পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

338 সেখানকার বিদ্যার্থীর অধিকাংশই প্রায় অল্পবয়স্ক শিক্ষানবিশ-সবল দেহ, উংস্থক তরুণ মুখ। দৈহিক স্বাস্থ্যের কারণ কতকটা দেশের আবহাওয়া, কতকটা পৈতৃক রক্তের জোর, কিন্তু বাকীট সম্পূর্ণই শিক্ষার গুণে, কেন-ন ঐ বাগদাদ । শেখ আব্দুল কাদের এল কয়লানি মসজিদের ভিতরের দৃষ্ঠা বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রই ব্যায়াম, ক্রীড়া ইত্যাদি দৈহিক উৎকর্ষের সাধন করতে বাধ্য। সেখানে কবিকে অভিনন্দন এবং উচ্চকণ্ঠে সমস্বরে "রৈস, রৈস, রৈস," , নিনাদে বন্দিত করার পর আমরা পুরানো বাজার পার হয়ে কাধিমেন শহরে চললাম। কাধিমেন মুসলমানদের তীর্থ। এখানে তাঁহাদের এক ইমামের সমাধি আছে। এখানে বাহির থেকে যতটা দেখা যায় দেখে আমরা শহর ছাড়িয়ে মরুভূমির দিকে চললাম। শহরের উপকণ্ঠে দুটি স্বন্দর মোটর দাড়িয়ে ছিল, তার একটি থেকে তিন জন সন্ত্রাস্ত আরব নেমে কবির গাড়ীর দিকে এগোলেন। তিন জনের মধ্যে দু-জন পূৰ্ণবয়স্ক, (প্রৌঢ় বলা চলে না, তাদের শরীর এতই দৃঢ় ও সবল, যদিও এক জনের বয়স পঞ্চাশের উপর ) এক জন প্রবাসী ; SOBO যুবক । গুনলাম এক জন কাধিমেনের নিকটস্থ মরুভূমির বেনি টামানি বেদুঈনদের সর্দার শেখ স্বহাইল, অন্ত দুষ্ট জনের একজন তার ছোট ভাই, অন্যটি বড় ছেলে । কবিকে অভিবাদনের পর তার মোটরে উঠলেন। মরুভূমির দিকে যাত্র করা গেল। আট-দশ মাইল পৰ্য্যন্ত খেজুরের বাগান, শস্তের ক্ষেত দেখা গেল, সবই টাইগ্রীসের পালের জলে সেচ কর। আরও এগিয়ে মরুভূমির রুক্ষমৃত্তি দেখা গেল, দূরে দূরে দ্বীপের মত দু-চারটে ওয়েসিস রয়েছে। শুনলাম এ সবই এবং আরও অনেক দূর পর্য্যস্ত সমস্ত জমিষ্ট শেখ মুহাইলের অধিকারে আছে। কিছুক্ষণ পরে তার বাড়িতে উপস্থিত হওয়া গেল । বাগা। পুরাণে শহরের পথ বাড়িটি দ্ব-অংশে বিভক্ত, একটি পুরুষদের, অন্তটি মেয়েদের। মেয়েদের অন্তঃপুর কি রকম বলতে পারি না, কেন-না, সেটা কড়া পর্দার ভিতরে । পুরুষদের বাড়ি একটি