পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাস্তব ষ্ট্রীসীতা দেবী কলিকাতার শহরে হাত-পা ছড়াইয়া, বেশ আরাম করিয়া থাকিতে পায় অতি সৌভাগ্যবান মাতুবে । সে-রকম মানুষের সংখ্যা অতি অল্প। রাজধানীতে গরিব লোকের যে পরিমাণ দুৰ্গতি, তাহ চোখে না দেখিলে কেহ বিশ্বাস করিবে না, স্বতরাং তাহার বর্ণনা করিয়া লাভ নাই। মধ্যবিত্ত মানুষ এখানে নানারকম স্থবিধা উপভোগ করে বটে, তবে আরাম বিশেষ পায় না, তবু পেটের দায়ে এবং অভ্যাসবশে শহর ছাড়িয়া কেহ কোথাও নড়ে না । মনোরঞ্জনবাবু এই রকম একটি মধ্যবিত্ত গৃহস্থ ভদ্রলোক । বাড়িতে মানুষ কম নয়, জায় খুব বেশী নয়। বিধবা মা আছেন, নিজের স্বামী স্ত্রী এবং পাচটি ছেলেমেয়ে। দেশের বাড়ি হইতে আত্মীয়স্বজন এবং এধার-ওপার হইতে বন্ধুবান্ধব সদাসৰ্ব্বদাই বাড়িতে আসিয়া জোটেন। সুতরাং তিল ফেলিবার স্থান কোনো দিনই হয় না। বড় রাস্ত হইতে অল্প একটু গলির ভিতর ঢুকিয়া মাঝারিগোছের দোতলা একটি বাড়ি। একতলাটা মনোরঞ্জনবাৰু ভাড়া লইয়াছেন, কারণ র্তাহার স্ত্রীর হৃদযন্ত্র কিঞ্চিং দুর্বল, পিঁড়ি ওঠা-নামা করিতে ডাক্তারে বারণ করে। মাও বৃদ্ধ হইয়াছেন, বেশী উপর নীচে করা তাহারও পোষায় না। সেই জন্ত একটু অন্ধবিধা থাকিলেও তাহার নীচেই আছেন। উপর তলায় একটি ফিরিঙ্গী-পরিবার বাস করে। ঘর মাত্র চারখানি ; দুখানি মাঝারি, দুখানি ছোট। মনোরঞ্জনবাৰু বিশেষ আধুনিক নয়, তবে একেবারে সেকেলেও নয়। র্তাহার বড় মেয়ে দুইটি কলেজে পড়ে, একজন ফাষ্ট हेब्राहब, ७कजन षाॐ हेबारब्र, ७थनe बिबांझ् इब नाहे। डिनि স্ত্রীশিক্ষার খুবই পক্ষপাতী, তবে স্ত্রী-পুরুষের মেলামেশার খুব ৰে পক্ষে তাহ নয়। কিন্তু তিনি একটু ভালমানুষ গোছের লোক, মতামত খুব বেশী জোরের সঙ্গে জাহির कब्रिड *८ब्रन न । छहें-कांब्रजन चमार्कौब cष्टणe भारख মাঝে বাড়িতে জীলে, তাহার বড় ছেলের বন্ধু কেহু, কেহ বা ভগ্নীপতির আত্মীয় ইত্যাদি। গৃহিণীও আহাদের সঙ্গে গল্প করেন, মেয়েরাও করে। আগে আগে সব স্বরেই সবরকম কাজ চলিত, এখন মেয়ের বড় হইয়া, ছোট ঘর দুইখানির একখানিকে বসিবার ঘরে পরিণত করিয়াছে, অন্য ঘর দুইটিতে যে, যখন তখন যাহার-তাহার প্রবেশ নিষেধ, তাহা বুঝাইবার জন্য সেগুলির দরজাতে রঙ্গীন খন্দরের পরা ঝুলাইম দেওয়া হইয়াছে। ঠাকুরমার ঘরের দরজা জানালায় খালি পরদা নাই, ও সব তিনি সহ্য করিতে পারেন না। বসিবার ঘরটি দিনের বেলাতেই বসিবার ঘর, রাত্রে চেয়ার টিপয় সব ঠেলিয়া কোণে গাদা করিতে হয়, এবং মেঝেতে বিছানা পাতিয়া বাড়ির বড়ছেলে নটু শয়ন করে। অতিথি অভ্যাগত আসিলে তাহারাও শোয়। শোবার ঘর দুইখানির বড়টিতে কর্তা গৃহিণী ছোট ছেলে মেয়ে দুইটিকে লইয়া শয়ন করেন, ছোট ঘরখানিতে স্বলতা এবং স্বজাত থাকে । অসহ গরমের দিন। ছুপুর বেলাটা সমস্ত শহর যেন হাফাইতে থাকে । ভাগ্যবানের ঘরে বিজলি পাখা চলে, তাহাও যেন বায়ুর পরিবর্ভে অগ্নিকণা বিকিরণ করে । অভাগ্যবানেরা তালপাখার হাওয়া খাইয়া, ঠাণ্ডা মেঝেতে গড়াগড়ি দিয়া, চোখে মুখে জলের ঝপটা দিয়া কোনোমতে সময়টা কাটাইয়া দেয় । মনোরঞ্জনবাবুর বাড়িতে পাখা নাই, তার উপর কাল হইতে বাড়িতে অতিথি সমাগম হইয়াছে। পশ্চিম হুইতে রসিকবাবু স্ত্রী ও কস্তা লইয়া আসিয়া উঠিয়াছে। বহু বৎসর তাহারা ঘর ছাড়া, সম্প্রতি ছয় মাসের ছুটি লইয়া দেশে চলিয়াছেন। মাঝে কলিকাতায় দুই দিন বিশ্রাম করিয়া যাইতেছেন । বিকাল বেলাটা সবে একটু বিরবির করিয়া হাওয়া বহিতে স্বল্প করিয়াছে। ভিতর দিকে ছোট এক কালি बांब्रांस चारह, उांशtéदे ५षाङ्ग-●षांब ५को नब्रव?