পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র । बांग्लब ఆe) লাগাইয়া খাবার স্বরের কাজ চালান হয়। আগে খাওয়াটা যেখানে-সেখানে সারা হইত, কিন্তু তাহাতে স্বলতার ভারি আপত্তি। এইটুকু বাড়ির মধ্যে চব্বিশ ঘণ্টা এঁটে বাসন পড়িয়া থাকিতে দেখিলে তাহার গা কেমন করে। সে-ই উদ্যোগী হুইয়া বারাগুটিকে খাবার ঘরে পরিণত করিয়াছে। জায়গার অভাবে টেবিলে খাওয়াও চালাইয়াছে। বিকালে সবাই চা খাইতে বসিয়াছেন। স্থলত ক্ষিপ্ৰহস্তে রটিতে মাখন মাখাইতেছে, এবং প্লেটে লুপ করিয়া রাখিতেছে। মুজাতা চা ঢালিতে বাস্ত। আর একটি বড় প্লেটে রসগোল্লা এবং পাকা কলা । এগুলির আমদানি অতিথি-সম্বৰ্দ্ধনার জন্য। অন্তদিন শুধু রুটি মাখনেই কাজ চলে। রসিকবাবুর স্ত্রী বলিলেন, “কানপুরে খাওয়া-দাওয়া কিছুরই মুখ নেই বাপু, একেবারে ছাতুখোর খোটা হয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু হাত-পা ছড়িয়ে থাকতে পাই । মস্ত বড় বাংলো, খান-দুই ঘর ত একেবারে খালি পড়ে থাকে, চাকরবাকরে ভূতের কেক্তন করে ।” মনোরঞ্জনবাবু বলিলেন, “আমরা মাছ-ভাত খাওয়ার সুখে আর সব কষ্ট ভুলে আছি। আচ্ছ, ওখানে আপনার মাসে ক'দিন মাছ খান ?” রসিকবাবুর স্ত্রী উত্তর দিবার আগেই, তাহার মেয়ে অপর্ণ বলিল, “মাসে ক'দিন আবার, বছরে ক'দিন বলুন। তাও মাছ চিবচ্ছি কি খড় চিবচ্ছি, ভাল বোঝা যায় না ।” মনোরঞ্জনবাৰু অপর্ণার উন্নত পরিপুষ্ট দেহটির দিকে চাহিয়া বলিলেন, “ম-লক্ষ্মীর স্বাস্থ্যের তাতে কিছু হানি হয়নি। আমার মেয়ে দু-জনকে বোধ-হয় তুমি একলা তুলে আছাড় দিতে পার ” মেয়ের সমন্বয়ে হাসিয়া উঠিল। স্কুলত বলিল, “তিন ফুটু ঘরের মধ্যে হাত-পাই নাড়া যায় না, তা গায়ে জোর হবে। তবু ত স্বজাত ছেলেবেলায় দু-চারবার স্কুলের স্পোর্টে প্রাইজ, পেয়েছে, আমার ওদিকে কোনোই কৃতিত্ব নেই।” রলিকবাবুর স্ত্রী বলিলেন, “এইবার ফিরবার বেলা তোমাদের দুই রোনকে নিয়ে ষাৰ সঙ্গে করে । ছু-মাসে कि ब्रस्य चबैौद्ध नाट्ज़ cाष ५षन ” মনোরঞ্জনবাৰুর স্ত্রী একটু আতঙ্কিত ভাবে বলিলেন, *बॉब, व cभं८णब जांज्रकी जांच्नांटमध्न !” রসিকবাবুর স্ত্রী বলিলেন, “তাই ৰ’লে কি সে দেশে মাছৰ থাকে না ? আমরা ত দশ বছর রখেছি। না-হয় প্লেগের টিকে নিয়ে যাবে, তা হলে ছ'মাসের মত নিশ্চিদি ।" অপর্ণ। বলিল, “বাবা, এখানেই বা কম গরম কি ? কানপুরে গামে ফোঙ্কা পড়ে, এখানে প্রায় সিদ্ধ হয়ে যাবার জোগাড়। একদিক দিয়ে এইটাই বিত্র বেশী। চটুপটু চা খাওয়া শেষ করে নিয়ে চল কোথাও একটু ঘুরে জাস যাকৃ। বাড়িতে টেকাই দায় ।” স্বলতা প্লেটে করিয়া সকলকে রুটি, কল এবং রসগোজা পরিবেশন করিতে লাগিল, স্বজাত চায়ের পেম্বালাগুলি এক এক করিয়া অগ্রসর করিয়া দিল। কেহ পুরা পেয়াল থাইল, কেহ বা আধ পেম্বালা । খাবার প্রায় সকলেরই কিছু কিছু পড়িয়া রহিল। তাহার পর মেয়ের বাহিরে যাইবার সাজসজ্জা করিতে উঠিয় গেল। অপর্ণাও স্বজাতাদের ঘরে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছে। তাহার বাবা মা এখন পৰ্য্যন্ত এঘর-ওঘর করিয়া বেড়াইতেছেন। রসিকবাবু ত পশ্চিমের অভ্যাস-মত রাত্রে বারাওয়েই গুইরাছিলেন, খাইবার টেবিলের উপর । তাহার স্ত্রী সারারাত এখান-ওখান করিয়া বেড়াইয়াছেন, কোথাও টিকিতে পারেন নাই । অপর্ণারও ঘরের গরমে ঘুম হয় নাই, তবু ঘরের ভিতর গুইয়া থাকিডেই সে বাধ্য হইয়াছে। যথাসম্ভব হাল্কা কাপড়-চোপড় পরিয়া অতিথি তিনজন এবং মনোরঞ্জনবাবু সপুত্রকন্যা বাহির হুইয়া গেলেন । গৃহিণী ঘরেই রহিয়া গেলেন, অতিথি সংকারের ব্যবস্থা করিতে হইবে ত ? ঠাকুরমা ত গঙ্গাস্বান ছাড়া আর কোনো কাজে কখনও বাছির হন না । সকলে রাস্তায় বাহির হইয়া খানিকটা পায়ে খাটিয়াই পার হইয়া গেলেন। তাহার পর ট্রামে খানিক, আবার তাহার পর পদব্রজে। এইভাবে বালীগঞ্জের লেকৃ ইত্যাদি সব ঘুরিয়া তাহার বেশ খানিকট রাত করিয়াই বাড়ি ফিরিয়া আসিলেন । গৃহিণী বলিলেন, “খুব যা হোক! কটা বেজেছে তার ইস আছে ?” মনোরঞ্জনবাৰু বলিলেন, “ৰটাই বাজুক বাপু, দশটা স্নাত হবার আগে ঘরে যে ঢোকাই যায় না ?”