পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী ১৮৩৩ সনের ২৭শে সেপ্টেম্বর বাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যু হয়। বর্তমান বর্ষে তাকার স্বত্যুর শতবার্ষিকী করিবার আয়োজন হইতেছে। এই উপলক্ষে রামমোহনের গ্রন্থাবলীর একটি সম্পূর্ণ ও নিতুল সংস্করণ প্রকাশিত করিবার প্রস্তাব আছে। এই সংস্করণটি সম্পাদনের জন্ত রামমোহনের গ্রন্থসমূহের প্রথম, অথবা প্রথম সংস্করণ অপ্রাপ্য হইলে যথাসম্ভব পুরাতন সংস্করণ দেখা আবশ্বক। 'প্রবাসীর পাঠকদের মধ্যে কাহারও যদি এইরূপ সংস্করণ থাকে তাহা হইলে সেগুলির সংবাদ সম্পাদককে জানাইলে এবং সংস্করণগুলি দেখিবার স্বৰোগ দিলে একটি প্রয়োজনীয় ও মহৎ কার্ধ্যে সাহায্য করা হইবে। বঙ্গে আইন ও শৃঙ্খলা-রক্ষা বঙ্গে সন্ত্রাসক ( টেরারিষ্ট ) দল আছে এবং ১৯৩০ সাল হইতে এ-পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রায় চারি বৎসরে, তাহারা ৩৮• বার হত্যাদির চেষ্টা করিয়াছে ও তাহার ফলে ১১২ জন লোক নিহত হইয়াছে, অতএব যদি ভারতবর্ষে প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্ব স্থাপিত হয়, তাহা হইলে বঙ্গে জাইন ও শৃঙ্খলা-রক্ষা (Law and order) বিভাগের ভাঁর মন্ত্রীদের উপর অপিত হওয়া উচিত নয় ; এইরূপ আন্দোলন বিলাতে ও ভারতবর্ষে ইংরেজরা করিতেছে। বৎসরে ৩০ । ৩৫ জন সরকারী লোককে সম্রাসকেরা খুন করিয়াছে বলিয়া বাঙালী মন্ত্রীরা ‘জাইন ও শৃঙ্খলা-রক্ষা বিভাগের ভার পাইবে না। কিন্তু আয়ালfাও স্বায়ত্তশাসন পাইবার আগে একই বৎসরে ২৪২টা রাজনৈতিক হত্যা সেখানে হইয়াছিল, এবং তাহার পরেও এক বৎসরে ৬৪টা খুন সেখানে হইয়াছে। মনে রাখিতে হইবে, লোকসংখ্যা ও আয়তনে জায়াল্যাও বঙ্গের চেয়ে অনেক ছোট দেশ। এইরূপ কম-বেশী খুন লাগিয়া থাকা সত্বেও, ইংলও আলাওকে দমননীতি দ্বারা ঠাও করিতে পারে নাই। তাহাৰে বৰত পূর্ণস্বরাজ দিয়া খুনী করিতে श्रेशत्रु । ऐएब्रजब गउदङ गन क्रबन, चाइब्रिनब्रा দুর্ধর্ব জাতি বলিয়া তাহাদিগকে দমন করা যায় নাই, ভেতে বাঙালীকে দমন করা যাইবে । কিন্তু বঙ্গে ত ২৫ বৎসরেরও উপর রাজনৈতিক অশাভি ও তাহার বিরুদ্ধে পূরাম দমননীতি চলি আনিজেছ;এখনও শেঠীও নাই। : बिदिष ●धंजज-विजांछी ८हाँठे कर्डीब्र थबक (ly39 ইংরেজরা বলিতেছেন, রাজনৈতিক উপত্ৰৰ আছে বলিয়াই বঙ্গে দেশী লোকের হাতে শান্তি স্থাপন ও রক্ষার ভার দেওয়া যাইতে পারে না। আমরা ঠিক তাহার উল্টা কথা বলি, এবং তাঙ্কা যুক্তিসঙ্গত। আমরা বলি, ইংরেজরা দমননীতির দ্বারা দেশকে শান্ত করিতে পারিতেছেন না, ইংরেজদের গবন্মেস্ট এফিশিয়েন্ট অর্থাৎ কার্যক্ষম নহে, অতএব এখন দেশী লোকের হাতে ভার দেওয়া হউক। দেশী লোকেরা আবশুক-মত জনগণকে সন্তুষ্ট করিয়া ও দুর্দান্ত লোকদিগকে দমন করিয়া দেশে শাস্তি স্থাপন ও রক্ষা করিবেন। লর্ড মলাঁ ఫిఫ్ఫ్ বার-বার বলিয়া গিয়াছেন, শুধু দমনের দ্বারা কিছু ব না । ব্রিটিশ গবন্মেটি অপরাধী ধরিতে না পারিলে জেল'-কে জেলা, গ্রাম-কে গ্রাম, শহর-কে শহরের সব হিন্দুর শাস্তি দিতেছেন। যে-হেতু একটা সম্রাসক দল আছে, অতএব বাংলা দেশকে পুরা প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্ব দেওয়া হইবে না, ইহা বলাও ঠিক সেই প্রকার পাইকারী শাস্তি। প্রায় চারি বৎসরে যে ৩৮০টা উপদ্রব হইয়াছে, তাহার প্রত্যেকটা যদি আলাদা আলাদা দলে করিয়া থাকে— সম্ভবতঃ একই দলে একাধিক উপত্রব করিয়াছে—এবং যদি প্রত্যেক দলে গড়ে দশ জন বা এক শত জন লোক থাকে, তাহা হইলে মোট দোষীর সংখ্যা হয় ৩৮•• বা ৩৮• • • । এই ৩৮• • • লোকের দোষে শাস্তি হইবে বঙ্গের পাচ কোটি অধিবাসীর চমৎকার স্ববিচার ! বিলাতী ছোট কর্তার ধমক গত কলিকাতা কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের উপর পুলিসের কোন কোন লোক অত্যাচার করিয়াছিল বলিয়া যে অভিযোগ পণ্ডিত মদনমোহন মালীয় প্রকাশ করেন, সেই বিষয়ে বিলাতী পালেমেন্টে আবার প্রশ্ন হওয়ায় সহকারী ভারতসচিব মিঃ বাটলার বলিয়াছেন, যে, কেহ যদি আবার বলে অভিযোগগুল সত্য, তাহা হইলে যথাযোগ্য ব্যবস্থা ( "proper action" ) অবলম্বিত হইবে । এই সংবাদ ভারতবর্ষে পৌঁছিবার পরই পণ্ডিতজী আবার বলিয়াছেন, “আমি বিশ্বাস করি, অভিযোগগুলি সত্য, এবং প্রকাগু অনুসন্ধান চাই "ি বিলাতী ছোট কর্তা এখন কি করেন দেখা বাৰু। -