পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰিৰিৰপ্ৰসঙ্গ—কলিকাভা করপোরেশন ও গবজেন্ট 88ግ আষাঢ় প্রশে निक চিকিৎসা ও লোক-স্বাস্থ্য बौडज़ांछ *৬৪৮ টীকা -৩৩৩ টাকা বোম্বাই 3’-ea . 's१२ • জাগ্ৰা-জবোধ্যা *৪২১ - 8ציe ,

  • णंariव “ves - "ניאסי - ৰাংল *२ve = *२> • •

লণ্ডনে পঠিত স্বভাষ বাবুর বক্তৃত। লগুনে ভারতীয় রাজনৈতিক সম্মেলনে শ্ৰীযুক্ত স্বভাষচন্দ্র বন্ধ ছাড়পত্রের অভাবে সভাপতিত্ব করিতে পারেন নাই। র্তাহার অভিভাষণ অন্যের দ্বারা পঠিত হয়। উহার তাৎপৰ্য্য আজ ৩০শে জ্যৈষ্ঠের কাগজে দেখিলাম। উহার সমালোচনা করিবার সময় ও স্থান নাই। কিন্তু সংক্ষেপে ইহা বলা যায়, যে, ব্রিটেন ও ভারতের রফা এবং প্রস্তাবিত ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে রাজন্যদিগের স্থান সম্বন্ধে তিনি যাহা বলিয়াছেন তাহাতে সত্য আছে। , কলিকাতা করপোরেশন ও গবষ্মেন্ট গবন্মেণ্ট কর্তৃক কলিকাতা মিউনিসিপাল আইন সংশোধনের যে-প্রস্তাব উপস্থাপিত হইয়াছে উহার ফলে কলিকাতা করপোরেশনে কংগ্রেস-পন্থী দুই দলের মধ্যে ঐক্য স্থাপিত হইয়াছে, ইহা সন্তোষের বিষয়। কিন্তু তাহা সত্ত্বেও প্রস্তাবিত আইন পাস হুইবে না এ-কথা বলা চলে না। গবন্মেণ্ট ও করপোরেশনের মধ্যে বহুদিন ধরিয়া নানা বিষয়ে মতান্তর চলিয়া আসিতেছে। গবন্মেটি অন্য কোন উপায়ে করপোরেশনকে বশে আনিতে না পারিয়া এই নূতন আইনের প্রস্তাব করিয়াছেন। এই আইনটি যাহাতে পাস হইয়া যায় গবন্মেন্টের পক্ষ হইতে তাহার জন্ত চেষ্টার ক্রটি হইবে না, এবং বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় এখন গবষ্মেন্টের যেরূপ ক্ষমতা তাহাতে এই আইন পাস হুইয়া যাওয়া খুবই সম্ভব। স্বতরাং এই প্রস্তাবিত আইনটিকে নামধুর করিতে হইলে দেশীয় সদস্তদিগকে ও কলিকাতার অধিবাসীদিগকে বিশেষ সতর্ক ও উদ্যোগী হইতে হইবে। এই উদ্বেগু সাধনের জন্ত নূতন আইনটির প্রকৃত উদেশু কি, সেসম্বন্ধে দেশের লোককে সচেতন করা প্রয়োজন। সরকার পক্ষ হইতে গবন্মেন্টের সাধু উদ্বেগু সম্বন্ধে অনেক কথা বলা হুইয়াছে। কিন্তু একটু তলাইম দেখিলেই মনে হয়, আইনের প্রকৃত উদ্দেশু কলিকাতাবাদীদের হিতসাধন নয়, গবন্মেণ্টের জেদ এবং কতকগুলি বিদেশী ব্যক্তি ও বিদেশী কোম্পানীর স্বাখরক্ষা। কলিকাতা করপোরেশনের বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থা সম্বন্ধে স্বায়ত্তশাসন-বিভাগের মন্ত্রীর বিবৃতিতে ও নূতন আইনের ভূমিকায় যাহা বলা হইয়াছে তাহাতে লোকের ধারণা হইতে পারে, যে, করদাতাদের চক্ষে ধুলা দিয়া করপোরেশনে একটা বিরাট অপব্যয়, এমন কি প্রতারণ পৰ্য্যন্ত চলিতেছে ; গবন্মে ণ্ট এসকলই দেখিতেছেন, বুঝিতেছেন, কিন্তু ক্ষমতার অভাবে কিছুই করিতে পারিতেছেন না। কিন্তু সত্যই কি তাই ? গবন্মেন্টের পক্ষ হইতে যে-সকল “বে-আইনী” খরচ ও আইনকে “ফাকি” দেওয়ার কথা বলা হইয়াছে সেগুলি কি ? যে-সকল কুব্যবস্থার জন্য এইরূপ একটি আইনের প্রয়োজন হইল, সেগুলি একমাত্র গবন্মেন্টেরই চক্ষে পড়িল, কলিকাতা করপোরেশনের কমিশনার, কলিকাতার করদাতা বা দেশের অন্য কাহারও চক্ষে পড়িল না, ইহা কি করিয়৷ সম্ভব হইতে পারে ? না বুঝিতে হইবে, কলিকাতা ও মফস্বলের সমস্ত লোক পরামর্শ করিয়া কলিকাতা করপোরেশনকে ঠকাইতেছে । গবন্মেণ্ট কোনও তথ্য প্রমাণ না দিয়া যেরূপ ভাবে একতরফা নিম্পত্তি করিয়াছেন তাহাতে এইরূপই মনে হয়। প্রকৃত প্রস্তাবে এখানেও দেশের লোক ও গবন্মেণ্ট পক্ষের স্বার্থের এরূপ গুরুতর বিরোধ রহিয়াছে যে, গবন্মেন্টের পক্ষে এই আইনের উদ্দেশু সম্বন্ধে সব কথা খুলিয়া বলা সম্ভব নয়। এত দিন পৰ্য্যস্ত কলিকাতা করপোরেশনের ভিতর দিয়া বহু বিলাতী কোম্পানীর প্রভূত আয় হইতেছিল। কলিকাতা করপোরেশন কংগ্রেস দলের আয়ত্তাধীন হওঁী এবং একজন বাঙালী করপোরেশনের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পর হইতে যে-সকল নূতন বিধি-ব্যবস্থা হইতেছে, তাহার ফলে এই সকল বিদেশী কোম্পানীর স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হইবার সম্ভাবনা হইয়াছে। ষে ইলেকট্রসিটি স্কিম’ নূতন আইনের একটি মুখ্য কার, উহার দ্বারা কলিকাতা ইলেকটিক সাপ্লাই করপোরেশনের