পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5IլՀit, अॅहिल'-नक्ष्वेtर्भ

  • 25

সামনে বঁাশের বেঞ্চিতে কাং হইয়া এমনি সময় বংশী বিড়ি টানে আর থাকিয়া থাকিয়া বঁাশী বাজায়, রামগতির বৈঠকখানায় মাখম একটা কালি-পড়া লণ্ঠন রাথিয়া যায়, সিদ্ধির নেশায় কৈলাসের দু-চোখ স্তিমিত হঈম্ব আসে, খানিক পরে বাড়ি ফিরিয়া কালীকে দেখার চেয়ে একমাস পরে পাথুরেঘাটায় গিয়৷ কালীকে বাড়ি ফিরাইয় আনার কল্পনা কৈলাসের বেশী মনোরম মনে হয়, আর ওদিকে গরুর গাড়ীর মধ্যে কালী সুবলের সঙ্গে বক বক্‌ করে। বলে, “তোমার জন্ত বাবার কাছে মুখ দেখাবার উপায় রইল না।’ কিন্তু একমাস পরে তাকে আনিতে গেলে কালী অনায়াসে আসিয়া কৈলাসকে প্রণাম করে, বলে, ‘রাস্তায় কষ্ট হয়নি তো বাবা ? যে গরম : কারও লজ্জা নাই। নিয়ম পালনে লক্ষ কি ? পদে পদে নিয়মলঙ্ঘন করিয়াই তো সংসারে লজ্জা ও দুঃখের সীমা नाहे । মহিলা-সংবাদ শ্ৰীমতী মৃণাল দাসগুপ্ত। ১৩৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে সংস্কৃত ও বাংলায় প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করিয়া এম্-এ উপাধি লাভ করিয়াছিলেন, এ সংবাদ আমরা পূর্বেই ঐ সালের কাৰ্ত্তিক সংখা প্রবাসীতে প্রকাশ করিয়াছি। তৎপরে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বৎসরের জন্য গবেষণা বৃত্তি লাভ করিয়া, বৈদিক ও সংস্কৃত সাহিত্যে ভক্তির ধারণ ও ভক্তিশাস্ত্র সঙ্গন্ধে তাহার গবেষণার কিয়দংশ ফল অবলম্বন করিয়া একটি পাণ্ডিত্যপূর্ণ প্রবন্ধ লিপিয়া কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিফিথ মেমোরিয়ল পুরস্কার লাভ করিয়াছেন। র্যাহার কলিকাত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে এরূপ পুরস্কার এ-যাবং পাইয়াছেন তাহাদের মধ্যে ইনিষ্ট সৰ্ব্বপ্রথম মহিলা । ডাক্তার কুমারী মৈত্রেয়ী বস্তু, এম্-বি (কলিকাতা) কলিকাতায় চিত্তরঞ্জন সেবাসদনের হাউস্ সার্জন ছিলেন। তিনি জাৰ্শেনীতে একটি বৃত্তি পাইয়া মিউনিক্ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করিতে যান। সেখানে পরীক্ষায় উত্তীর্ণহইয় এম্-ডি উপাধি পাইয়াছেন। শিশুদের রোগের চিকিৎসা র্তাহার বিশেষ শিক্ষণীয় বিষয় ছিল। গত ১৯৩০ হইতে ১৯৩২ সন পর্য্যন্ত নয়টি বাঙালী ছাত্রী ব্ৰহ্মদেশের হাইস্কুল ফাইন্তাল (মাটিকুলেশন) পরীক্ষা পাস করিয়া রেজুন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি পাইয়াছেন। ইহঁাদের মধ্যে পাচজন প্রশংসার সহিত পাস করিয়াছেন। ১৯৩২ সনে তিনটি বাঙালী ছাত্রী রেঙ্গন বিশ্ববিদ্যালয় হইতে আই-এ পরীক্ষা পাস করিয়াছেন। ীি মৃণাল দাসগুপ্ত এই বৎসর চারিটি বাঙালী ছাত্রী হাইস্কুলের ফাইদ্যাল পরীক্ষা পাশ করিম রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের অল্পমতি পাইয়াছেন।