পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{Sty ব্যবস্থার মধ্য দিয়া হয়। সেজন্য সরকার বা রুষক কেহই ক্ষতিগ্রস্ত হন না । এই ব্যবস্থার ফলে সমস্ত অঞ্চলের চেহারা ফিরিয়া গিয়াছে, স্বাবলম্বনে এক নূতন জীবনের আস্বাদ ইহার পাইয়াছে। সমবায়ের দ্বারা যে আমাদের এই বাংল দেশেও রুমি-পণ্য বিক্রয়ের স্বব্যবস্থা করা যায় গোসাবা ও নওগাতে তাহ প্রমাণিত হইয়াছে। একটি, দুইটি, বা তিনটি গ্রাম লইয়া সমবায় ঋণদান সমিতির মতই সমবায় পাট-বিক্রয় সমিতি গঠন করিতে পারা যায় সমস্ত বাংলা দেশে পাট-বিক্রয় সমিতি গঠন করিতে সময় লাগিবে, বোধ হয় দশ-বারো বৎসরের কম হইবে না; কিন্তু আমরা ছোট করিয়া আরম্ভ এখনই করিতে পার । গ্রাম্য পাট বিক্রয় সমিতিগুলির একটি করিয়া কেন্দ্রীয় সমিতি থাকিবে । মহকুমা শহরে বা যেখানে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক আছে এরূপ স্থলে এই সকল সমিতি প্রতিষ্ঠিত হইতে পারিবে । কেন্দ্রীয় পাট বিক্রয় সমিতিতে সুদক্ষ কৰ্ম্মচারীর তত্ত্বাবধানে পাট বাছাই করিয়া ও তাহার শ্রেণী বিভাগ করিয়া গাইটে বাধা হইবে। কেন্দ্রীয় সমিতিগুলি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের মত এক প্রাদেশিক সঙ্ঘের সহিত যুক্ত থাকিবে । এই ভাবে সমবায় নীতিতে সমস্ত পাট বেচিবার ব্যবস্থা করা যাইতে পারে। প্রাদেশিক সঙ্ঘ হইতে গ্রাম্য সমিতি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান সমবায় সমিতিসমূহের রেজিষ্ট্রারের অধীনে থাকিবে। অবশু পাটসমিতিগুলির জন্য এক জন সহকারী রেজিষ্ট্রারের ( Deputy Registrar ) erstaa sẽr i সমস্ত পাট যদি সমবায় সমিতির হাত দিয়া বিক্রয় হয় তাহ হুইলে প্রতি মণ পাটের উপর এক পয়সা মাশুল ধাৰ্য্য করিয়া বার্ষিক চার হইতে পাচ লক্ষ টাকা তোলা যাইতে পারে। মাগুলের অৰ্দ্ধেক ক্রেতা, আর অৰ্দ্ধেক বিক্রেতা দিবেন। পাট-সমিতির কাজ তত্ত্বাবধান করিবার জন্য সমবায় বিভাগে যে নূতন কৰ্ম্মচারী নিয়োগের ও ব্যবস্থা-বিধানের প্রয়োজন । হুইবে তাহার অর্থ এই ভাবে সহজে সংগ্রহ করা যাইতে পারে. এখন সমবায় বিভাগের জন্ত সরকারের খরচ হয় { ১৯৩১-৩২ সালের হিসাবমত ) ৭,৬৪,০০০২ টাকা। ইহার মধ্যে সমবায় সমিতিগুলি তাঁহাদের হিসাব পরীক্ষার জন্য Brs: -• ه ه و د ه چ4fچ: -یہ بیان ۔ ، سنہ سیبھُ' প্রিবাসী ; S<CBO দিতে হয় । কলিকাতায় যে প্রাদেশিক পাট সমবায় সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠিত হইবে উহা বিশেষজ্ঞ নিযুক্ত করিয়া ভাল বাজারে যাহাতে পাট বিক্রয় হয় তাহার ব্যবস্থা করিবে । সমবায় পাট সমিতির প্রতিনিধি লইয়া এই সজ গঠিত হুইবে, যদিও ইহার পরিচালনে সমবায় বিভাগের ও পাট ব্যবসায়ীদের পরামর্শ সৰ্ব্বদা লইতে হইবে। অনেকটা ইহাদের নির্দেশ অনুযায়ী কাৰ্য্যপ্রণালী স্থির করিতে হইবে । তবে ভোটের অধিকার বা কর্তৃত্ব ইহাদের থাকিবে না। চাষীরা নিরক্ষর ও অনভিজ্ঞ বলিয়া প্রথম প্রথম অনেকটা ভার সমবায় বিভাগের উপর বাধা হইয়া ন্যস্ত থাকিবে, ক্রমশঃ প্রাদেশিক সঙ্ঘ সকল ভার গ্রহণ করিবেন । প্রতি বৎসর কত পাট উৎপন্ন হইবে তাহার আনুমানিক হিসাব, অবশ্য ইহারাই প্রস্তুত করিবেন । পাটের নূতন নূতন ব্যবহার সম্বন্ধে অনুসন্ধান ও গবেষণার ব্যবস্থা করিতে হইবে। তাহার ফলে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পাইবে, উৎকৃষ্টতর পাটও উৎপন্ন হইবে। চাহিদার অতিরিক্ত পাট যাহাতে উৎপন্ন না হয় তাহার ব্যবস্থাও এই সঙ্ঘ করিতে পারিবেন। পাটের মূল্য তাহাতে হ্রাস পাইবে না। এই সঙ্ঘে সমবায় বিভাগের কর্তৃপক্ষের ও পাট ব্যবসায়ীদিগের প্রতিনিধির পরামর্শদাতা হিসাবে থাকিবেন বলিয়া ইহারা পাটের মূল্যও অন্যায়রপে সহজে বাড়াইতে পারিকেন না । এইরূপ সঙ্ঘগঠনের সর্বপেক্ষ বড় লাভ এই হইবে যে, এখন পাট লইয়৷ যে স্থত্তি খেলা চলে তাহ চলা সম্ভব হইবে না । পাটের মূল্যের স্থিরত রক্ষা করা বড় কঠিন। প্রধানতঃ মাল সরবরাহের জন্য পাটের প্রয়োজন হয় । ইংলণ্ড, ফ্রান্স, ফিনল্যাণ্ড, হাঙ্গেরী, পোলাও, যুগোশ্লাভিয়া, ইতালী, স্পেন, নরওয়ে, কানাডা, আমেরিকার যুক্তরাজ্য, জাপান, চীন প্রভৃতি বহু দেশ পাটের খরিদার। এই সকল দেশে বাণিজ্যের পরিমাণের উপর পাটের চাহিদা ও পাটের মূল্য নির্ভর করে। ব্যবসা মন্দা পড়িলে পাটের প্রয়োজন কম হয় । অনেক স্থলে অন্য ব্যবস্থায় ইহার প্রয়োজনীয়তা কমিয়া গিয়াছে। এই অবস্থায় চাষ না কমাইলে দাম একেবারে পড়িয়া যায়। সমবায় সমিতির হাত দিয়া বাংলার সমস্ত পাট বিক্রমের ব্যবস্থা করার সঙ্গে সঙ্গে পাট-চাষ গন্ধে বিশেষ আইনেরও প্রয়োজন হইবে। -