পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उड्छाऽवतः। বলেন। বালক কেশবচন্দ্রের প্রবন্ধটির বিশেষত্ব দেখিয়া তাহার তাক লাগিয়া গেল। ইনি প্রবেশিক পাস করিতে অসমর্থ হইয়া কিছুদিন ইডেন হিন্দু হোষ্টেলে সামান্ত বেতনে বাজারসরকারী করিলেন এবং এই সময় ‘ইণ্ডিয়ান ডেলি নিউজ’ পত্রিকায় ছোট ছোট প্রবন্ধ দিতেন। পরিশেষে তিনি এসোশিমেটেড প্রেসের অধিনায়ক হন । বল বাহুল্য এই কয়জনের কেহই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট ঋণী নহেন । ছাত্রদের নৈরাশ্যই বিদ্যাশিক্ষার একটি প্রধান প্রতিবন্ধক। এমন কি দেখা যায়, যাহার কলেজে প্রবেশ করে তাহার প্রথম হইতেই বিলক্ষণ উপলব্ধি করে এবং বলিতেও ক্রটি করে না যে, পড়াশুনা করিয়া কি হইবে ? হাজার হাজার গ্রাজুয়েট ইতিপূৰ্ব্বেই অন্নচিন্তা করিয়া হাহাকার করিতেছে। সেদিন কলেজ অব সায়ন্সে যাহারা পঞ্চম শ্রেণীতে আসিয়া ভৰ্ত্তি হইয়াছেন তাহাদের কয়েক দিন ধরিয়া প্রশ্ন গ্যেটের স্বপ্ন Wo> করিলাম,—তোমরা কেন আসিয়াছ ? তাহারা বলিলেন, মা বাপ ছাড়ে না, তাই। পাঠকপাঠিকাগণ হয়ত মনে করিতে পারেন যে, আমার এপ্রকার প্রশ্ন করিবার কারণ কি ? কারণ এই যে, মাসাবধি নজর রাখিয়া দেখিলাম, কোনদিন একটি ছুটির অজুহাত পাইলেই তাহারা চম্পট দিবার জন্য প্রস্তুত। যদি বলেন, লেকচার হইবে না, কলেজে থাকিয়া কি করিবে ? ইহার উত্তরে বলিব যে, রসায়ন শাস্ত্র পরীক্ষামূলক, স্বতরাং হাতে-কলমে টেষ্ট টিউব লইয়া কাজ করা ইহার প্রধান অবলম্বন। আমরা প্রাকৃটিক্যাল ক্লাস সৰ্ব্বদাই খুলিয়া রাখিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু আমি দেখিয়া অবাকৃ হই যে, র্যাহারা বি-এসসি-তে অনাসর্ণ লইয়া প্রবেশ করিয়াছেন তাহাদের মধ্যে বিদ্যাশিক্ষা বা জ্ঞান পৃহার কিছুমাত্র নিদর্শন পাওয়৷ যায় না। কাজেক্ট মেসে যাইয়া আর একদফা দিবানিদ্রা, তাস ইত্যাদি ক্রীড়া তাহদের নিকট অধিকতর প্রিয়। বিশ্ব ও বিশ্বরূপ শ্ৰীশৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য সংসার-বিরাগী যবে ছিন্ন করি সংসার বঁাধন, বিশ্বেরে করিয়া ত্যাগ গেল বিশ্বরূপের সন্ধানে, -- চারিদিক ঘিরে তার মুহুমূৰ্হ উঠিল আহবান, “আয় বৎস ফিরে আম্ন রূপে রূপে আছি এইখানে ।” বৈরাগী চমকি চাহে,- আহবান উঠিল নীলাকাশে, স্নেহ-বাহু দোলাইয়৷ ডাক দিল আকুল পবনে, ডাকে উৰ্দ্ধে রবি শশী, নিম্নে ডাকে প্রিয়া কণ্ঠস্বরে. ব্যাকুল দেবতা-কণ্ঠ ভেসে আসে নদী-শৈলে-বনে। های سیاسی و ۹ সিন্ধুজলে ফুলেফলে উঠে বিশ্বরূপের আহ্বান, স্থাবর জঙ্গম ডাকে--“আমু মোর ভক্ত ফিরে জায়,” বৈরাগী কঁাদিয়া কঙ্গে “নমি তোরে মায়ার বাঁধন, ক্ষমা কর---ক্ষম কর- হে মায়াবী, বিদায়—বিদায় ।” ভক্তেরে দেবতা তবু ডাকে নিত্য হয়ে বিশ্বচারী, বিশ্বেরে ছাড়িম্বা হায় চলে বিশ্বরূপের ভিখারী।