পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లీst* SOBO তার এমন নিশ্চিহ্ন নিশ্চিস্থ অবলুপ্তি যে কালীর ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে কিছু পরিমাণে হওয়া যায় এমন একটা জোড়াতালি দেওয় যুক্তিও সহজে আবিষ্কার করা যায় না। তবু বসিয়া বলিয়। সে জোড়াতালি দেয়। ভাবে, সে তে আজই মরিতেছে না। চার বছর গেলে স্ববলের হয়ত পরিবর্তন হষ্টতে পারে, সে মানুষ হইতে পারে। তখন কালীকে পাঠান চলিবে । সে আরও ভাবে যে কালীকে লষ্টয়া যাইবার জন্য স্ববলের যেরকম আগ্রহ তাতে এ আশা করা যায় তার মৃত্যুর পর মেয়েটাকে সে ফেলিবে না। তার সুবিধার জন্য কালীর প্রতি প্রেমকে সুবল দশ-বিশ বছর বাচাক্টয় রাগিবে এটা কৈলাসের আশ্চধ্য মনে হয় না । এষ্ট বিশ্বাস বজায় রাখার জন্য সে একটা যুক্তিও ব্যবহার করে । সবলের সঙ্গে কলহু তার ; কালী কোনও অপরাধ করে নাই। কালী ছেলেমাকুম, বাপের ব্যবস্থা ন মানিয়া তার উপায় কি ? বাপের অপরাধে সুবল নিশ্চয় মেয়েকে শাস্তি দিবে না। তাছাড়া, তার সম্পত্তি আর জমানো টাকা এবং কালীর মত রূপে গুণে দুলৰ্ভ বউয়ের লোভ সুবল কি সহজে ত্যাগ করিবে ? আধঘণ্টাখানেক বিশ্রাম করিয়া কৈলাস উঠিল। একট। লোক ধরিয়া তার মাথায় হাৰ্ম্মোনিয়ম চাপাষ্টয় গ্রামের দিকে চলিতে আরম্ভ করিল। গ্রামের বাহিরে দেগা হক্টল বংশীর সঙ্গে । বংশী বলিল, “কালীকে তাহলে পাঠিয়েই দিলে কৈলেস কাক ? ‘ই’, বলিয়া কৈলাস শঙ্কিত হইয়৷ রহিল। বংশী বলিল, সুবল গাড়ী খুঁজে হয়রাণ। সব গাড়ী গেছে হাটে, কোথায় পাবে গাড়ী ? আমি বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, কালী আমায় ডেকে বললে, বংশীদ, একটা গাড়ী যোগাড় করে দাও না ? আমি শেষে রামগতি কাকার গাড়ীটা জুতিয়ে আনি তবে ওরা রওনা হয়। কৈলাস বলিল, “দেখ দিকি কাণ্ড ! আগে থাকতে গাড়ী ঠিক করে রাখবে, তা নয়—ম্বলটার একেবারে বুদ্ধি নেই। তোমার সঙ্গে দেখা হুল না বলে কালী কেঁদেই অস্থির। নিয়ে আসব।' বংশী জ্ঞানীর মত বলিল, “তাতে কি শানায় কৈলাস কাক, শ্বশুরবাড়ি যেতে মেয়ের কাদবেই। হাৰ্ম্মোনিয়মটা তোমার না কি ? কার জন্যে কিনলে ?’ 'কার জন্যে আবার, নিজের জন্যে। খালি বাড়িতে কি করে সময় কাটাব ; ওটা বাজিয়ে পা পে করা বাবে । তুই কোথায় যাচ্ছিস রে বংশী ? সন্ধ্যের সময় এসে দুটো গানটান শুনিয়ে ধাস তো ' বাড়ি গিয়া জামা খুলিয়া কৈলাস তামাক সাজিয়া লইল । কালী পাড়ায় কোথায় বেড়াতে গিয়াছে : তামাক খাইয়া সে স্নান করিল। চিনি খুঁজিয়া লেবু দিয়া সরবং করিয়া পান করিয় রামগতির ওখানে গেল । রামগতি বলিল, “কালীকে তা হ’লে পাঠাতে হ’ল কৈলাস দা ? কৈলাস বলিল, হঁ্য, দিলাম পাঠিয়ে। কালী সতেরয় পড়েছে, আর কি রাগ যায় ? তবে এবার বেশী দিন রাখব না, জষ্টির মাঝামাঝি নিয়ে আসব। পাঠাব একেবারে সেই পূজোর পর।’ রামগতি বলিল, “ভালই করেছ। মানুষের মন, কি জান দাদা, একেবারে আশ্চৰ্য্য। কালীকে পাঠাওনি বলেই হয়ত স্থবল ওরকম হয়ে যাচ্ছিল, এবার বদলে যাবে। এতদিন কালীকে আটকে রাখা উচিত হয় নি।’ কৈলাস বলিল, “অতটা বুঝতে পারি নি।’ কুবল আর একটা বিয়ে করে বসলে কি বিপদ হ’ত বল ত । * কথাটা কৈলাস নিজেও অনেকবার ভাবিয়াছে, আজ রামগতির মুখে শুনিয়া সে শিহরিয়া উঠিল। ভাগে কালী তার পাগলামীতে সায় দিয়া নিজের সৰ্ব্বনাশ করে নাই,গোপনে স্নেহ দিয়া সম্মান দিয়া বাপের অপমান ও অবিবেচনার বস্তাতেও নোঙর হইয়া স্বামীকে বাধিয়া রাখিয়াছে ! রামগতি বলিল, ‘একটু সিদ্ধি করব না কি ? কৈলাস বলিল, ‘বদনার ওখানে গেলে হয় না ? থাকৃ, কাজ নেই। সিদ্ধিই কর।’ গ্রামে সন্ধ্যার পরই রাত্রি। ঝাপ বন্ধ করা দোকানের