পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ श्रृंथण @@ግ অজয় বলিল, “না, রাখবার আর জায়গা নেই, ভাই ওট স্থলত একটু ভাবিয়া ইয়া কছিলেন, “ত বেশ, আসতে ওখানে ঝুলছে।” ন চান, আসবেন না। উনি আপনাকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে অজয়ের ময়লা বিছানা বালিশ সেই শালটা দিয়া স্বলতা চাপা দিয়া দিলেন। ধূলিঝুল যথাসাধ্য ঝাড়িয়া কেরাসিন কাঠের টেবিলটাকে নিপুণ হাতে গুছাইয়া দিলেন। রেড়ীর তেলের বাতিদানটাকে টেবিলের নীচে চালান করিয়া বলিলেন, “দিনের বেল এটা বাইরে থাকৃবার কিছু কি দরকার আছে ?" অজয়কে স্বীকার করিতে হইল, দরকার নাই। নন্দ যে-গেলাসটাতে জল খাইত, এই ক'দিন সেটা মেজের এককোণে ধূলিধূসরিত হইয়া পড়িয়া আছে। সেটাকে ধুইয়া মুছিয়া জল গড়াইয় টেবিলের উপর রাখিলেন, তারপর পিছনের স্বল্পপরিসর বাগান হইতে যে-একটি পঞ্জবিত আম্রশাখা মুকুলিত মঞ্জরীর অর্ঘ্য বহিয়৷ অজয়ের জানালার কাছে আসিয়া থামিয়া গিয়াছিল, হাত বাড়াইয় তাহা হইতে কয়েকটি গুচ্ছ ভাঙিয়া লইয়৷ সেই গেলাসে সাজাইয়া দিলেন। অজয় বিস্মিত বিমুগ্ধ দৃষ্টিতে চাহিয়া ছিল। প্রিয়গোপাল বলিলেন, “দেখছেন কি ? এখনো ত আসলই বাকী !" স্কুলত বলিলেন, “ন, হয়েছে, আর বাকী কিছু নেই।” প্রিয়গোপাল কহিলেন, “বাকী কিছু নেই কিরকম ? আমের বীচি থেকে গাছ হবে, বোল ধরবে, আম ফলবে, পাকবে. সে পেলাগুলো আজ দেপাবে না ?” সুলতা মৃদু হাসিলেন। অজয় বলিল, ‘সত্যিই আপনি - আপনি যাদু জানেন।” প্রিয়গোপাল কহিলেন, তা আর বলতে ? নইলে আমার মত মানুষ - ” স্বলতা কহিলেন, “থাক্ থাকৃ, তোমাকে যাদ্ধ করতে স্বয়ং Cireও পাবৃত কিনা সন্দেহ, আমি ত কোন ছার ” প্রিয়গোপাল কহিলেন, “দেখছেন ওর বিনয় ? নিজেকে Circe'র সমকক্ষও মনে করে না ।” আরও কিছুক্ষণ বিশ্রস্তালাপের পর অজয়কে বাহিরে বারান্দায় ডাকিয়া লইয়া স্বলতা কহিলেন, “কাজটা আপনি করবেন?” : অজয় বলিল, “আপনার কাছে কিছু ত আর লুকানো নেই। আমার পুরানো পরিচিত জগৎটায় ফিরে যাবার মত *षशंब चांकि अकन चांग्र cनहे !” যাবেন, বাড়ী বসে করবেন।” অজয় বলিল, “বেশ, কবুব, কিন্তু পারিশ্রমিক বলে কিছু নিতে পারব না।" স্থলত কহিলেন, “ত কি কথনে হয় ? তা কেন উনি আপনাকে কবৃতে দেবেন ?” অজয় নতমুখে ধারভাবে বলিল, “কিছু মনে করবেন না, কিন্তু আপনাদের কাছ থেকে কোনও পরিশ্রমের মূল্য নিতেও আমি পারব না।” স্থলত কহিলেন, “আপনি জিনিষটাকে কিভাবে দেখছেন তা আমি একেবারেক্ট বুঝতে পারিনি ভাববেন না। এ কাজটার কথা তাহলে থাকুক। কিন্তু আপনি খুবষ্ট worried বুঝতে পারছি, শরীরও আপনার ভেঙে গিয়েছে। এ রকম একলাটি এক কোণে পড়ে না থেকে বন্ধু-বান্ধব পাচজনের সঙ্গে মিলে চেষ্টা করলে, পাচজনকে চেষ্টা করতে দিলে অবস্থাটার প্রতিকার হওয়া কি আরও সহজ হত না ?” অজয় বলিল, “হয়ত হত, কিন্তু বন্ধুবান্ধবদের সাহায্য নেবার দরকার সত্যিই আছে সেইটে ভালো করে আগে জানতে চাই ।” অজয়কে আড়চোপে একবার দেখিয়া লইয়া সুলত কেবল কহিলেন, “ম্ভ !” প্রিয়গোপাল ভিতর হইতে ডাকিলেন, “হ’ল তোমাদের ? আর কতক্ষণ এষ্ট গরমে একল বসে থাকব ।” - স্কুলত বলিলেন, “এই যে যাচ্ছি। গুচুন আজয়বাবু । আমারই ভুল হতে পারে, কিন্তু এটা ঠিক যে জিনিষটাকে আপনি যেভাবে দেখেন, আমরা সেভাবে দেখিনে । বন্ধুদের সাহায্যকে সব সময় কেবল সাহায্য হিসেবে নিতে হয় তা নয়, কৰ্ত্তব্য হিসেবেও নিতে হয়। বন্ধুকে সাহায্য করেই মানুষের বন্ধুর প্রতি কৰ্ত্তব্য শেষ হয় না, তার কাছে সাহায্য নিয়ে সে-কৰ্ত্তব্যকে সম্পূর্ণ করতে হয়। সেটা না নিলে মমতার যে-অভাব প্রকাশ পায় তার কথা না-হয় ছেড়েই দিলাম। কিন্তু এটা বোঝা ত শক্ত নয়, সাহায্য নেবেন না বলে ধাদের দূরে সরিয়ে রেখেছেন, আপনার কাছে সাহায্য প্রত্যাশা করা «وه سیاه بیش»و بraو جام عبtrwaیچ