পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$88 মৃত্যুর অধিকারে ; তাকে নিয়েই যত বিরোধ, যত উদ্বেগ, যত কান্না। মানুষের সভ্যতার ইতিহাস তার অমর সম্পদ-সাধনার ইতিহাস। মানুষ মৃত্যুকে স্বীকার করে এই ইতিহাসকে রচনা করছে, সকল দিক থেকে সে আপন উপলখির সীমাকে যুগে যুগে বিস্তার করে চলেছে বৃহতের মধ্যে। যাকিছুতে সে চিরস্তনের স্বাদ পায় তাকে সেই পরিমাণেই সে বলে শ্রেষ্ঠ । দুই শ্রেণীর বৃহৎ আছে। যশ্চায়মস্মিন আকাশে, জার যশ্চায়মস্মিন আত্মনি। এক হচ্চে আকাশে ব্যাপ্ত বস্তুর বৃহত্ত্ব, আর হচ্চে আত্মাম্ব আত্মায় যুক্ত আত্মার মহত্ব। ৰিব-রাজ্যে মানুষ স্বাধীনতা পায় জলে স্বলে আকাশে,— যাকে সে বলে প্রগতি। এই বস্তুজ্ঞানের সীমাকে সে অগ্রসর করতে করতে চলে। এই চলায় সে কর্তৃত্ব লাভ করে, সিদ্ধি লাভ করে। মুক্তিলাভ করে আত্মার ভূমায়, সেইখানে তার অমরতা। বস্তুকে তার বৃহৎস্বরূপে গ্রহণ করার দ্বার আমরা ঐশ্বধ্য পাই, আত্মাকে তার বৃহৎ ঔদার্য্যে দান করার স্বারাই আমরা সত্যকে লাভ করি। বৌদ্ধধর্শ্বে দেখি বলা হয়েচে, মুক্তির একটা প্রধান সোপান ন্ধৈী। কৰ্ত্তব্যের পথে আমরা আপনাকে দিতে পারি পরের জন্মে। সেটা নিছক দেওয়া, তার মধ্যে নিজের মধ্যে পরকে ও পরের মধ্যে নিজেকে উপলব্ধি নেই। মৈত্রীর পথে যে দেওয়া তা নিছক কৰ্ত্তব্যের দান নম্ন তার মধ্যে আছে সত্য উপলব্ধি । সংসারে সকলের বড় সাধনা অন্যের জন্য আপনাকে দান করা, কৰ্ত্তবাবুদ্ধিতে নম্ন-মৈত্রীর জানন্দে অর্থাৎ ভালবেসে । মৈত্রীতেই অহঙ্কার যথার্থ লুপ্ত হয়, নিজেকে ভুলতে পারি। ষে পরিমাণে সেই ভুলি সেই পরিমাণেই বেঁচে থেকে আমরা অমৃতের অধিকারী হই। আমাদের সেই আমি যায় মৃত্যুতে সম্পূর্ণ লুপ্ত হয়ে যা অহমিকা দ্বারা খণ্ডিত। আজকে যা বলতে এসেছি এই তার ভূমিকা। च्षांख श्रांव्वं८भन्न श्रब्रय श्रुन छगंगांनन्छ ब्रां८ब्रब्र उवंांकউপলক্ষে তাকে স্বরণ করবার দিন। শ্রাঙ্কের দিনে মানুষের সেই প্রকাশকে উপলব্ধি করতে হবে বা তার মৃত্যুকে অতিক্রম করে বিরাজ করে। জগদানদের সম্পূর্ণ পরিচয় হয়ত সকলে জানেন না। আমি ছিলেম তখন 'সাধনা'র লেখক এবং {{ প্ৰবাসনা ši ఏ98O পরে তার সম্পাদক। সেই সময়ে তার সঙ্গে আমার পরিচয়ের স্বত্রপাত হয় । ‘সাধনায় পাঠকদের তরফ থেকে বৈজ্ঞানিক প্রশ্ন থাকৃত। মাঝে মাঝে আমার কাছে তার এমন উত্তর এসেছে যার ভাষা স্বচ্ছ সরল-বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গে এমন প্রাঞ্জল বিবৃতি সৰ্ব্বদা দেখতে পাওয়া যায় না। পরে জানতে পেরেছি এগুলি জগদানদের লেখা, তিনি তার স্ত্রীর নাম দিয়ে পাঠাতেন। তখনকার দিনে বৈজ্ঞানিক সমস্তার এরূপ স্বন্দর উত্তর কোনো স্ত্রীলোক এমন সহজ করে লিখতে পারেন ভেবে বিস্ময় বোধ করেছি। একদিন যখন জগদানন্দের সঙ্গে পরিচয় হল তখন র্তার দুঃস্থ অবস্থা এবং শরীর রুগ্ন। আমি তখন শিলাইদহে বিষমকৰ্ম্মে রত। সাহায্য করবার অভিপ্রামে তাকে জমিদারী কৰ্ম্মে আহবান করলেম । সেদিকেও তার অভিজ্ঞতা ও কৃতিত্ব ছিল। মনে আক্ষেপ হ’ল—জমিদারী সেরেস্তা তার উপযুক্ত কৰ্ম্মক্ষেত্র নয়, যদিও সেখানেও বড় কাজ করা যায় উদার হৃদয় নিয়ে । জগদানন্দ তার প্রমাণ দিয়েছেন । কিন্তু সেখানে তিনি বারংবার জরে আক্রান্ত হয়ে অত্যন্ত দুৰ্ব্বল হয়ে পড়লেন । র্তার অবস্থা দেখে মনে হ’ল তাকে বাচানো শক্ত হবে। তখন র্তাকে অধ্যাপনার ক্ষেত্রে আহবান করে নিলুম শাস্তিনিকেতনের কাজে । আমার প্রয়োজন ছিল এমন সব লোক, র্যারা সেবাধৰ্ম্ম গ্রহণ করে এই কাজে নামতে পারবেন, ছাজদেরকে আত্মীয়জ্ঞানে নিজেদের শ্রেষ্ঠ দান দিতে পারবেন। বলা বাহুল্য, এ রকম মানুষ সহজে মেলে না । জগদানন্দ ছিলেন সেই শ্রেণীর লোক। স্বল্পায়ু কবি সতীশ রায় তখন বালক, বয়স উনিশের বেশি নয়। সেও এসে এই আশ্রমগঠনের কাজে উৎসর্গ করলে আপনাকে । এর সহযোগী ছিলেন মনোরঞ্জন বাড়ুজ্জো, এখন ইনি সম্বলপুরের উকিল, স্ববোধচন্দ্র মজুমদার, পরে ইনি জয়পুর ষ্টেটে কৰ্ম্মগ্রহণ করে মারা গিয়েছেন । বিদ্যাবুদ্ধির সম্বল অনেকের থাকে, সাহিত্যে বিজ্ঞানে কীৰ্ত্তিলাভ করতেও পারেন অনেকে, কিন্তু জগদানদের সেই ছুলভ গুণ ছিল যার প্রেরণায় কাজের মধ্যে তিনি হৃদয় क्रिकइन। उँीब्र काख चांनाचब्र कांज श्नि, उधू ८क्षण কর্তব্যের নয়। তার প্রধান কারণ, তার হৃদয় ছিল সরস, তিনি ভালবাসতে পারতেন । জাপ্রমের বালকদের প্রতি