পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভার, - ** . . rামি অনেক স্থলে লক্ষ্য করিয়াছি, ফরসা মেয়েদের চেয়ে iरल ८माझनब्ररे श्रण थधिक भिंडे झ, हेझांद्र कांग्र१८कांक्णि লো বলিয়া, নয় ত! আমি প্রমীলার বাপের নাম ও ড়ির ঠিকানা জানিয়া লইলাম এবং মাকে বলিয়া সেখানে টকী পাঠানো হইল। মেয়ের বাপ পূৰ্ব্ব হইতেই হার বিবাহের জন্ত পাত্র খুজিতেছিলেন, মাটিক পাস লেই তিনি জাহার বিবাহ দিবেন এরূপ র্তাহার সঙ্কল্প ল। ঘর ও বরের কথা শুনিয়া তিনি সহজেই বিবাহে ত করিলেন। দাদা তাহার দুইটি বন্ধুর সহিত গিয়া মেয়ে খিয়া আসিল । দাদার হর্ষপ্রফুল্ল মুখ দেখিয়াই বুঝিলাম, নে পছন্দ হইয়াছে। আমি বলিলাম, “কেমন দাদা, কেমন দখলে ?” দাদা গম্ভীরভাবে বলিল, “কাকে ?” আমি বলিলাম, “আবার কাকে ? এত ন্তাকা সেজো না। তামার বিয়ের কনেকে ।” দাদা বলিল, “ন, তোর বিয়ের বরকে ?” আমি বলিলাম, সে কেমন ? তুমি ত নিজের বিয়ের কনে দেখতে গিয়েছিলে ? আমার কথা কেন ?” দাদা বলিল, “দ্যাথ নীরি, খুব মজা হয়েছে। আমরা স বাড়িতে গিয়ে দেখি, স্বাজাতুলম্বিত ভূজ, দীর্ঘ নাসিক, রত ললাট, খুব ফরসা রঙ, সহান্ত বদন—” আমি বিরক্ত হইয়া বলিলাম, "থামো, থামে, আর রূপর্ণনা শুনতে চাই নে, এখন নিজের কথা বল—” দাদা বলিল, “আগে শোনই না—সহাস্য বদন একটি ছাকরা আমাদের অভ্যর্থনা করে বসালে । আমার সঙ্গের প্ৰবোধ বললে, “শঙ্কর বাবু যে, আপনি এখানে কি মনে কবে ? সে ছোকরা হেসে বললে, "এ যে আমাদেরই Iাড়ি, আপনার আমার বোনকে দেখতে এসেছেন – শঙ্করকে আমি আগে এম-এ ক্লাসে দেখেছিলাম, তার সঙ্গে আলাপ ছিল না। তাকে দেখা মাত্রই এই চিন্তা তড়িৎপ্রবাহের মতন আমার মনের মধ্যে প্রবাহিত হয়ে গেল, যে, নীরির জন্তে একে পাকড়াতে পারলে, তাকে খুব জৰা রাখতে পারবে। এ রকম বীরত্বব্যঞ্জক মূৰ্ত্তি দেখে কোন মেয়ে তার সরণে স্বাগধত লিখে না দিয়ে থাকতে পারে ”ি আমি কোপ প্রকাশ করিয়া বলিলাম, “আমার ভাবনা অঙ্কি ΨωφΦ তোমাকে ভাবতে হবে না, তুমি নিজের চরকায় ভেল দাও। সে মেয়েটিকে কেমন দেখলে তাই বল--পছন্দ হয়েছে ত?” দাদা বলিল—“কেন তুই-ই ত পছন্দ করেছিলি-রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী। তবে সরস্বতী ঠাকরণের বডড বেশী লঙ্গা দেখলাম। প্রাইজের সভায় না কি কত লোকের সামনে গান করেছিল, তাতে লজ্জা হয়নি ; আর আমাদের তিন বেচারিকে দেখে এত লজ্জা-অনেক সাধ্যসাধনার পর একটা গান গাইলে ।” আমি বলিলাম,—“ত হবে না ? তুমি যে বিয়ের বর হয়ে গিয়েছিলে । হাজার হোক হিন্দুর মেয়ে ত?” ইহার কয়েক দিন পরে কনের বাপ দাদাকে আশীৰ্ব্বাদ' করিবার জন্য কয়েক জন সাঙ্গোপাঙ্গ সহ আসিলেন । দাদা দূর হইতে দেখাইয়া আমাকে বলিল,—“ঐ দ্ব্যাখ, সেই শঙ্কর আসছে। কেমন চেহারা ?” আমি ঈষৎ কোপ প্রকাশ করিয়া বলিলাম-“তুমি দেখ গিয়ে। তোমার ভাবী শাল, তুমি ভাল বলবেই ত । এখন থেকেই এত দরদ।” দাদা তাহাদিগকে অভ্যর্থনা করিয়া বসাইল, কারণ বাড়িতে অন্য পুরুষলোক ছিল না। আমি জলখাবার সাজাইয়া দিলাম। আশীৰ্ব্বাদ হইয়া গেলে, মা নিজেই জলখাবার ধরিয়া দিলেন । আমার তাঁহাদের সামনে যাইতে কেমন লজ্জা করিতে লাগিল । মা-ও যাইতে বলিলেন না, এত বড় মেয়ের বিয়ে হয় নাই কেন, আত-শত কৈফিয়ং দেওয়ার দরকার কি ? আমি কিন্তু আড়ালে থাকিয়া দাদার বর্ণিত সেই বীরপুরুষকে ভাল করিয়া দেখিলাম। একটা দর্শনীয় চেহারা বটে। ইহার কয়েক দিন পরে আমাদের এক মামা আসিয়া কনেকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া আসিলেন। সঙ্গে দাদার দুইটি বন্ধুও গিয়াছিল। বিবাহের দিন স্থির হুইল। আমি প্রমীলাকে বধৃবেশে দেখিবার জন্য উংস্নক হইলাম। এক গুভ দিনে শুভ ক্ষণে বিবাহ হুইয়া গেল। দাদা বউ লইয়া ঘরে আসিল। প্রমীলা আমাকে দেখিয়া আমার দিকে অনেক ক্ষণ চাহিয়া রহিল। আমি বলিলাম,—“কি গো, চেনা-চেন ঠেকছে বুকি ?” সে হালিয়া বলিল,—“আপনাকে বোধ হয় বেথুন কলেজে দেখেছি।” --