পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় হঠযোগী অনেক “অলৌকিক” শক্তির পরিচয় দেন। কিন্তু র্তাহারা মহাপুরুষ নহেন। আবার কি আইন অমান্য করা হইবে ? গান্ধীজী উপবাস আরম্ভ করিবার সময় ঘোষিত হইয়াছিল, যে, ছয় সপ্তাহের জন্য আইন অমান্ত করিবার প্রচেষ্ট স্থগিত থাকিবে । ৪ঠা আষাঢ় ১৮ই জুন এই ছয় সপ্তাহ শেয হইবে । ৫ই আষাঢ় হইতে কংগ্রেসের লোকেরা আবার আইন অমান্য করিতে আরম্ভ করিবেন কি-না, অনেকে আলোচন৷ করিতেছেন । ঠিক্‌ কি করা হইবে, কংগ্রেসদলভুক্ত কেহও এখন বলিতে পারেন না --অন্যেরা ত পারেনষ্ট না । মহাত্মাজী যখন উপবাস আরম্ভ করার কারামুক্ত হন, তাহার আগে হইতেই দেশের প্রায় সৰ্ব্বত্র নিরুপদ্রব আইনলঙ্ঘন-প্রচেষ্ট মন্দীভূত বা বন্ধ হইয়! গিয়াছিল- তা নে কারণেই হউক। সুতরাং উহ। ছয় সপ্তাহ স্থগিত রাগিবার কাল উৰ্ত্তীর্ণ হইয় গেলেই আপন আপনি উচ্চ। নবীভূত হইবে মনে হয় না। তবে, কংগ্রেসনেভার একত্র মিলিত হইয় যদি বলেন, ধে, উন্স আবার চালান হউক, তাহ। হইলে সে চেষ্ট হইতে পারে বটে। কিন্তু অনেক নেতা এখনও জেলে আছেন । যাহারা বিচারান্তে নির্দিষ্ট কালের জন্য কারারুদ্ধ হইয়াছেন, তাঙ্গদের মুক্তির দিন জান আছে ; যাহার। বিন বিচারে বন্দী হইয়াছেন, তাঙ্গার কবে খালাস পাইবেন জানা নাই । অতএব সকল কংগ্রেসনেতা একত্র বসিয়। পরামর্শ করিবার সুযোগ কখন পাইবেন, কেহ বলিতে পারে না । ভদ্ভিন্ন, মহাত্মা গান্ধী সুস্থ হইয়া ন উঠিলে তাহার সঙ্গে আলোচনা চলিতে পারে না, এবং তাহার পরামর্শ ব্যতিরেকে কৰ্ত্তব্যনিৰ্দ্ধারণ হক্টতে পারে না । - ৫ই আষাঢ় নাগাদ যদি গান্ধীজী বেশ সুস্থ হুইয়। ন| উঠেন, তাহা হইলে আরও কিছু দিনের জন্য আইন-লঙ্ঘনপ্রচেষ্টা স্থগিত রাগ বোপ করি সমীচীন বিবেচিত হইবে । ব্রিটিশ গবন্মেটিকে রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতির অনুরোধ রবীন্দ্রনাথপ্রমুখ ৭৩ জন ভারতবর্ষের অধিবাসী ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী ও ভারত-সচিবকে একটি টেলিগ্রাম পাঠাইয়াছেন। ৰিবিধ প্রসঙ্গ-ব্রিটিশ গল্পেষ্টকে রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতির অনুরোধ SéŠ তাহাতে অন্যান্ত কথার মধ্যে এই অনুরোধ আছে, যে, বিনা বিচারে র্যাহার বন্দী আছেন তাহাদিগকে এবং ভায়োলেন্স বা বলপ্রয়োগের সহিত সম্পর্কশূন্য রাজনৈতিক “অপরাধে”র জন্য কারারুদ্ধ ব্যক্তিগণকে মুক্তি দেওয়া হউক এবং ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রবিধি ও শাসনপ্রণালী রচনার যে চেষ্টা হইতেছে, কংগ্রেসকে তাহাতে সহযোগিতা করিবার সুধোগ দেওয়া হউক । কংগ্রেস ছয় সপ্তাহ কাল দলস্ত লোকদিগকে আইন অমান্ত করা হইতে নিরক্ত থাকিতে বলিয়া যে মনোভাবের আভাস দিয়াছেন, রবীন্দ্রনাথপ্রমুখ বাক্তির গবন্মে ণ্টকে তাঙ্গারই সাড় দিতে বলিয়াছেন । এই টেলিগ্রাম প্রেরণের উপর সংবাদপত্রে টপ্পনা মানাবিপ হষ্টয়াছে এবং স্বাভাবিক ও উচিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক সম্মতিস্তচক মন্তব্যগুলি সম্বন্ধে কিছু লেপ। অনাবশ্বক । বিরুদ্ধ সমালোচনার কিছু উল্লেখ এবং তৎসম্বন্ধে কিছু মন্তব্য প্রকাশ কপ্লিভে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে এক জন বলির কিছু সঙ্গোচের সহিত তাঙ্গ করিতেছি । কে কেন্স লিপিয়াচ্চেন, গবন্মেণট এরূপ অন্তরোধে কৰ্ণপাত করিবেন না. ইহাকে হয়ত স্বাক্ষরকারীদের অনধিকারচর্চা মনে করিকেন, সুতরাং ভহ নিষ্ফল ও না-করাষ্ট উচিত ছিল। খুব সম্ভব, ফল এইরূপষ্ট হইবে গবন্মের্ণ স্বাক্ষরকারীদের কথায় কান দিবেন না । অধাচিত পরামর্শদানের ঐরুপ সম্মান মোটেই বিরল মঙ্গে । তবে, এখানে বিবেচ্য এই মে, সংবাদপত্রের সম্পাদকের। পুব চরমপন্থী সম্পাদকেরাও গবন্মের্ণীকে অযাচিত পরামর্শ নিজেদের কাগজে লিপিয়৷ দিয়া থাকেন। গবন্মেণ্টের কি করা উচিত, কাগজে তাহ। লেপার মানেই গবন্মেটিকে পরামর্শ দেওয়া ও অন্তরোধ কর। সম্পাদকের। কাগজে সাহা লিপির ক্ষস্তি থাকেন, কংগ্রেস আইনলজাল-প্রচেষ্টা স্থগিত রাপায় ভারতীয় সম্পাদকের যাঙ্গ গবন্মেন্টের কৰ্ত্তবাবলিয়া নিজের নিজের কাগজে লিথিয়াছিলেন, কিন্তু কোন রাজপুরুষকে টেলিগ্রাফযোগে জানান নাই, রবীন্দ্রনাথপ্রমুখ ব্যক্তির সেইকপ কিছু কথাই বিলাতে রাজপুরুষদিগকে টেলিগ্রাফ করিয়াছেন— প্রভেদ এই মাত্র । আমাদের বোধ হয়, রাজপুরুষদিগকে অন্তরোধ উপরোপ কর ও পরামর্শ দেওয়ার বাস্তবিক বা সম্ভাবিত ব্যর্থতা সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতি প্রত্যেক স্বাক্ষরকারী সম্পূর্ণ অজ্ঞ নহেন। আওমানে হওয়৷ হুইবে । আমি