পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৰাষাঢ়, ৱিৰিৰ প্রসঙ্গ—বাংলাদেশে চিলির কারখালা ও অন্তৰিৰ কারখাম । SBX অজ্ঞতার ও দোষেও ত লক্ষ লক্ষ টাকার কারখানা ও কারবার ডুবিয়াছে। - ংলা দেশে চিনির কারখানা ও অস্ত্যবিধ কারখানা চিনির কারখানার সরকারী ও বেসরকারী কোন কোন বিশেষজ্ঞ বলিতেছেন, যে, ভারতবর্ষে ( প্রধানতঃ আগ্রাঅযোধ্যায় ও বিহারে ) ইতিমধ্যেই যত চিনির কারখানা হইয়াছে, আগামী ১৯৩৩-৩৪ সালেই তাহাতে ভারতবর্ষের বর্তমান চাহিদার চেয়ে বেশী চিনি উৎপন্ন হইবে, অতএব ভারতবর্ষে আর নূতন চিনির কারখানা স্থাপন করা উচিত নয়। আমাদের মত সেরূপ নয় । বিদেশী চিনির উপর গুস্ক স্থাপিত হওয়ায় এখন দেশী চিনি তাহার সহিত প্রতিযোগিতা করিতে পারিতেছে, চিনি বেশী দামে বিক্ৰী হইতেছে। চিনি-ভক্ষকেরা যে বেশী দাম দিতেছে, তাহার কতক অংশ লাভের আকারে দেশী চিনির কারখানার মালিক ও অংশীদারদের সিন্ধুকে যাইতেছে।. যদি প্রত্যেক প্রদেশেই যেমন চিনিভক্ষক আছে, তেমনি চিনির কারখানার মালিক ও অংশীদারও থাকে, তাহা হইলে সব প্রদেশেরই অল্পাধিক মুবিধা হয়। অবশু আগ্ৰা-অযোধ্যা ও বিহারে ইক্ষুক্ষেত্রের ও চিনির কারখানার যতটা স্ববিধ আছে, সব প্রদেশে ততটা নাই ; স্বতরাং সব প্রদেশ সমভাবে চিনির ভক্ষক ও উৎপাদক হইতে পারিবে না। কিন্তু ইহাও ঠিক নয়, যে, যেহেতু বিশেষ সুবিধা থাকায় আগ্ৰা-অযোধ্যা ও বিহারে আগেই অনেক চিনির কারখানা হইয়াছে, অতএব অন্য কোথাও তাহা আর হইয়া কাজ নাই—অন্য প্রদেশের লোকেরা কেবল বেশী দাম দিয়া দেশী চিনি খাইতে থাকুক, বেশী দামের লাভটা তাহদের কিছুই পাইয়া কাজ নাই। লোকসংখ্যা বৃদ্ধির দরুণ এবং বর্তমানে যাহারা চিনি খায় ভবিস্ততে তাহদের আরও বেশী চিনি খাইবার সম্ভাবনা থাকার দরশ চিনির চাহিদা বাড়িতে পারে। সুতরাং আরও বেশী চিনির কারখানা স্থাপন অনাবগুক না হইতে পারে। আর একটা কথাও মনে রাখিতে হইবে। আগ্রা-অযোধ্যায় দেশ স্বপরিচালিত চিনির কারখানার লাভ এখন খুব বেশী। একটি কারখানায় এক বৎসরেই লাভ মূলধনের শতকরা - ●●一>砷 - ৪• টাকা হইয়াছে তিন বৎসরেই মূলধনের সব টাকা উগুল হইয়া যাইবে। কারখানার সংখ্যা বাড়িলে চিনির দাম কমিৰে, উৎপাদন কিছু পরিমিত করিতে হইবে, লাভও কিছু কমিৰে, বটে, কিন্তু যথেষ্ট থাকিবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে কেবল কতকগুলি লোক খুব লাভ করিতে থাকিবে, আর কেহ কোন লাভ করিতে পাইবে না, ইহা সমীচীন ও ন্যায্য বাণিজ্যনীতি নহে । লাভ যথেষ্ট থাকিবে, তাহ বহুসংখ্যক লোকের মধ্যে বিতরিত হইবে, এবং ক্রেতার যথাসম্ভব স্বলভ মূল্যে পণ্যদ্রব্য পাইবে-এইরূপ হইলে তাহাই ভাল। অবশ্য, কোন একটি পণ্যদ্রব্য একটা বড় দেশের সব অংশেই প্রস্তুত হইবার স্বাভাবিক স্ববিধা থাকিবেই এমন নয়— যে সকল অংশে উহা প্রস্তুত হইতে পারে তাহার কথাই । বলিতেছি। চিনির কথা হইতেছে। তাহ বাংলা দেশে । লাভ রাখিয়া উৎপাদন করা যায় কি না বিবেচ্য। এক সময় চিনির উৎপাদনে বাংলা দেশ প্রদেশগুলির মধ্যে দ্বিতীয়স্থানীয় ছিল। এখনও বোধ করি চতুর্থস্থানীয় আছে। আকের চাষ গুড় ও চিনি উৎপাদন এখানে স্মরণাতীত কাল হইতে হই আসিতেছে। সুতরাং, যেহেতু অন্যত্র বিস্তর কারখান হই গিয়াছে, অতএব বঙ্গে একটিও হইয়া কাজ নাই, এই যুক্তি অমুসরণ না করিয়া এখানে যথেষ্ট লাভ রাখিয়া চিনি উৎপ করা যায় কি-না বিবেচনা করাই যুক্তিসঙ্গত। সরকা তদন্ত হইতেছেও। বঙ্গের অনেক অংশে বৃহৎ লাগা ইক্ষুক্ষেত্র, যানবাহন প্রভৃতির অন্ধবিধা আছে ; কিন্তু! কোথাও কোথাও স্ববিধাও আছে। সেখানে বড় কারখানা ! হইতে পারে। অন্যত্র এক-একটি জেলা বা সবডিবিজনের জোগান দিবার জন্য ছোট ছোট কারখানা লাভ রাখিন্ধ চালান যায় কি-না দেখা কৰ্ত্তব্য। সকল প্রদেশের মধ্যে বাংলার ; লোকসংখ্যা বেশী। এত বড় প্রদেশের লোকেরা বেশী দামী দিম৷ চিনি কিনিয়াই থাইতে থাকিবে এবং এই প্রকারে পরোক্ষভাবে চিনি-গুন্ধের বড় একটা অংশ দিতে থাকিৰে অথচ সেই শুষ্ক স্থাপিত হওয়ার স্বযোগে চিনির কারখান স্থাপন করিয়া লাভেরও কতকটা অংশ পাইতে পারিবে না ইহা জলক্ষ্য বিধিলিপি মনে করিতে পারি না। বাঙালীক্ষে হাতে মূলধন কম আছে বটে, কিন্তু কোন কারখানাই হইতে পারে না, এত কম নয় । ఫి. !{