পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢९७ অর্থের প্রয়োজন। বলা বাহুল্য, তাহার ব্যবস্থাও এই আইনে আছে । যুরোপেও অনেক দেশে সরকার কৃষির উন্নতির জন্ত অনেক কিছু করিয়া থাকে। ফ্রান্সের কথাই ধরা যাক । ফরাসী দেশে কৃষির উন্নতির জন্য কেবল সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠা করিয়াই সরকার ক্ষান্ত হন নি, কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের বিশেষ ব্যবস্থা করিয়াছেন। জাতীয় কৃষি ঋণদান সমিতি বেণীর ভাগ সরকারী ব্যাঙ্ক অব ফ্রান্স-এর সাহায্যেই চলে। ১৯০০ হইতে ১৯২০ সাল পর্যন্ত কৃষির জন্য ঋণ দেওয়া হইয়াছে প্রায় ১১৭ কোট ফ্রাঙ্ক। এই টাকার প্রায় অৰ্দ্ধেক দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ। ফ্রান্সে কৃষি ঋণদান সমিতির সংখ্যা ৫,৭৩০, সভ্যসংখ্যা ৩,৮৩,০০০ । ফ্রান্সে সমবায় সমিতির সংখ্যা ৯,০০০, সভ্যসংখ্যা ১২,২৫,০০০ । ১৫০০টি সমিতি পনীরের ব্যবসায়ে লিপ্ত, ২৮৭৭টি সমিতি কৃষি উংপাদন ও কৃষিপণ্য বিক্রয়ে ব্যাপৃত । ইহা ছাড়া অন্য নানাবিধ সমিতিও আছে । বিখ্যাত অর্থনীতি বিশারদ অধ্যাপক চালর্স জিদ ( Gide ) ফ্রান্সে সমবায় সম্বন্ধে লিখিয়াছেন : কেহ কেহ মনে করেন, সরকারী সাহায্যে সমবায় ফুক্তি পায় না ; একথা যে সম্পূর্ণ সত্য নম্ন ফ্রান্সে তাহা প্রমাণিত হইয়াছে। তিনি বলেন যেখানে সাধারণে সমবায় সম্বন্ধে বিশেষ উৎসাহী ছিল না, ব্যক্তিগত চেষ্টাতে বিশেষ ফল যেখানে ফলিত না, সেখানে রাজসরকারের যত্ন ও অধ্যবসায়েই সমবায় এরূপ সাফল্য লাভ করিয়াছে । যুরোপে কেবল ফ্রান্সই কৃষির উন্নতির জন্য যে সচেষ্ট তাহ নহে। ইংলণ্ডের রাজসরকার প্রতি বৎসর ক্লযি ব্যবসায়ের উন্নতির জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন। ১৯৩১ সালে কৃষিজাত পণ্য বিক্রয় সম্বন্ধীয় এক আইন পাশ হয়। এ সম্পর্কে একটি বড় প্রতিষ্ঠান গঠন করা হইয়াছে। এই সমিতির হাতে রাজকোষ হইতে প্রায় সাত কোটী টাকা দেওয়া হইয়াছে। এই টাকার সাহায্যে কৃষি-পণ্য বিক্রমের স্বব্যবস্থার চেষ্টা করা হইতেছে। কৃষির উৎকর্ষের জন্য ইংলণ্ডের রাজসরকার কত যত্নবান তাহার আরও অনেক প্রমাণ আছে। চিনির জন্য বীট উৎপাদনে বাৎসরিক প্রায় কোটী টাকা পৰ্য্যন্ত ও গমের জন্ত প্রায় তের কোটি টাকা পৰ্যন্ত সরকার Σ><>8Ο যাহাতে ব্যয় করিতে পারেন ভtহার ব্যবস্থা আছে। জমি সম্বন্ধীয় বহু আইনও কৃষির উৎকর্বে সাহায্য করে। এই সকল বাবদেও রাজসরকার হইতে কম টাকা ব্যয় হয় না । জাৰ্ম্মানী, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, হল্যাণ্ড প্রভৃতি দেশেও সরকারী সাহায্যে কৃষির উন্নতির জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করা হয় । কৃষি-মাল বিক্রমের সুব্যবস্থা ও সমবায়ের সাহায্যে উৎকৃষ্টতর কৃষিপণ্য উৎপাদন—প্রধানত এই দুই দিক দিয়া এই সকল দেশেও কৃষকের অবস্থা উন্নত করিবার চেষ্ট হইতেছে। শ্রযুক্ত এাষ্ট্রর ও মারে "ভূমি ও *R' (Land and Life) নামক নূতন গ্রন্থে জার্মানী সম্বন্ধে লিথিয়াছেন—সরকারী সাহায্যে কৃষি-যানের এমন স্বব্যবস্থা এদেশে হইয়াছে যাহার তুলনা অন্য দেশে পাওয়া কঠিন। খণ্ড খণ্ড বিচ্ছিন্ন জমিকে এক করিয়া চাষের সুবিধা করিতে হইলে, জমির উৎপাদিক শক্তি বাড়াইতে হইলে বহু অর্থের প্রয়োজন । লড়াইয়ের আগে হইতে ( ও তাহার পরে } জাৰ্ম্মানীতে বহু প্রতিষ্ঠান গড়িয়া উঠিয়া কৃষি-ঋণের ব্যবস্থা করিয়াছে। গত কয়েক বৎসরের মধ্যে কৃষি সমবায় বিশেষ বিস্তৃতি লাভ করিয়াছে। জাপানে রাজসরকার কৃষির উৎকর্ষের জন্য কি করেন তাহার বিবরণী ১৯৩১ সনের “রুষি সমবায় বার্ষিকী” (YearBook of Agricultural Co-operation, 1931 ) 5sf Tē পুস্তকে প্রদত্ত হইয়াছে। জাপানে অন্যান্য ব্যবসায়ের লভ্যাংশের উপরে যেমন ট্যাকস আছে কৃযি ব্যবসায়ের লভ্যাংশের উপর সেরূপ কোন ট্যাক্স নাই ; যাহারা নিজেরা চাষ করে জমি যাহাতে তাহদের হাতে যতটা সম্ভব থাকে তাহার জন্য জমি বন্ধক ক্রয় প্রভৃতির সময়ে চাষীকে রেজিষ্ট্রেসন ফি দিতে হয় না ; কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের মধ্য দিয়া রাজ-সরকার অল্প স্বদে চাষের উন্নতির জন্য টাকা ধার দেন ; কৃষি-পণ্য সংরক্ষণের জন্য জাপান সরকার অর্থসাহায্য করেন। জাপানে কৃষি-সমবায় সরকারী যত্নে ও সাহায্যে বাড়িয়া উঠিয়াছে। কৃষি ঋণদান সমিতি সমবেত ভাবে চাষের যন্ত্রাদি ও সার ক্রয়, সমবেত ভাবে কৃষি-পণ্য বিক্রয়—এ সকলের পিছনে রাষ্ট্রশক্তির চেষ্টা ও ষত্ব বিদ্যমান। উপস্থিত কৃষিজাত দ্রব্যের মধ্যে পাট-ই আমাদের আলোচ্য বিষয়। পাটের বাজার পড়িয়া ধাওয়ায় বাংলায় झोझै अर्ष मर्का श्हेब्राट्छ । जब्रकोटब्रब्र e अछाना