পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারe ' কিন্তু ইদানীং অভিধান ব্যবহার করা প্রায় লোপ পাইয়াছে। দুই একটি ছেলের কাছে দুই-একখানি পকেট অজিান দৃষ্ট হয় মাত্র। পাঠ্যপুস্তকের যে-কয়েকটি নির্ধারিত গল্প থাকে তাহা অপেক্ষ অর্থ পুস্তকের আয়তন দুই তিন গুণ হইবে। সময়ে সময়ে ইহা পঞ্জিকার স্কায় কলেবরও ধারণ করে, স্বতরাং অভিধান দেখিবার কোন প্রয়োজন হয় না। আবার কলেজের ছাত্রদের মধ্যে দেখা যায়, তাহারা ইংরেজী ভিন্ন রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, ইতিহাস প্রভৃতির জন্য নিৰ্দ্ধারিত পুস্তকের ধার ধারে না। আই-এ, আই-এসসি, বি-এ, বি-এলসি মাত্র দুই বৎসর করিম। পড়িতে হয়। ইহার বার আন সময়ই আলন্তে ও ঔদাস্তে অতিবাহিত হয়, কারণ তাহারা জানে যে পরীক্ষার দুই মাস আগে হইতে টীকHটল্পনী ইত্যাদি কণ্ঠস্থ করিয়া বেশ পাস করা যাইবে, এমন কি, ছাত্রদের মধ্যে এই ধারণা বদ্ধমূল হইয়া আসিয়াছে যে, যাহারা যত নিৰ্ব্বোধ তাহারাই তত বড় বড় পুস্তক পড়িয়া বৃথা সময় নষ্ট করে। প্রকৃত বিদ্যার্জন বা জ্ঞানশূহ বৰ্ত্তমানকালের ছাত্রবর্গের মন হইতে দিন দিন তিরোহিত হইতেছে এবং যাহা জ্ঞান তাহা কেবল ভাসা ভাসা। এখনকার উপাধিধারীদের মধ্যে পল্লবগ্রাহিতাই বিশেষভাবে দেখা যায় । । আমাদের ছেলেদের বাল্যকাল হইতে এই ধারণা জন্মাইয়া দেওয়া হয় যে, বিদ্যাশিক্ষা মানে ক্লাস-প্রমোশন ও পরীক্ষা-পাস ; ইহ প্রকৃত শিক্ষার পথে প্রধান প্রতিবন্ধক । বিদ্যাশিক্ষা কখনও খানকয়েক পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নহে। আমি বক্তৃতা-প্রসঙ্গে ও প্রবন্ধাদিতে এই কথা বলিয়া বলিয়া হয়রাণ ংইয়াছি, যে, জগতে র্যাহার। সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সমাজনীতিক্ষেত্রে অসাধারণত্ব দেখাইয়াছেন তাহারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাধাবাধি নিয়মের বিশেষ ধার ধারিতেন না, কন্তু তাহারা প্রত্যেকেই এক একজন গ্রন্থকীট ছিলেন। মার্কিন দেশীয় প্রসিদ্ধ দার্শনিক এমাসন বলেন, যদি মামাকে কেহ কোন স্কুল পরিদর্শন করিতে বলেন তাহা ইলে বাজে বই হইতে কে কত জ্ঞানলাভ করিয়াছে তাহাই জানিতে চাই, কাহাকেও জিজ্ঞাসা করি তুমি নেপোলিয়ান দ্বিন্ধে কি জান ? কাহাকেও বা গ্যারিবল্ডি সম্বন্ধে প্রশ্ন ब्रिब पाक् ि॥ चांथांटनब्र दांश्ल ८मान ८ष कब्रखन गांश्छिा बéबांब लिचकांनरूडि ७ जशषज-ज«यां८ब डांशब्र थूला এই কলিকাতায় দেখিতেছি, ক্ষেত্রে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখাইয়াছেন, যখ—রবীন্দ্রনাথ, গিরীশচন্দ্র, শরৎচন্দ্র-—ইহাদের প্রত্যেকেই অসংখ্য গ্রন্থ অধ্যয়ন করিয়াছেন । একা শরৎচন্দ্রের একখানি পুস্তিক'নারীর মূল্য-—পাঠ করিলে বোঝা যায় যে, ইহার কত গভীর পাণ্ডিত্য। এই পুস্তিকাখানির পাদটীকায় যে-সমস্ত গ্রন্থের উল্লেখ আছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় উপাধিধারীরাতাহার নাম পৰ্য্যন্ত শোনেন নাই। এই সাহিত্যরথীত্রয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধার ধারেন নাই । ছেলেদের জন্য প্রাইভেট টিউটর নিযুক্ত করা প্রকৃত বিদ্যালাভের আর একটি প্রধান অন্তরায় । যাট বৎসর যাবৎ যাহারা একটু অবস্থাপন্ন তাহাদের ধারণ যে, ছেলেদের জন্ত মাষ্টার না রাখিলে তাহাদের বিদ্যাশিক্ষার ব্যাঘাত ঘটবে। ইহাতে যে কেবল স্বাস্থ্যের বিশেষ ক্ষতি হয় তাহাই নয়, প্রকৃত জ্ঞানলাভেরও অন্তরায় ঘটে । একে ত ছেলেরা দশটার সময় তাড়াতাড়ি দুটি ভাত মুখে দিয়া উদ্ধশ্বাসে ছুটে, তাহার পর দশট হইতে চারটা পৰ্য্যন্ত ক্লাসের পর ক্লাস, মাঝে মাত্র আধ ঘণ্টা টিফিন । ছুটি হুইলেই বাড়ি আসিয়া কিছু জলযোগ গ্রহণ করে। স্বাস্থ্যের দিক দিয়া দেখিতে গেলে সেই সময় তাহাদের খেলাধুলার বিশেষ প্রয়োজন, কিন্তু দেখা যায়, ছেলেটি যেমন একটু হাফ ছাড়িল অমনি ভূত্য আসিয়া খবর দিল যে, মাষ্টার বাৰু আসিয়াছেন। বেচারাকে পুনরায় আবার পিঞ্জরাবদ্ধ করা হইল। শিক্ষক মহাশয়ও তাহার নিজের অস্তিত্ব সপ্রমাণ করিবার জন্ত, ছেলেকে অভিধান খুলিতে এবং অঙ্ক বা জ্যামিতির অঙ্কুশীলন নিজের মাথা ঘামাইয়া করিতে দিবেন না । সব নিজেই সমাধান করিয়া দিবেন। ইহাতে ছেলের বুদ্ধিবৃত্তির পরিচালন অভাবে কোন রকমেই বিকাশ পাম্ব না, প্রকৃতপক্ষে তাহাকে তোতাপার্থী করিয়া তোলা হয়। আমি অবশ্য এ-কথা স্বীকার করি যে, ছাত্র যদি কোন বিশেষ বিষয়ে একটু কাচ থাকে তাহা হইলে একটু সহায়তার প্রয়োজন হয়। কিন্তু প্রত্যেক ছেলের পিছনে শিক্ষক লাগাইয় তাহাদের স্বাধীন চিন্তার পথ রুদ্ধ করা নিতান্তই গৰ্হিত । ইংরেজীতে একটি ছড়া আছে— “Work while you work Play while you play”