পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহারা করিতে পারে। ঠিকৃ কি কারণে ৪১ জন বন্দী উপবাস করিতেছে, সরকারী বিজ্ঞপ্তিপত্র হইতে তাহ জানা বাইতেছে না। লোকে সখ করিয়া বা ফ্যাশনের অনুরোধে প্ৰায়োপবেশন করে মা । ৪১ জন তাহ করায় এবং তাহাদের মধ্যে তিন জনের মৃত্যু হওয়ায় এরূপ সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক, যে, তাহার স্কায়সঙ্গত ব্যবহার পায় নাই। পাইয়াছে কি না, তাহার প্রকাগু তদন্ত হওয়া উচিত। সরকারী বিজ্ঞপ্তি অনুসারে যে-ঘে দাবি প্রায়োপবেশনের কারণ, স্বামী জ্ঞানানন্দ দেখাইয়াছেন. যে, সেই দাবিগুলি জেল-বিধি অনুসারে ন্যায্য । তিনি প্রায়োপবেশনের অনেক আগেই খবরের কাগজে বন্দীদের নানা অভাব অভিযোগের কথা লিথিয় জানাইয়াছিলেন, যে, সেগুলি দূরীভূত না হইলে তাহারা সম্ভবতঃ উপবাস করিবে। সম্ভবতঃ গবন্মেণ্ট এই সব খবরের প্রতি দৃকপাত না করায় প্রায়োপবেশন আরম্ভ হয়। অদক্ষ লোকে জোর করিয়া কাহাকেও খাওয়াইতে গেলে খাদ্য তাহার পেটে না গিয়া ফুসফুলে ধাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ও তাঙ্গতে নিউমোনিয়া হইতে পারে। স্বত তিন জনের মধ্যে দু-জনের, জোর করিয়া খাষ্ট্ৰয়াইবার চেষ্টার পর, নিউমোনিয়াতে মৃত্যু হয়। মৃত চিন জনের মৃত্যুসংবাদ গবক্সেণ্ট তাহদের আত্মীয়দিগকে দেন নাই। অপর আটত্রিশ জনের নাম প্রকাশ করিতে দুষ্ট রাজী , নহেন। এই অতিশোচনীয় সমস্ত ব্যাপারটির প্রকাশ্য তদন্ত হওয়৷ উচিত, সমুদয় বন্দীকে আণ্ডামান হইতে ভারতবর্ধের জেলে আনা উচিত, এবং অতঃপর আণ্ডামানে আর কোন বন্দীকে পাঠান উচিত নহে। কংগ্রেসওয়ালাদিগকে প্রবারের অভিযোগ পণ্ডিত মদনমোহন মালবীয় (“মালব্য” নহেন ) একটি বর্ণনাপত্রে কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের প্রতি পুলিস কর্তৃক অত্যাচারের কতকগুলি দৃষ্টান্ত দেন। গবন্মেটি বলিতেছেন, সেগুলি সৰ্ব্বৈব মিথ্যা। কেপুল বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাহাদের কথার উপর বিশ্বাস করিয়াই ইহা বলা হইতেছে। অভিযুক্তরাই জঙ্গ, জুরী, সাক্ষী ইত্যাদি সব । সরকারী মুনিকেতেই দেখা যাইতেছে, যে পুলিল বলপ্রয়োগ SOBO করিয়াছিল, কিন্তু তাহা তাহদের কর্তব্যপালনার্থ নূ্যনতম বলপ্রয়োগ। তাহ কি রকম নু্যনতম বলপ্রয়োগ যাহাতে মানুষের র্দাত ভাঙিয়া যায় ও স্বন্ধের হাড় স্থানচ্যুত হয় ? আহুত দু-জনের এইরূপ হইয়াছিল বলিয়া সরকারী বিজ্ঞপ্তিতে আছে। কংগ্রেস কোন কালে বেআইনী সভা বলিয়া ঘোষিত হয় নাই, স্বতরাং তাহার ডেলিগেটদিগকে গ্রেপ্তার করা, বা কংগ্রেসের অধিবেশন ভাঙিয়া দেওয়া পুলিসের আইনসঙ্গত কৰ্ত্তব্যপালনের মধ্যে পড়ে না । পুলিস যে মারপিট করিয়াছিল, সে-কথা কয়েক জন ভারতীয় এবং একজন আমেরিকান নিজ নিজ অভিজ্ঞতা হইতে খবরের কাগজে লিথিয়াছেন ; মালবীয়জী ত আগেই লিখিয়াছেন। তিনি বলেন, “প্রকাগু তদন্ত হউক, আমি প্রমাণ উপস্থিত করাইব ; কিংবা আমার নামে মোকদ্দম করা হউক।” সে সাহস ভারত-সচিবের হইতেছে না কেন ? গবন্মেণ্ট বলেন, খবরের কাগজে পুলিসের তথাকথিত অত্যাচারের সব বর্ণনা বাছির হয় নাই, অতএব ওগুল মিথ্যা । গবন্মেণ্ট কি জানেন না, যে, প্রেস-আইনের কঠোরতা এবং প্রেস-অফিসারের কঠোর কৰ্ত্তব্যপরায়ণতার গুণে মালধীয়জীবর্ণিত ঘটনা অপেক্ষাও শোচনীয় ঘটনা খবরের কাগজে বাহির হইতে পারে না ? যাহা হউক, ইহা একটা ভাল খবর, যে, গবন্মেটি দেশী সংবাদপত্রগুলিকে (দায়ে পড়িয়া ? ) সত্যসাক্ষী মনে করেন । - বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশন বসিয়াছিল ৪ঠা এপ্রিল পধ্যস্ত, অথচ ৩০শে মার্চ ও ১লা এপ্রিলের বণিত অত্যাচারের কথা কোন সদস্ত তথায় তুলেন নাই, অতএব তাহ মিথ্য—গবন্মেণ্ট এইরূপ তর্ক করিয়াছেন। কিন্তু কোন বা অধিকাংশ ধৃত কংগ্রেস-ডেলিগেট ৪ঠার আগে হাজত হইতে খালাস পান নাই, অনেকে ৭ই খালাস পাইয়াছেন। স্বতরাং ব্যবস্থাপক সভার প্রশ্ন করানর উপর তাহাদের আস্থা যদি থাকিত, তাহা হইলেও তাহ করাইবার সময় ছিল না । سی লালবাজার থানায় কয়েী-গাড়ী থামিবার পর আঁধারে পা-দানে ঠিক পা দিতে না পারিয়া পড়িয়া গিয়া দু-জন ডেলিগেট আভ্যন্তরীণ বেদনার অভিযোগ করেন, এবং এইজন্ত তাহাদিগকে তৎক্ষশাখ হাসপাতালে পাঠান হয় ; ইহা পুলিসের