পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gs d যতটা সম্ভব সহজ ভাবেই আসিয়া দাড়াইল । “কি বাবা ।” বলিয়া মুখ তুলিতেই চোখের পাতা কিন্তু নামিয়া আসিল । “অমন শুকনো কেন মা ?—আজ ঘুমোও নি, না ?— এ-ই, দেখেচ—দুই পাড়ী-বেড়ানী মেয়ের কাও ” কাছে টানিয়া লইলেন -“অম্লখ করবে যে...বাবার চিঠি, এসেচে, দেখেচ ?” “কষ্ট না” --চোখ তুলিতেই আবার সঙ্গে সঙ্গে নামিয়া পড়িল। মুখটাও একটু রাঙা হইয়া উঠিয়াছে। শ্বশুর দেখিলেন, পাগলী মেয়ে—বাপ লইয়া যায় না বলিয়া চিঠির নামেই অভিমান ; ক’টা দিনষ্ট বা সে আসিয়াছে তাহা তো হিসাব করিয়া দেখিবে না । বলিলেন---“এসেচে । লিখেচেন বেহাই মশাই ।” আসল কথাটি জানাইবেন কি-না ভাবিতে লাগিলেন – ‘কদিন থেকে শয্যাধরা-—বেশ ভাবনার কথা। বলিলেন— “বেয়ান ঠাকরুণের একটু অম্বখ লিখেচেন। কিন্তু কেমন যেন একটু খাপছাড়া খাপছাড়া,---হঠাৎ শেষের দিকে পুনশ্চ দিয়ে একটু লেখা। আর, এই সেদিন চিঠি এল, কিছু তো লেখেন নি ...যাই হোক অজিত গিয়ে একবার তোমায় রেখে আমুক ।” সফলতার আনন্দে শরীর মনের সঙ্কোচটা কাটিয়৷ যাইতেছে ; বুদ্ধিও খুলিতেছে —চপলা বলিল—“খাপছাড়া যে ব’লচেন বাবা-বোধ হয় মনটা স্বস্থির নেই। আর আগে লেখেন নি...” বাপের অসঙ্গতির জন্ত কস্তার দুশ্চিন্তা লক্ষ্য করিয়া এবং অদ্ভুত জবাবদিহি শুনিয়া শ্বশুর হাসিয়া উঠিলেন ; —“বাপ নিশ্চম গাজ-টাজ খায় ;--উল্টা সোজা জ্ঞানগমি নেই।” বাৰু, কথাটা চপল পূৰ্ব্বে অত খেয়াল করে নাই। বাবার গাঁজাখুরির অপবাদে যদি আপাতত ওটা চাপা পড়ে তো তাহার আপত্তি নাই। মনে মনে খুণী হইয়া হালিয়া বলিল—“ধান, ঠাট্টা করচেন আপনি ।” भान श्रफ़िण, ५ककै कथी जिलांग कब्र झछ नाहे, पाश :f. אזע"-הסefs afr ו s fsoסagai tif והחerii fruא ৫ প্রবাসী; __ ఏరి3ం খুব অস্কখ না-কি বাবা ?—আমার তো ভয়ে হাত-পা যেন অবশ হয়ে আসচে,—হঠাৎ যেতে বলা কেন রে বাপু !”— মুখটা বিমর্ষ করিবারও চেষ্টা করিল। সরল আনন্দকে কৃত্রিম বিষাদে চাপা দিতে পারিল না। সেটুকু শ্বশুরের লক্ষ্য এড়াইল না; তবে, বাৎসল্য না-কি নিজেকেই নিজে প্রবঞ্চিত করে তাই ভাবিলেন--আহা, বড় ছেলেমানুষ, বাড়ি যাওয়ার আহলাদেই ও এখন আত্মবিস্তৃত –ভালই, যত ভুলিয়া উত্তর দিলেন– “না, এই সামান্ত একটু জর। তবে, দেখতে চাইচেন, দেখে এস একবার।” –মুখে সহজ প্রফুল্লতা ভাবটা টানিয়া রাখিবার চেষ্টা। বধুরও লক্ষ্য এড়াইল না। শ্বশুরকে প্রবঞ্চনা করার জন্য একটু অনুতাপও বোধ হয় হইল,—আহা বুড়া মাহয় তায় গুরুজন!...কিন্তু তখনই মনে পড়িল,—আর একটু প্রবঞ্চন করা দরকার,-উচিত হিসাবেও, আবার ওই গোলমেলে চিঠিটা হস্তগত করিয়া ফেলিবার জন্যও। বলিল-“কই, চিঠিটা তো দেখলাম না বাব ; কি লিখেচেন দেখি না একবার IP শ্বগুর বলিলেন—“হঁ্য, এই যে-” এ-পকেট সেপকেট খুজিলেন। বলিলেন- “কোথায় যে রাখলাম...দেবখন খুঁজে...ভালই আছেন, এমন কিছু নয় । যাও, একবার পাজিটা নিয়ে এস দিকিন।” ভাবিলেন—একেবারে শয্যাধরা লেখা রহিয়াছে, চিঠিটা দেখান ঠিক নয়। আহা, নিতান্ত ছেলেমানুষ, এক্ষেত্রে একটু প্রবঞ্চনা করাই ভাল। করিলেনও । বাক্সপত্র গুছাইতে গুছাইতে আবার হঠাৎ একটা কথা মনে উদম হইয়া চপলার সর্বশরীর যেন শিথিল করিয়৷ দিল,—শ্বস্তর যে বাবাকে চিঠির উত্তর দিবেন। তাহা হইলেই তো সব কথা ফাস হইয়া যাইবে । আর, তাহার পর যে লাঞ্ছন, যে-কেলেঙ্কারি তাহ ভাবিতেও যে গা শিহুরিয়া «ά ... এমনই অসহায় অবস্থা যে মা-দুর্গাকে খোশামোদ করিলেও