পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ লোহেলাও শিক্ষালয় ও তাহার বৈশিষ্ট্য @eጫ ইহা ছাড়া, তাহাদের দর্জি বিভাগ, চৰ্ম্ম বিভাগ, ফোটোগ্রাফ বিভাগ, উদ্যান বিভাগ, কৃষ্টি ও পশুপালন বিভাগ আছে । তাহার কুকুরও পালন করিয়া থাকে। লোহেলাণ্ডের ‘গ্রেটু-ডেন জাতীয় বৃহৎ কুকুর পৃথিবী-বিখ্যাত। কুকুরগুলি দেখিতে জমকালো ও কমনীয়। এগুলি সাধারণের খুব উপকারে আসে এবং ধনী ব্যক্তিরা ও পুযিয়া থাকেন। ছাত্রীরা অন্যান্য গৃহপালিত জন্তুর সহিত কেমন অবাধে মেলামেশ করে ইহা একটি দেখিবার বিষয়। এই সমস্ত মৃক জীবজন্তুর নিকট ঠহার। শিক্ষা করে ধে, ইতর প্রাণীকে ভালবাসিলে মানুষ থাট হয় না, বরং মহৎ হইয়| উঠিবারই সুযোগ পায় । শিক্ষালয়টি সমগ্র প্রতিষ্ঠানটির মধ্যস্থলে অবস্থিত। পূৰ্ব্বেষ্ট বলা হইয়াছে শিক্ষয়িত্রী গড়িয়া তোলাষ্ট এই শিক্ষালয়ের মুখ্য উদেশ্ব। এ-যুগে মানুষের জীবনে কি কি একান্ত প্রয়োজনীয় সে-বিষয়ে ধ্যানধারণার বিন্দুমাত্র অভাব তাহাদের নাই। এ-যুগে সমগ্র জগতের সর্বাপেক্ষ অভাব হইতেছে যথার্থ মানবতার, লোহেলাও স্কুলের একটি শয়ন-কক্ষ মানবদেহধারী জীববিশেষ নহে। সে-ই যথার্থ মানব যাহার মানবোচিত গুণসমূহ অধিকমাত্রায় বিকাশ লাভ করিয়াছে। তাহারা যেন প্রতি মুহূর্তে এই আদর্শেই অনুপ্রাণিত হইয়৷ ج: يلامس - سمييون জীবন যাপন করেন, অর্থাৎ তাহাদের ব্যক্তিত্ব যেন পূর্ণমাত্রাম বিদ্যমান থাকে । জগতে পৰ্য্যবেক্ষণ-গণ্ডী যেন তাহাদের বিশাল হয়, তাহু হটলে তাহার উচ্চাঙ্গের অভিজ্ঞতা, দায়িত্ব জ্ঞান ও সুশৃঙ্খলার সহিত জীবন যাপন করিবার ক্ষমতা অর্জন লোহেলাও স্কুলে পেলা করিবেন । এষ্ট জ্ঞান তাহদের হৃদয়ে প্রেমের সঞ্চার করিবে এবং স্বতঃস্ট ইহুদিগকে পরোপকারের জন্য জীবন উৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করবে। যেসকল শিক্ষয়িী নিজেরা এই ভাবে শিক্ষা পাঠয়া থাকেন ভাঙ্গারাই ছাত্রীদের হৃদয়ে মন্তযোচিত গুণ বিকশিত করিয়া তুলিতে সমর্থ হল । ছাত্ৰাদিগকে এইভাবে শিক্ষা দিতে হইলে শিক্ষয়িত্রীদের কি কি গুণ থাকা দরকার কীপক্ষের সে-বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান রহিয়াছে। +েসমস্ত শিক্ষয়িী ছাত্রীদের গ্রহণের ক্ষমতা বিবেচন। না করিয়া নিজের নিপুণত বয়োজ্যেষ্ঠত এ অভিজ্ঞতার উপর নিভর করিয়া গায়ের জোরে ভাঙ্গাদের তরুণ মস্তিষ্কে কিছু প্রবেশ করাঙ্গবার চেষ্টা করেন তাহার। মানবজাতির উন্নতির দোর প্রতিকুলত করেন। তাহাদের মতে ছাত্রীক্ট অধিকতর মনোযোগের বিষয়। মানবের যখন দেহ, মন ও আত্মা আছে, তখন জানিতে হুইবে তাহার মধ্যে অসীম ক্ষমতা নিহিত রহিয়াছে। এই ক্ষমতাকে আমরা উদ্ভাবনী শক্তি বলিয়া থাকি। ইহা প্রত্যেকের মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। ইহাকে জাগরিত, বিকশিত এবং বদ্ধিত করিতে হইবে। এই জাগরণ ও বিকাশ আত্মচেষ্ট হইতে