পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খোল উঠানে ভইতে না পাইলে ঘুমের সঙ্গে আর সম্পর্ক থাকে না । - আবার তজ্ঞা আসিয়া পড়িল । পাশের ঘরের দরজাটায় একটা শৰ হইল না কি ? না ও হাওয়ারই শৰ । অপর্ণার চোখ আবার বুজিয়া আসিল, হাতপাখাখানা জাবার মাছরের উপর বিশ্রামলাভ করিল। পাশের ঘরের দরজাটা আস্তে আস্তে খুলিয়া গেল। স্বলতার মায়ের ঘর হইতে কে এ ঘরে আসিতেছে ? এত রমণী মূৰ্ত্তি নয়। ঘরের ভিতরটা ছায়াময়, বাহিরের রাস্তার আলো অতি অল্প একটুকু স্তিমিত হইয়া এই ঘরের এক কোণে আসিয়া পড়িয়াছে। আগন্তুক সেই আলোতেই বুঝিতে পারিল, খাটের উপর একটি এবং নীচে দুইটি তরুণী গুইয়া । প্রথমে ধীর পদক্ষেপে স্বজাতার খাটের পাশে গিম্ব দাড়াইল। স্বজাত অঘোরে ঘুমাইতেছে। তাহার হাতে বা গলা কোনো গহনা আছে কি-না কিয়া পড়িয়া পরীক্ষা করিয়া দেখিল। বিশেষ কিছু নাই, স্বজাত আধুনিক মেয়ে এবং বক্ষস সতেরো । এ সময় অনেক তরুণ চিত্তেই একটা অকারণ বৈরাগ্য দেখা দেয়, নরণ পেড়ে ধুতি পর, হাতে এক গাছি মাত্র সরু চুড়ি পরা ইত্যাদি নানা উপসর্গ আসিয়৷ জোটে । স্বজাতাকে এখন সেই রোগে ধরিয়াছে। লোকটা পা টিপিয়া টিপিয়া অপর্ণার কাছে আসিয়৷ দাড়াইল । অপর্ণার গায়ে গহনা আছে বটে। বড়লোকের একমাত্র মেয়ে, গলায় পাকা সোনার মস্ত এক ছড়া রুদ্রাক্ষ হার, হাতে চার গাছ করিয়া চুড়ি এবং মাজাজী কঙ্কণ । পৰেট হইতে ছোট একটা ইলেকটিক টৰ্ক বাহির করিয়া সে অপর্ণার হাতের গহনাগুলি পরীক্ষা করিতে লাগিল । কক্ষণগুলি স্ববিধাজনক জিনিষ বটে, খিল দেওয়া, সাবধানে খুলিতে পারিলেই হয়। টর্চ নিবাইয় পকেটে রাখিয়া চোর আস্তে আস্তে কঙ্কণ খুলিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। খিল্‌ হইলে কি হয় ? উটি আছে বেশ । একটু বেশী জোরে টিপিতে গিয়া অপর্ণার হাতেই লাগিয়া গেল। একে তাহার उल घूम क्षय नदे, अंशब्र ऐर्श्वत्र ७हे । अक् काँकोब्र इङ সরাইজ, অপর্ণ লোজা হুইখা উঠিয়া বসিল । মাকরাত্রে স্বরের মধ্যে চোর দেখিলে, সাধারণ বাঙালী وة ---- bre বাত্তৰ &es, মেয়ে “মাগো, বাবা গো” করিয়া চেষ্টাইয়া মূছ। যাইত । অপর্ণ কিন্তু একটু অন্য ধাতুতে গঠিত, পশ্চিমে থাকিয় থাকিয়া চুরি ডাকাতি দেখা তাছার অভ্যস্ত হইয়া গিয়াছে । সে মাদুর ছাড়িয়া লাফাষ্টয় উঠতে যাইবামাজ লোকটা সজোরে তাহার মুখ টিপিয়া ধরিল। অপর্ণ দমিবার মেয়ে নয়। পা দিয়া স্থলতাকে জোরে এক গুতা দিয়া, চোরের হাত ছাড়াইবাৰ জগু কুটাপুটি বাধাইয়া দিল । স্কলত মুজাতাও জাগিম৷ উঠিয়া সমন্বরে চীৎকার করিয়া উঠিল। চোর অপণাকে ছাড়িয়া দিয়া এক লাফে অন্য ঘরে প্রবেশ করিতে যাইতেছে, ঠিক সেষ্ট মুহূৰ্ত্তে অপর্ণ সেই আধ সের কাশার গেলাসটি তাহার মাথা লক্ষ্য করিয়া ছড়িয়া মারিল । লক্ষ্য ব্যর্থ হইল না । লোকটা আৰ্ত্তনাদ করিয়া ৰলিয়া পড়িল। কিন্তু আঘাত খুব যে গুরুতর চয় নাই তাছা বোঝা গেল, কারণ পরক্ষণেই সে উঠিয়া ভড়মৃড় করিয়া পলায়ন করিল । ইতিমধ্যে বাড়ির সকলে জাগিয়া উঠিয়াছে । মনোরঞ্জনবাবুর স্ত্রী এবং অপর্ণার মা প্রাণপণে চেচাইতেছেন, মনোরঞ্জনবাবু মেয়েদের ঘরে ছুটিয়া জাসিয়াছেন, নট চোরের পিছনে তাড়া করিয়াছে । রসিকৰাবু এক লাফে টেবিল হইতে নামিয়াষ্ট দেখিলেন, একটা লোক পাচিল টপকাইবার চেষ্টা করিতেছে । ছটিয়া গিয়া তাহাকে চাপিয় পরিবার জোগাড় করিতেই সে কুপ করিয়া অন্ত দিকে লাফাষ্টয় পড়িল, রসিকবাবুর হাতে থাকিয় গেল তাহার পাঞ্জাবীর এক টুকুর এবং পাচিলের গায়ে কিছু রক্তচিহ্ন । উপর তলার ফিরিদমের ইলেকটক আলো ফট্ ফট্‌ করিয়া জলিয়া উঠিল। তাহাঙ্গের একজন ছেলে নীচে নামিয় আসিল কি হটমাছে জানিবার জন্ত । নীচের তলার সকলেও লণ্ঠন জালিয়া চারিদিক জয় ভয় করিয়া দেখিতে লাগিল । একটা ত মার খাইমা পলায়ন করিয়াছে, আবার কোথাও কেহ লুকাইয়া নাই ত ? কিন্তু আর কাহারও খোজ মিলিল না । মেয়েদের গরের মেঝেতে তখন রক্তে জলে ঢেউ খেলিতেছে। সে সব মুছিয়া পরিষ্কার করিয়া ফেলা হইল। নটু একটু জাপৰি করিতেছিল,