দশভুজ বৈশাখ সংখ্যা ‘প্রবাসীতে প্রকাশিত স্ত্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্ম মহাশয়ের দশভুজা” শীর্ষক প্রবন্ধে মূল বিলয়ের ভূমিকা প্রসঙ্গে যে মতবাদের বিস্তৃত বিবৃতি প্রদত্ত হইয়াছে সাধারণ পাঠকরূপে আমার সে-সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ নিবেদন আছে । চন্দ মহাশয় লিপিয়াছেন – মানবদেহের স্বাভাবিক সৌন্দর্য্যের প্রকাশই শিল্পের লক্ষ্য, গ্ৰীক শিল্পের অক্ষুণ্ণ প্রভাবের ফলে এই সংস্কার বদ্ধমূল থাকায় ইউরোপে ভারতবর্ণের প্রাচীন ভাস্কৰ্য্য অনেক কাল আদরলাভ করিতে পারে নাই।” লক্ষ্য’ শব্দের অর্থ যদি - আদৰ্শ” হয় তাহা হইলে বলিতে হইতেছে যে স্বভাবানুকৃতি গ্ৰীক শিল্পের লক্ষ্য বলিয়া কোনদিন বিবেচিত হয় নাই। গ্ৰীক শিল্প-বিচারের সংজ্ঞাতে "imitation” শব্দের অর্থ, ‘ অনুকরণ” মাত্র নহে “কল্পনা” বা imaginationও তাহার অন্তর্গত। #ēra zona Philostratus zēts Apollonius nf Tyanaz ¿Îwāā II. XXII Now VI. XIX sRs Cicero &âîò “Tho u )rator” sif: Rū ā5Fif: II. 9, “মডেল” সন্মুখে রাখিয়া চিত্রাঙ্কন বা মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ (imahne হইতে বঢ়ল প্রচারিত হইয়াছে। প্রাচীন গ্রীসে উহা একরূপ অজ্ঞাত ছিল। Apolles on MSA offon. Phryne fo Lais fo Campaspe. ইহা লইয়া মতদ্বৈধ থাকায়, কিছুই নিশ্চিত করিয়া বলা যায় না। Lafcadio Hearn fosfastER, “The Greck conventional face cannot be found in real life, no living head presenting so large a facial angle---.... The face nf Greek art represents an impossible perfection, a superhuman cvolntion.” I’roceedings of the Helicnic Traveller's Club os or of El Agean Cirilizations নামক ধে গ্রন্থ প্রকাশিত হইয়াছে তাহাতে অধ্যাপক নাইট (Knight)ও এই কথাই লিখিয়াছেন। চনা মহাশয় তাহার পর লিখিয়াছেন যে টলষ্টয়ের “What is Art 2" গ্রন্থ প্রকাশের পূৰ্ব্বে, শিল্প সম্বন্ধে যে মতবাদ ইউরোপে প্রচলিত ছিল তাহার প্রভাবে পাশ্চাত্য কলা-রসিকগণ ইউরোপেভয় শিল্পের সমাদর করিতে পারেন নাই এবং ঐ গ্রন্থে উাহাড়ের ভুল সংস্কার দূরীভূত হওয়ায় তাহারা ইউরোপেতর শিল্পের সমাদর করিতে শিপিয়াছেন । এই মত যে অতিরঞ্জিত নিম্নলিখিত তথ্যগুলিই তাহার প্রমাণ । ১ । সপ্তদশ শতাব্দীর পাশ্চাত্য চিত্রকর Rembrandt মোগল চিত্রশিল্পের প্রতি বিশেষ অনুরক্ত ছিলেন। হাভেলের “Indian 8culpture and I'ainting” (Pages 202, 203).
- 1 Vincent Van Gogh stoff fttost zifs HafF AİFÈ হইয়াছিলেন। ইনি দেহত্যাগ করেন, ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে, অর্থাৎ টলষ্টয়ের গ্রন্থপ্রকাশের পূৰ্ব্বে ।
• 1 Post-Impressionistie fQFA, Gogh45 Tầ4, Gauguiu, পলিনেশীয় কারিকরদিগের বর্ণবাহুল্যময় শিল্প-নিদর্শনের দ্বারা অনুপ্রাণিত হইয়াছিলেন। ৪ । টলষ্টয়ের গ্রন্থ-প্রকাশের অনেক দিন পুণে, ১৮৭৮ খৃষ্টাব্দে, E. F. Fenollosa তোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। তিনিই সৰ্ব্বপ্রথম চীন এবং জাপানের প্রাচীন শিল্পের প্রতি ইউরোপের সারস্বত মণ্ডলীর প্রশংসমান দৃষ্টি আকৃষ্ট করেন। ৫ । জাপানের শিল্প-সম্বন্ধে আলোচনা করিবার জন্য ইংলণ্ডে “জাপান সোসাইটি” প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল ১৮৯২ খৃঃাব্দে, অর্থাৎ টলষ্টয়ের গ্রন্থপ্রকাশের পূৰ্ব্বে । o i Lafcadio Hearn er Edward Strange strofā শিল্পের সমাদর করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন টলষ্টয়ের গ্রন্থ প্রকাশের পুঝেই । Ezif-systfel: Clive Bell qa Significant forin afą45 fals Resis উদ্ধত করিয়াছেন টলষ্টয়ের সমর্থক এবং অভিনব বলিয়া। এ-সম্বন্ধে *Rgr# gẽ cq Clive Belloqã ữ# s{5Riĩ LIegelag AEsthctica নামক গ্রন্থ ( ১৮৩৪ খৃষ্টাব্দে, অর্থাৎ টলষ্টয়ের গ্রন্থ-প্রকাশের প্রায় সত্তর বৎসর পূৰ্ব্বে প্রকাশিত ) হইতে গৃহীত। Hegel লিখিয়াছিলেন, “Wahre Gestalt", SfSTÄ ESM. “Significant form" ইহাতে প্রমাণ হয় যে টলষ্টয়ের পূৰ্ব্বেও ইউরোপে শিল্প সম্বন্ধে যে ধারণা প্রচলিত ছিল তাহাতেও ইউরোপেতর শিল্প বোধগম্য হওয়া উচিত ছিল । ইউরোপেতর শিল্প কি কারণে ইউরোপ কর্তৃক সমাদৃত হয় নাই, তাহা সাধারণ ব্যক্তির মনে হয়, দ্বিবিধ। (১) বিজিত এশিয়া এবং আফ্রিকার সঙ্গে বিজেতা ইউরোপের ভক্ষ্য-ভক্ষক সম্বন্ধ এবং ভারতবর্ষের পরাধীনতা ও জাতি-সমাজে অস্ত্যজ অবস্থা । (২) ইউরোপেরতর শিল্পের সস্থিত ইউরোপের আ পরিচয় বা অল্পপরিচয় । শ্রীনিৰ্ম্মলচন্দ্র মৈত্র উত্তর শিল্পের রসতত্ত্ব সম্বন্ধে আমার পুঁজি অতি স্বপ্ন। দশভুজা" প্রবন্ধের গোড়ায় তাহা আমি স-মুল দাখিল করিয়াছি। রোজার ফ্রাই যে মূল কথায় ভুল করিয়াছেন তাহা আমার মনে হয় না। আমার অনুবাদে ভুল থাকিতে পারে। ক্লাইব বেল (Ulive Bell) উাহার আর্ট” নামক পুস্তকে আট cú aff+ y^ (significant form) óè x5 fäsfw wffrtè প্রচার করিয়াছেন এবং রোজার ফ্রাই তাহার এই দাবি স্বীকার করিয়া লইয়াছেন (Retrospect প্রবন্ধ দ্রষ্টব্য)। হেগেলের লেপার মূলের বা অনুবাদের সহিত আমার পরিচয় নাই। এন্থেটিকসের প্রসঙ্গে হেগেলকে বোধ হয় কেহ সার্থকরাপবাদী বলে না, সৌন্দৰ্য্যবাণীই বলে। টলষ্টুয় হেগেলের মতের যে সার উদ্ধার করিয়াছেন তাহার কতক अन्त ७क्छ করিব— “According to Hegel (1770-1831), God manifests himself in nature and in art in the form of beauty...... Beauty is the shining of the Idea through matter......
