পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ उप्रमांगडम् ৫২১ ছিল তোমার মনে মা, শেষকালে ? তোমারও তো বাপের বাড়ি আছে, পাগলের মত ছুটে আসতে হয়...” যুক্তিটা নিশ্চয় ম-দুর্গার মৰ্ম্মে লাগিল।...প্রথম ঘোরট কাটিয়া গিয়া চপলার মাথাটা একটু পরিষ্কার হইল। শ্বশুরের কাছে গিয়া বলিল—“বাবা, বলছিলাম যে...” “হ্যাম, বল...” “এই বলছিলাম-আপনি বাবাকে চিঠিটা লিখে আমায় দিয়ে দেবেন ; আমিও তার ওপর দুটো কথা লিখে ডাকে...” “চিঠি লিখে তো কোন ফল হবে না, মা ; তোমরা তে৷ কাল সকালেই যাচ্চ। তাই ভাবচি...” “হ্য বাব, থাকৃ।” একটি স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়িয়া বুকট হালকা হইল । "তাই ভাবছিলাম একটা না-হয় টেলিগ্রাম...” সৰ্ব্বনাশ ! চপল একেবারে কপালে চোখ তুলিয়া বলিল-—“টেলিগ্রাম!” “হঁ্য মা, তাই ভাবছিলাম ; কিন্তু হিসেব ক’রে দেখচি— সেও তো তোমাদের গায়ে তোমাদের আগে পৌঁছুবে না।” আর একটি স্বস্তির নিঃশ্বাস--বাবাঃ, ফঁাড়া যেন কাটিয়াও কাটে না । তাড়াতাড়ি বলিল “হঁ্যা বাবা, আর মিচিমিচি পয়সা খরচও- এই মাগগি গণ্ডার দিন...” বুদ্ধির জোয়ার নামিয়াছে। একটু থামিয়া বলিল—“আর এও তো ভেবে দেখতে হবে বাবা- মার আমন অস্কখ, এর মধ্যে খুটু করে এক টেলিগ্রাম! শেষকালে কি হতে কি হয়ে পড়বে; আপনি-ই বলুন না ?...তার চেয়ে আমার হাতে বরং ভাল করে, একটা চিঠি লিখে দেবেন-আমি গিয়েই বাবাকে দিয়ে দোব।” অনাগতম্ জীবিরামকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় তোমারে খুঁজেছি আমি খুঁজিয়াছে প্রাণের পথিক, দ্বার হতে গেল চলে পুষ্পিত যৌবনে ; “আত্মবোধ নিবেদিতে বিকশিত প্রাণ-পুপ গন্ধের অঞ্জলি— ক্ষুণ্ণ হ’লে হে আত্মীয়, এ ঞ্জীবন হবে যে অলীক ! কৈশোরের হে কল্পনা, যৌবনের আনন্দ-প্রতীক, সকল দীনতা মোর এ প্রাণের সৰ্ব্ব গ্লানি ভুল, পৃথিবীর খেল-ঘরে কি খেলিচু তাই আজ বলি কোমল বক্ষের তলে রাগিয়াছি মোহ-মুঠি ধরি জীবন-গোধূলি-লগ্নে ; আসিবে বলিয়া তুমি ! তুমি এলে লভিব অতুল —কত মোর রাত্রি আর দিব তব প্রেম-সঞ্জীবনী।—তাই ত এ প্রাণ-পাত্র ভরি প্রতীক্ষার ক্লাস্তি লয়ে শুধু তব আগমনী-গানে বেদনার আশ্র-মুক্ত রাখিয়াছি,—জীবন করেছি ভোর ব্যর্থ হ’ল ; কত না রঙীন স্বপ্ন প্রেম-পুপ-বিভ অপেক্ষার একক শয়নে ; স্নান হ’ল কল্পনার কল্প-বনে ! ७झे মোর এই প্রাণে আকাঙ্ক্ষার অভিনয় হ’ল নাকে আজও সমাপন ; এই দেহু-দেহলীতে ్సు ব’লে, দু-একটি সঙ্কল্পের ফুল্ল ফুল আজও আছে ফুটে দেহ পুরে আী তোমার অর্চনা লাগি –তুমি আজও রহিলে স্বপন আঁকিয়াছি,– কল্প-কারাকক্ষ ত্যজি এস আজ চলে । ছে বঁধুয়, শূন্ততার হাহাকার জাগে প্রাণ-পুটে। হৃদয়ের শত তন্ত্রী তাই প্রিয় মিলন-উন্মুখ, y সমস্ত অস্তর মোর তব রূপে উঠিয়াছে ভরি ; আমার তমুর তটে লক্ষ-কোটী কামনা-কপোত এ চিত্ত-আনন্দ-রাগ, পরাণ-পদ্মের মধুটুক্ কেঁদে কেঁদে ফিরে গেল ; কত প্রিয় অতিথি-পধিক . হে মর্ণ-মুণ্ডপ বঁধু নিঃশেষিয়ালও আজ হরি'। '