পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8>e よ>○3○ বাগদাদ । এরোপ্লেনে কবির স্বদেশ যার গষ্ঠীর মুখ, মাথায় উটের পশমের দড়ি দিয়ে বাধা আপাদমস্তক ঢাকা ‘আবা’ এবং ধীর পদক্ষেপ দেখলে ঠিক বোঝা যায় না যে, এটা দশম শতক না বিংশতি শতক । মোটের উপর বাগদাদ শহর এবং এখানকার লোকজন দেখলে এটা মনে হয় এর যে-অংশট-সজীব বা নিজীব— এগিয়েছে, সেট। বিলক্ষণ এগিয়েছে, আবার যেটা এগোয়নি সেটা বড় বিষম পেছিয়ে আছে। সমস্ত দেশট দেখলে ধারণ হয় যে, সমস্ত দেশ বা জাতিকে অদম্য উৎসাহে এগিয়ে নেবার চেষ্টা বিশেষ কিছু নেই—যেটা পারস্যে খুব বেশী আছে অথচ আংশিকভাবে অল্পখানিকটা খুব বেশী দূর এগিয়ে গেছে, পারস্তকে ছাড়িয়ে, এমন কি আমাদেরও ছাড়িয়ে । এর কারণ আর কিছু নয়, যে-অংশট যতটা এগোলে বিদেশীর স্ববিধা হয় তার সেটাকে ঠিক ততটাই এগিয়ে নিয়েছে ঠিক আমাদের দেশের যা অবস্থা জাতীয় আন্দোলনের আগে ছিল। তবে এখন অল্প কিছু দিন যাবৎ দেশট যে-নৃপতির করায়ত্ত হয়েছে তার এবং তার সভাসদদের হাতে দেশে একটা নূতন জীবনের ধারা বইবে সেট স্বনিশ্চিত। আরব জাতির অভিনব অত্যুদয় এবং তুর্ক সাম্রাজ্যের আরব অংশের ধ্বংসের বিবরণ যখন সম্পূর্ণভাবে প্রকাশিত হবে, তাতে এমির ফৈজল, জাফফর পাশ এবং কর্ণেল লরেন্সের নাম শউজ্জল অক্ষরে প্রধান ভূমিকায় মুদ্রিত থাকবে। সামান্ত আরব উপজাতির সর্দারের পুত্র, অসাধারণ শৌর্য্য, নিজের জাতির শক্তিতে অচল বিশ্বাস এবং অদ্ভুত নেতৃত্বের ক্ষমতার গুণে কি করে দুৰ্দ্ধৰ্ষ তুর্কী এবং জাৰ্ম্মাণ সৈন্তের বিরুদ্ধে সামান্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে সফলকাম হয়েছিলেন তার ইতিহাস প্রায় আরব্যোপন্যাসেরই মত আশ্চৰ্য্য। জাফফর পাশা প্রথমে তুর্কী সেনানায়ক ছিলেন এবং মহাযুদ্ধের প্রথম পর্বে সাবমেরিনের সাহায্যে ভূমধ্যসাগর পার হয়ে সাহারা মরুভূমির অধিবাসী সেন্ত্যসি আরবদের সঙ্গে মিলিত হন। এর যুদ্ধকৌশলে সেন্স্যসির ইংরেজ সৈন্তকে প্রথমে নাস্তানাবুদ করে তুলেছিল। পরে অস্ত্রশস্ত্রের অভাবে এবং ইংরেজের লোকবলে তার ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, জাফফর বন্দী হন। সেই সময় ফৈজল আরব-উপজাতিগুলিকে একত্র করে সেনাবাহিনী গঠন করছিলেন। জাফফর স্বজাতির সাহায্যে অবতীর্ণ হয়ে মহাযুদ্ধের দ্বিতীয় অংশে তুর্কের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করে সমান শক্তিতেই যুদ্ধ করেন। শেষের অংশে এঁদের অনেক ভাগ্যবিপৰ্য্যয় হয়, সেকথা এখনও প্রকাশ করা