পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՅօՆ- (ી Art is thus the production of this appearance of the Idea, and is a means, together with religion and philosophy, of bringing to consciousness, and expressing, the deepest problems of humanity and the highest trnths of the spirit. “Truth and beauty according to Hegel are one and the same thing, the difference being only that truth is the Idea itself as it exists in itself and is thinkable. The Idea, manifested externally, becomes to the apprehension not only true but beautiful. The beautiful is the manifestation of the lilea.” নিৰ্ম্মলবাবুর একটি কথার আমি প্রতিবাদ না করিয়া পারি না । তিনি বলেন, য়ুরোপ কর্তৃক এসিয়ার এবং আফ্রিকার আর্টের অনাদরের কারণ ভক্ষ্য-ভক্ষ্যক সম্বন্ধ "এবং ভারতবর্ষের পরাধীনতা এবং জাতিসমাজে অস্ত্যজ অবস্থা ।” সেজান ((}ezanne) ভ্যান গোঘ (Van Gogh), গোগেন ((iaugnin) ভারতবাসী বা আফ্রিকাবাসী ছিলেন না। এই তিন জন চিত্রকরের মধ্যে একজনও ছবি বেচিয়া জীবিকালিব্বাতের উপযোগী অর্থ উপাৰ্জ্জন করিতে পারেন নাই। শিল্পের প্রকৃত রস আস্বাদন করা সহজ কাজ নহে। এই শক্তির অভাবেই যুরোপের সাধারণ দর্শকগণ এতকাল ভারতবলের প্রাচীন শিল্পের মহিমা পুলিতে পারে নাই। এখন সেই রস আস্বাদনের প্রণালী বলিয়া দিবার যোগ্য সমালোচকের অভু্যদয় হওয়ায় দিনদিনই য়ুরোপে সমজদারের সংপ্যা বাড়িয়া যাইতেছে । “দশভূজা"র ভূমিকা রাপীষ্টার হিসাবে লিপিত। উপসংহারে রূপস্রষ্টার হিসাবে পাশ্চাত্য জগতের রচি-পরিবর্তনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ f㥠1 wA ÜêfêR **fa fäf:{{Ifwå (The tmuline of Art 沅 Sogo “The reader of this outline will have observed that, from the days of Giotto down to the close of the nineteenth century, the development of the main stream of European paiutiug was in the direction of a more perfect representation of the appearances of natural forms.” অর্থাৎ খৃষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী হইতে উনবিংশ শতাব্দীর শেষ পৰ্য্যন্ত যুরোপীয় চিত্রকরেরা ক্রমশঃ অধিকতর শুদ্ধরূপে স্বাভাবিক আকারের অনুকরণের চেষ্টায় রত ছিল। উনবিংশ শতান্ধে দুই কারণে এই ধারার পরিবর্তন ঘটিয়াছিল। প্রথম কারণ, ফটোগ্রাফীর আবিষ্কার দ্বিতীয় কারণ ইম্প্রেসনিষ্ট (Impressionist) শাপার চিত্রকরগণ কর্তৃক স্বাভাবিক আকারের অনুকরণের চরম উৎকর্মসাধন । এই অনুকরণের পথে আর বেশী কিছু করিবার উপায় ছিল না। অপেন লিপিয়াছেন— “Ambitions painters sighed, like Alexander, for new worlds to conquer.” তারপর নুতন একদল চিত্রকর অভূদিত হইল। এই দলের অভিমত সম্বন্ধে অপেন লিখিয়াছেন— “A new generation begau to argue that, after all, painting was not a science but an art, and that its primary function was not the accurate representation of nature but the expression of an emotion.” অর্থাৎ নুতন যুগের চিত্রকরের বলিতে আরম্ভ করিলেন চিত্র বিজ্ঞান নহে, চারশিল্প এবং চিত্রের মূখ্য উদেখ স্বভাবের বিশুদ্ধ অনুকরণ নহে ভাব-প্রকাশ । শ্রীরমাপ্রসাদ চন্দ চিঠিপত্র আমার মনে হয় তাহার নামে এমন একটি মহাগ্রন্থালয় কোনখানে প্রতিষ্ঠিত করা একান্ত প্রয়োজন যেখানে জগতের সকল ধৰ্ম্মের যথার্থ পরিচয় মিলিতে পারে। অন্ততঃ পক্ষে ভারতের পূর্বপুৰ্ব্ববৰ্ত্তী সকল XXIII)-— --------- - --- রামমোহন শতবার্ষিক উৎসব মাননীয় প্রবাণী-সম্পাদক মহাশয় সমীপে মহাশয়, রামমোহনের পুণ্য মহাতিথি সমাগতপ্রায়। উাহার স্মৃতিরক্ষার জল্প নানাজনে নিশ্চয়ই নানা যোগ্য প্রস্তাব উপস্থিত করিতেছেন । সকলই অর্থ ও সামর্থ্য সাপেক্ষ। আমারও একটু বলিবার ইচ্ছা আছে। জানি না ইহা পূর্ণ হওয়া সম্ভবপর কি-না তবু বলা ভাল আজ না হয় ভবিষ্ণুতে সেই আকাঙ্গা পূর্ণ হইতে পারে। পৃথিবীর সকল ধর্মের মধ্যে যোগবৃষ্টির মহর্ষি রামমোহন। তাহার স্মরণার্থ হয়ত, খুবই উৎকৃষ্ট পুস্তক এবার বাহির হইবে । তৰু কি র্তাহার সম্বন্ধে সকলের সব কথা চিরকালের জঙ্ক নিঃশেষে বলা হৃষ্টয়া যাইবে ? - ধর্মের ও সম্প্রদায়ের সকল মুদ্রিত গ্রন্থ ও অমুদ্রিত পুধি সেখানে যেন ক্রমে সংগৃহীত হইতে থাকে। ভারতের পূর্বপুৰ্ব্ববৰ্ত্তী যত সম্প্রদায় ও সম্প্রদায়ের গুরুগণের পরিচয় যাহা কিছু মিলা সম্ভব সেখানে যেন ক্রমে সংগৃহীত হইয়া চলে। তাহা হইলে ভৰিয়তে যাহার কাজ করবেন উাহারা হয়ত রামমোহনের মধ্যে এমন কিছু বিরাট মহত্ত্ব দেখিতে পাইবেন যাহা আজও আমাদের সঙ্কীর্ণ চিন্তার অগোচর। ইতি s दिनौष्ठ ীিক্ষিতিমোহন সেন . ইসরোজরঞ্জন চৌধুরী” স্বাক্ষরিত একখানি দীর্ঘ চিঠি আসিয়াছে। লেখকের ঠিকানা জানিতে পারিলে উত্তর দিব। সম্পাদক। "