পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gjeo প্রবাসী ; SO8O चर्थां९ थर्थन नंख्रिश्रय घटनांत्यां★ां निब्रां श्रृंग्निट्य, trय६ दर्थन খেলিবে তখন অন্ত কিছু করিবে না। কিন্তু অভিভাবকগণের হকুম—কেবল 'পড় পড় পড়’। লাভের মধ্যে এই যে ছেলেরা পড়াশুনাকে একটি বিভীষিকা বলিয়া মনে করিয়া বলে, এবং স্কুলের ছুটির পরেই গৃহশিক্ষকের পাল্লায় পড়িয়া তাহদের বুদ্ধিবৃত্তি তীক্ষ হওয়া দূরে থাকুক একেবারে ভোতা হইয়া যায়। বাঙালীর ছাত্রজীবনে আর একটি অভাব দৃষ্ট হয়, তাহা এই, ইহাতে কোন রকম বৈচিত্র্য নাই। জীবনধারা সুখকর করিতে হইলে প্রত্যেকেরই একটি খেয়াল পরিপোষণ করা নিতান্ত প্রয়োজন ; ফুলের বাগান করা, সঙ্গীতচর্চ, চিত্রবিদ্য, দশ-পনর মাইল পদব্রজে ভ্রমণ এবং বনে জঙ্গলে চড়ুইভাতী বিশেষ আমোদ-জনক। অবশু কলিকাতায় স্থানসঙ্কীর্ণতায় ইহার কতকগুলি ব্যাপার সম্ভব হুইয়া উঠে না, কিন্তু আবার নানা বিষয়ক বিদ্যার্জন বা জ্ঞানলাভ করিবার অপূৰ্ব্ব সুযোগ কলিকাতার স্থায় অন্যত্র কোথাও নাই। আমি লওনে চিড়িয়াখানায় দেখিয়াছি যে, প্রত্যহ শত শত আবালবৃদ্ধবনিতা তথায় সমবেত হইয়া জীবজন্তুর জীবনযাত্রাপ্রণালী পৰ্য্যবেক্ষণ করে এবং নানা প্রকার তথ্য সংগ্ৰহ করিয়া থাকে। অনেক সময় ইহা “হটতে অনেকের মনে প্রাণিবিদ্যা শিখিবার একটি প্রেরণা জাগিয়া ওঠে. কিন্তু আমাদের এখানে তাহার কিছুমাত্র নিদর্শন পাওয়া যায় না। কলিকাতার যাদুঘরে একটি মাত্র কক্ষে এত শিখিবার জিনিষ আছে যে, তাহ বোধ হয় সমস্ত জীবনেও শেষ করা যায় না, ইহা ছাড়া বহু চিত্রশালাও আছে । কিন্তু বড়ই দুঃখের বিষয়, আমাদের চিড়িয়াখানা ও যাদুঘর প্রায়ই কালীঘাট-ফেরত -তীৰ্থাত্রী দ্বারা পরিপূর্ণ হইয়া থাকে। আমাদের কলিকাতার ছেলের শৈশব কাল হইতে যেন জড়ভরত হইয়া থাকে। আমি সময় সময় বিকাল সাড়ে পাচটার সময় স্বকীয়া ষ্ট্রীট দিয়া কর্ণওয়ালিস স্ট্রট অতিক্রম করিয়া বরাবর বারাণসী ঘোষ ষ্ট্রীট দিয়া জোড়াসাকো পৰ্য্যন্ত যাই। আমি দেখিয়া অবাকৃ হই, দশ-পনর-কুড়ি বৎসরের বালক হইতে আরম্ভ করিয়া চল্লিশ-পঞ্চাশ-যাট-পয়ষটি বৎসরের বুদ্ধ পৰ্য্যন্ত দু-ধারে রকের উপর প্রস্তরমূৰ্ত্তিবং নড়াচড়বিহীন হইয়া গল্প-গুজৰ -করিতেছে এবং এইরূপে সময়ের সদ্ব্যবহার ঘন্টার পর ঘণ্টা করিতেছে। কিন্তু ইউরোপে যখন বাহিরে ক্রীড়া-কৌতু করিবার সুবিধা থাকে, শত শত নর-নারী সাধারণ উদ্যা বয়সানুসারে ল ফালাফি দৌড়-দোঁড়ি করে এবং বয়োবৃদ্ধে মৃদ্ধমন্দ ভাবে পদচারণা করিয়া থাকে। বাস্তবিকই আমাদে জাত যেন মর, কথায় বলে, “থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বf খোড়” । আবহমান কাল হইতে প্রচলিত একটা সঙ্কীর্ণ গণ্ডী ভিতর বাঙালীর জীবনধারা কেবলই ঘুরিয়া মরিতেছে, এব এই কারণে বদ্ধমূল সংস্কার তাঁহাদের হৃদয়ে দৃঢ়তর হইতেছে। মূলকথা এই, ষে-ব্যক্তি যথার্থ জ্ঞানলাভের প্রের পাইয়াছে সে আত্মচেষ্টা দ্বারাই ক্রমশঃ উন্নতিলাভ করিবে যে-কয়জন বাঙালী সাহিত্য-জগতে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছে তাহাদের উল্লেখ পূৰ্ব্বে করিয়াছি। এখন কয়েক জন ভারত বাসীর নাম করিতেছি র্যাহারা সাময়িক পত্র সম্পাদে অসাধারণত্ব দেখাইয়াছেন। বিখ্যাত হিন্দু পেটি্ট পত্রিকা পর পর দুইজন প্রাতঃস্মরণীয় সম্পাদক হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়। কৃষ্ণদাস পাল নিজ চেষ্টাবলে মাহুষ হইয়াছিলেন। তাহা ইংরেজীতে যে-সমস্ত প্রবন্ধ লিখিতেন, তাহার সমকক্ষ প্রব লিখিতে আজও পর্যন্ত কেহ সক্ষম হইয়াছেন কি-না সন্দেহ 'অমৃতবাজার পত্রিকা’র সম্পাদক শিশিরকুমার ও মতিলাল ে কি প্রকার যোগ্যতার সহিত এই কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতেন তাঃ বলা নিম্প্রয়োজন। আর একজনের কথা বলি, শ্ৰীযুত্ত্ব যজ্ঞেশ্বর চিন্তামণি ( অবাঙালী ) । তিনি জীবনের প্রথম বয় সামান্য একজন কেরাণী ছিলেন, কিন্তু আত্মচেষ্টা ও পুরুষকার বলে আজ ভারতের একটি শীর্ষস্থান অধিকার করিয়াছেন কেবল লীডার’ পত্রিকার সম্পাদনে নয়, রাজনীতিক্ষেত্রে র্তাহার স্থায় ব্যক্তি অতীব বিরল। অার একজনের না করিয়াই শেষ করিব, ইনি পরলোকগত কেশবচন্দ্র রায় ff K. C. Roy of the Associated Press fost বিখ্যাত। শৈশবে যখন তিনি ফরিদপুর স্কুলে পড়িতে তখন তিনি খারাপ ছেলে বলিয়া পরিগণিত ছিলেন অঙ্কশাস্ত্রে বিশেষ কাচা বলিয়া তিনি প্রায়ই ক্লাস-প্রমোশন পাইতেন না। কিন্তু নিজে নিজে চুরি করিয়া ইংরেজী সাহিত্য অধ্যয়ন করিতেন। এক সময় একজন ইংরেজ ভূল-পরিদর্শক তাছাদের স্কুল পরিদর্শন করিতে আসি উচ্চশ্রেণীর ছাত্রদিগকে ইংরেজীতে একটি প্রবন্ধ লিখিৰে