পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

අළ8 লোহেলাণ্ড স্কুলের দৃশ্য নিকটস্থ গ্রামসমূহে বাস করেন। তাঁহাদের জীবনধাপনপ্রণালী যতদূর সম্ভব সরল, অনাড়ম্বর । তাহারা আধুনিক সভ্যতার কোলাহল ও প্রলোভন হইতে বহুদূরে থাকিয় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনায় ব্যাপৃত থাকেন । উদ্যান ও বনভূমির দিকে চাহিতে চাহিতে যখন লোহেলাণ্ডের দিকে অগ্রসর হওয়া যায় তখন সৰ্ব্বপ্রথমে যে-সৃহটি নজরে পড়ে সেইটিই শিক্ষালয়ের প্রধান গৃহ । বাড়িটি দেখিতে অতি চমৎকার, কাঠের তৈরি ; সেইজন্যই বোধ হয় উহাকে ‘হোল্ৎস্ হাউস’ এই নাম দেওয়া হইয়াছে। প্রতিষ্ঠার দিনে এইটিই ছিল প্রধান কৰ্ম্মক্ষেত্র, কিন্তু বৰ্ত্তমানে ইহা রান্নাঘররূপে ব্যবহৃত হয় । ইহা ছাড়া আরও প্রায় বারটি বাড়ি আছে । সবকয়টিই লোহুেলাণ্ডের পাথর দিয়া তৈরি। আড়ম্বরহীনতাই এই অট্টালিকাগুলির বৈশিষ্ট্য। ফ্রান্সিকু বাউ-ই প্রধান অট্টালিকা ৷ এই স্থানে শিক্ষা দেওয়া হয়। বড় বড় লাল পাথর দিয়া এটি তৈরি । ইহার পরিকল্পনা ও গঠনপারিপাট্য বিশেষ প্রশংসার যোগ্য। বিদ্যালয় গৃহটি দেখিলে কর্তৃপক্ষের স্বরুচি ও জ্ঞানের যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। গৃহটি দোতলা, এখনও শেয হয় নাই। উপরের তলায় একটি অর্গ্যান আছে। সঙ্গীত ও শারীরচর্চা অবগুশিক্ষণীয় বিষয় বলিয়া গণ্য । বিদ্যালয়ের একটি বিশেষ প্রথা এই যে, প্রতি সোমবারে সেই সপ্তাহের কাজের স্বচনায় সকলে একত্র সমবেত হন । তখন একটি গান হয় ; এই গানটি ঠিক সাধারণ ধরণের নহে। ইহা অস্তরের গভীরতম প্রদেশে প্রবেশ করিয়া মনোমধ্যে একটি প্রেরণার স্বষ্টি করে। এই প্রেরণায় অনুপ্রাণিত হইয় সপ্তাহব্যাপী কাজ স্বরু হয়। তারপর যে-ঘরটি লোকের মনোযোগ আকর্ষণ করে সেটির নাম ‘রুও বাউ । এটি গোলাকার বলিয়া ইহাকে ‘রুগু বাউ এই নাম দেওয়া হইয়াছে । আগে এখানে ব্যায়ামচর্চ করা হইবে বলিয়া স্থির হয়, কিন্তু এখন এটি খাবার ঘরে পরিণত হইয়াছে। এখানে প্রায় একশত লোক একযোগে বসিয়া খাইতে পারে। ছাত্রী এবং শিক্ষয়িত্রীরা সকলেই এখানে একত্র আহার করেন। এখানে বলা দরকার যে, রান্না ও পরিবেশনও সবই শিক্ষয়িত্রীদের তত্ত্বাবধানে ছাত্রীদের দ্বারাই হইয়া থাকে। টাটুক ও পুষ্টিকর শাকসব জী তাঁহাদের প্রধান খাদ্য।