পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

689 সম্ভবতঃ দাবী করেন নাই, দেওয়ানীর ফারমান নিয়ে ইংরেজ কোম্পানী সে সর্বময় মালিকত্বের স্বয়ংসিদ্ধ কৰ্ত্ত হয়ে জমিদার, ইজারাদার, তালুকদার এবং নবাবী আমলের তহশিলদার ইত্যাদি উচ্চ কৰ্ম্মচারীদের ভূমির মালিক বলে চিরন্তন সনদ দান করেন । “ভাবী সমাজে”র লেখক শ্ৰীযুক্ত নলিনীকান্ত গুপ্ত মহাশয় শুভ্রকেই চাষী অর্থে ব্যবহার করে বলেন যে,-- “দাড়াইবার, বাচিবার ঠাই শুদের থাকিলেও ব্রাহ্মণের, ক্ষত্রিয়ের, বৈঙ্গেরও সে ঠাই দরকার । কিন্তু এই তিনবর্ণ দ্বিজাতি—অর্থাৎ শূদ্রের মত গঙ্গার একবার মাটিতে মাত্র জন্মেন নাই, মটতে জঙ্কিয়া আবার মাটি হইতে সরিয়া একটু দূরে আর একবার জন্মগ্রহণ করিয়াছেন । জমি ন! থাকিলেও জমির উৎপল্পে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈষ্ঠের এক-একটা অশের দাবী আছে—পূদ্রকে এ দাবী স্বীকার করিতে হইবে। কারণ সমস্ত সমাজের স্থিতি ও ঋদ্ধির কথা ছাড়িয়া দিলেও, নিজের স্বার্থহিসাবেই শূদ্রের প্রয়োজন আছে আর আর বর্ণের সাহায্য সহযোগিতা। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈঙ্গ নিজ হাতে তাল চাষ করিতেছেন না বলিয়া জমির কল হইতে ইচ্ছাদিগকে শূদ্র বঞ্চিত করিতে পারে না করিলে তাঙ্গকে আয়ুঘাতী হইতে কষ্টবে। জমি সকলের হইলেও তাহা গচ্ছিত আছে শুদের গঙ্গে শূদের কাজ ( বৈশ্বের সঙ্গয়ে) এই গচ্ছিত ধনকে ফলাইয় বাড়াইয়! তোলা ।" ব্রহ্মোত্তর ও জামুগির জমি ভারতীয় শিক্ষা ও সাধনার সহায়ক হয়েছে । ভূমিস্বত্বের কথা সকল দিক থেকে আলোচনা করা এই এক প্রবন্ধে সম্ভবপর নয় । তাই বৰ্ত্তমানকালে বহুল আন্দোলনের বিষয়ীভূত মাত্র একটি প্রসঙ্গের এখানে আলোচন৷ করব। সেটি এই, যারা নিজে চাষী নয়, জমিতে তাদের রামতিস্বত্ব অটুট থাকা উচিত কি-না। নিজের বাস করে না এরূপ বাড়িতে,—এমন কি, ভাড়ী-না-দেওয়া ভাড়াটে বাড়িতেও, বাড়িওয়ালার স্বত্ব সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন জাগে নি। ১৯২৮ সনে বাংলা দেশের ভূমি আইনের যে পরিবর্তন ও সংশোধন হয়, তাহাতে প্রবাসী রায়তদের জমির স্বত্বের উপর আঘাত করা হয়েছে। ভাগচাষী বা জমিহীন জমির মজুরদের খানিকট স্বত্ব দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। উক্ত সংশোধিত আইনে প্রজাদের অনেক প্রকার অন্নবিধা ও অনিষ্টসাধন করা হয়েছে। মুখ ও স্ববিধা অতি সামান্তই বিহিত হয়েছে। জমি বিক্রী করতে হলে জমিদারকে জমির দামের উপর শতকরা ২০২ টাকা কী, জমিদারের সদনে উক্ত কী পাঠাইবার খরচ সমেত, কোবালা রেজিষ্ট্রে করার সময়েই দিতে হয়। ফলে, দেশে জমির বেচা-কেনা হ্রাস SSD8O পেয়েছে, এবং জমির জামিনে টাকা সংগ্রহ করা কৃষকের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়েছে। বিক্রয়কালে মূল্যের একটা বড় অংশ জমিদারের প্রাপ্য হওয়ায় জমির প্রকৃত দাম অনেক নেমে গেছে । তাতে জমি যে বিক্রী করবে না, তারও সম্পত্তির বাজারদর অনেক কমে গেল । অভাবের সময় জমির জামিনে অর্থসংগ্রহ করা ক্লষকের প্রয়োজন। জমিদার তার অভাবের সময় জমিদারী-স্বত্ব বন্ধক রেখে টাকা ধার করতে পারেন । রায়তও তার প্রয়োজন অন্তসারে রায়তিস্বত্ব বন্ধক রেখে যেন টাকা পায় সে অধিকার তার থাকা উচিত । প্রজাস্বত্বের সংশোধিত আইনে সৰ্ব্বাগ্রে ক্রয়ের অধিকার দ্বার (প্রিএমৃগুন দ্বার) তার সে অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে । প্রিএমৃশ্যনে জমিদারের একটা বিশেষ অধিকার এই যে, কোন জমি যখন বিক্ৰী হয়, তখন জমিদার জমির মূল্যের উপর শত কর ১০২ টাকা অতিরিক্ত দিয়ে ক্রেতার কাছ থেকে উক্ত জমি নিজে গ্রহণ করতে পারেন । জমিদারের এই অধিকার প্রজার পক্ষে জমি বন্ধক রেগে টাকা ধার করার কালে একটা মস্ত প্রতিবন্ধক । পাওনাদারকে তার ন্যায্য পাওনার অনেক কমেও নিলামকালে সময় সময় জমি ডেকে রাখতে হয় । উক্ত ডাকের উপর শত করা ১০২ টাকা দিয়ে জমিদার যদি জমি ফিরিয়ে নেন, তবে পাওনাদারকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। কাজেই জমি বন্ধক রেখে অভাবেব সময় টাকা সংগ্রহ করা কৃষকের পক্ষে দুঃসাধ্য ব্যাপার। জাৰ্ম্মেনী, ফ্রান্স ও আমেরিকার মত কৃষি-বন্ধকী*Uso (Agricultural Mortgage Bank ) of Iowa দেশে না থাকায় কৃষককে অতি কড়া স্বদে মহাজনের নিকট হতে টাকা ধার করতে হয়। প্রজাস্বত্বের উপর প্রিএম্শানের প্রলেপ থাকলে আমাদের দেশে কৃষি বন্ধকী-ব্যাঙ্ক গঠন কর। সম্ভবপর হবে না । রবীন্দ্রনাথ গ্রামবাসীদের প্রতি কোন বক্তৃতাম আগে বলেছেন,--- “মানুষের সকলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ সম্পণ,—মানবত্ব । আগে পল্লীতে পল্লীতে কত পণ্ডিত কত ধনী কত মানী আপনার পল্লীকে, জন্মস্থানকে আপনার করে বাস করেছে। সমস্ত জীবন হয়তো নবাবের ঘরে, দরবারে কাজ করেছে। বা-কিছু সম্পদ তারা পল্লীতে এনেছে, সেই অর্থে টোল চলেছে, পাঠশাল বসেছে, রাস্তাঘাট হয়েছে, অতিথিশালা যাত্র পূজাঅর্জনায় গ্রামের মনপ্রাণ এক হয়ে মিলেছে। গ্রামে আমাদের দেশের প্রাণ-প্রতিষ্ঠা हिल, ठांब्र कांब्र4 भश्ञ cष्ठां जडत नछ । अठ&व जांबांछिक बांग्रूय जांवग्न