পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় পোষ্টাপিসের পিয়ম ও তাঁর মেয়ে wêæwè কাতুর মা বলে, বসে থাকে না ঘুমোয় তুই দেখতে আসিস্ ? আমি তো দুপুরে না ঘুমিয়ে থাকতে পারি না।’ খানিক রাত্রে কৈলাস রামগতির কাছে বিদায় নিল । রামগতি হাকিম৷ বলিয়। দিল, একটু তেঁতুল গুলে খেয়ে দাদা। রকম ভাল নয়।’ গ্রামে সন্ধ্যার পরেই রাত্রি। কানাইমুদৗ ইতিমধ্যেই বাপ বন্ধ করিয়াছে। দোকানের সামনে বঁাশের বেঞ্চিতে কে চিৎ হষ্টয় শুষ্টয় আছে, মুখে তার বিড়ির আগুন। কানাইয়ের ভাই বংশী ছোড়া রোজ এমনি সময় থানে এমনিভাবে শুইয়৷ থাকে আর থাকিয়া থাকিয়া বঁাশী বাজায়। স্কুলের মতই অপদার্থ। কয়েকবার ঘূর্ণ ফিরাষ্ট্ৰয় কৈলাস জোনাকির মত তার বিড়ির আগুনের জল-নেব। চাহিয়। দেপিল । ছেলেদের এ-রকম ভাসিয়৷ বেড়ানে। সে পছন্দ করে না। কানাঈয়ের একেবারে দায়িত্ববোধ নাঙ্গ । ভাইয়ের একটা বিবাহ সে এবার দিলেই পারে। মেয়ের বদলে বংশীর মত ছেলেগু যদি তার একটা থাকি তবে কোন ভাল না ছিল না, এও কিন্তু কৈলাসের মনে হয় । পরের বাড়ি পরের সংসার মানুষের ছেলেকে পরিয়৷ টানাটানি করে না. মমতার সঙ্গে থাকে অধিকার । ছেলের বউ আনিম্ন মেয়ের সাধও মেটানে চলে। নিজের সন্তানকে নিজের কাছে রাথিয় সকলের কাছে অপরাধী হুইয়া থাকিতে হয় না। অন্ধকার পথে চলিতে চলিতে কৈলাসের ভয়ানক রাগ হইতে লাগিল। সংসারে একি অবিচার ! সে তার মেয়েকে কোথাও পাঠাইতে চায় না. মেয়ে তার কোথাও যাওয়ার নামে ভয়ে অস্থির হয়— তাদের দু-জনকে পৃথক করিয়া দেওয়ার জন্ত লোকের এত মাথাব্যথা কেন ? সে কার ও ভালমন্দে থাকে না, তার শাস্তি নষ্ট করিতে লোকের এত উৎসাহ কি জন্য : প্রতিবেশী নিন্দ করে, স্থবল আসিয়া দাবী জানায়। কিসের নিন্দ, কিসের দাবী ? দেশে ঢের মেয়ে আছে. সুবল যাকে খুশী ঘরে আনিয়া কষ্ট দিক, প্রতিবেশীদের ঘরে ছেলেমেয়ে আছে তাদের ভাল মন্দ লইয়া তার মাথা ঘামাক্ । সে কথাটি কহিবে না। কিন্তু সে আর তার মেয়ে দু-জনেই যখন স্থবলকে অস্বীকার করিয়াছে, লোকের বলাবলিকে তার ধখন গ্রাহ করে না, তাদের আর বিরক্ত করা কেন ? গায়ের জোরেই at 9 -- - ఫి সকলে মিলিয়৷ তাদের দিয়া যা-খুশী করাইয়া লইবে না কি ? রাগ আর তার কমিতে চায় না। নির্জন রাস্তায় নিজের মনে কৈলাস গজ গজ করিতে লাগিল। নেশায় তার মাথার মধ্যে ঝিম ঝিম করিতেছে, রাস্তাটা ঝুলানে দোলনার মত জুলিয়া উঠিতে চায় । গ্রামের সমতল পথে সে পাহাড়ী দেশের চড়াই উংড়াঙ্গ ভাঙিঙেছে । তবু, এমন জমজমাট নেশার মধ্যেও তাড়ির তৃষ্ণায় সে আহ । মেয়ের জন্য কত ছদশাই তার কপালে আছে কে জানে । এতে ৪ লোকে মেয়ের উপর তার অধিকারকে স্বীকার করিবে না। তাড়ি তো বড় কথা, কালার জন্য বল একটা ছোটখাট ভাগগু স্বীকার করুক দেখি । সেবেল। তার পাঞ্জ মিলবে না। অধিকার জাহির করিতেই সে মজলত । এমনি মানসিক অবস্থায় বাড়ির উঠানে প দিয়া কৈলাস দেখিল, দাওপায় মাছুরে কাত্ত হুঙ্গয় তরঙ্গ হু কায় বল পরম আরামে তামাক টানিতেছে । চিনিতে পারিয়া" পেপান হস্ততেঙ্গ কৈলাস ইকির বলিল, কে ?’ হু কী রাপিং বল নামিয়া আপিল । বলিল, ‘আজ্ঞে আমি ? বল নেষ্ট, কওয়া নেই তুমি বাড়ির মধ্যে ঢুকে কেন ?" স্থবল ঠিক দরিয়! আসিয়াছিল এপার গুর নরম করিবে, সহজে রাগিবে না । মাটির দিকে চাহিয়। সে বলিল, বাড়ির মধ্যে ঢুকব না তে৷ কোথায় সাব ? শ্বশুরকে একট। প্রণাম ঠকিবে কি-না স্থবল তাহাও ভাবিয়া দেখিতেছিল । অভ্যর্থনার রকম দেখিয় সেটা আর পারিয়া উঠিল না । কৈলাস বলিল, “কোথায় সাবি ত৷ চলোয় যাবি।’ হুবল বলিল, "এত রাগবার কারণটা কি হ’ল ? মা নিতে পাঠাল বলে এসেছি বই ত নয়।’ কৈলাস বলিল, “মা নিতে পাঠাল! তোর মা কে রে যে আমার মেয়েকে নিতে পাঠায় ? যা তুষ্ট, বেরো আমার বাড়ি থেকে ? - স্থবল অল্প রাগ করিয়৷ বলিল, “বার করে দিচ্ছ যে,• তোমার বাড়ি থাকতে এসেছে কে ? গাছতলা ঢের ভাল।” আমি কি জানি ?