতে করিয়া যিনি প্রবেশ করিলেন, তিনি অজয়ের পূৰ্ব্বপরিচিত সেই বাঙালী দারোগ, লালবাজার হাজতে কয়েক মুহূর্তের জন্য অজয় র্যাহাকে ভালবাসিয়াছিল। আজও মানুষটিকে দেখিয়া সে খুসিই হইল। এতটা খুসি ন হইলেও ক্ষতি ছিল না, কিন্তু যে-অবস্থায় সে পড়িয়াছে, একটা মামুষের মুখ দেখিতে পাওয়াই কতকটা সাত্বনা, তারপর এই মানুষটিকে কি কারণে জানে না, প্রথম দিন দেখিয়াই তাহার ভাল লাগিয়াছিল। স্মিতহাস্তে আগন্তুককে সে অভিবাদন করিল। দারোগ প্রত্যভিবাদন করিয়! বলিলেন, “আপনিও এখানেই রয়েছেন বুঝি ? বেশ, বেশ । কেমন আছেন ?” অজয় তাহাকে সমাদর করিয়া ভিতরে লইয়া গেল। সঙ্গের পুলিশ দুইজন ইতস্তত: করিয়া দ্বারপ্রান্তেই রহিয় গেল। অজয় তাহদের দেখিতে পাইয়াছে মনে হইল না। দারোগ বলিলেন, “কি নন্দবাবু, চিনতে পারেন ?” নন্দ মুখে হাসি আনিয়া বলিল, “চিনতে কেন পারব না ? কেমন আছেন ? বন্ধন ।” - নন্দের বিছানার এক পাশে চাদরটাকে একটু টানিয়া বসিয়া দারোগ বলিলেন, “শরীর ভালো নেই বুঝি, কি হয়েছে?” নন্দের উত্তরের অপেক্ষা না করিয়াই তিনি তাহার কপালে হাত রাখিয়া জর পরীক্ষা করিলেন, নাড়ী দেখিলেন। এলুমিনিয়মের গেলাসটা হাতে করিয়া আসিয়া অজয় বলিল, “নন্দ, জলটুকু খেয়ে নাও।” কয়ে ভর দিয়া উচু হইয়া নন্দ জলপান করিল। দারোগ বলিলেন, “আপনি একটু বক্ষন, আপনার সঙ্গে একটা পরামর্শ করবার আছে।” অজয় নিজের বিছানার এক প্রান্তে বসিয়া সম্মুখের দিকে ঝুঁকিয় কছিল, “বলুন, কি বিষয়ের পরামর্শ।” দায়োগ কছিলেন, “আপনাদের যা অবস্থা দেখছি, তাতে আমি এসে পড়ে ভালোই হয়েছে। এর সব ভার আপাতজ্ঞ