পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vße SO8O মীরা বেনকেও জাপ্রম পরিষ্কার করিতে কোন কোন দিন দেখিয়াছি। স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাবে কতকগুলি শৌচাগার আছে। স্বাণী পায়খানার নীচে একটা টিন থাকে। শৌচাদির জল ভিন্ন টনে পড়ে, পাশে সুপাকার বালুমটি থাকে। যে যখন পায়খানা সারিয়া আসে মলের উপর বালু চাপা দিয়৷ আসে, তাহাতে কোন গন্ধ বা মাছি জমে না। পরে সেই মল ও মাটি সহ টন দূরে সারের জন্য ফেলা হয়। অস্থায়ী পায়খানাগুলি সব ফলমূলের বাগানে থাকে। স্থানে স্থানে বিস্তর গর্ভ আছে, তাহাতে চতুষ্কোণ মোট কাঠের মধ্যে চাটাই-ঘেরা, সেইগুলি গর্ভের উপর বসান থাকে । যে যখন পায়খানা সারিয়া আসেন, সে মাটি চাপা দিয়া আসে, তাঁহাতে পব পর গেলেও কাহারও কোন অস্ববিধ হয় না। কোন গন্ধও থাকে না। এই ভাবে কয়েকদিন পর গর্ভট। ভরিয়া উঠিলে, অন্য গৰ্ত্তে বসাইয়া দেওয়া হয়। কিছু দিন পর মল সব মাটির সঙ্গে মিশিয়া গেলে, খুব ভাল সার হয়। তখন সেখানে বৃক্ষ—ফলমূলেরই বেণী—রোপণ করা হয়। খুব ভাল ভাল পেঁপে দেখিলাম। মীরা বেনকে প্রায়ই পায়খানা পরিষ্কার করিতে দেখিতাম । আমি বলা সত্ত্বেও আমাকে পায়খানা পরিষ্কারের কাজ দিতেন না। নদীতে স্বানের ও কাপড় কাচার জন্য ছেলেমেয়েদের ভিন্ন ভিন্ন ঘাট আছে । জানের সময় দেখিতাম ছোট ছেলেমেয়েরা নদীকে একেবারে তোলপাড় করিয়া তুলিত। জল ছিটাছিট, হাসিতে হাসিতে গলিয়া ঢলিয়া স্রোতের মধ্যে গা ভাসাইয়া অনেক দূর চলিয়া যাইত। আবার বালুর উপর দিয়া দৌড়াইয়া আসিয়া জলে বাপাইয়া পড়িত। এই ভাবে তাদের অনেকক্ষণ জলখেলা চলিত। মরুমীর প্রকৃত অভ্যর্থনা ও উপভোগ যেন এরাই করিতেছে। এদের এমন সরল কুঞ্জ ও হালিভরা মুখ দেখিতে দেখিতে আমার কাপড় কাচার পরিশ্রম যেন অনেকটা লাঘব করিয়া দিত। একদিন একটি চঞ্চল প্রকৃতির ছেলে, জলখেলার ওস্তাদ, জামার পাশে চুপ করিয়া বলিয়া খাইয়া ঘাটতেছে দেখিয়া আমার হাসি পাইল। এক ভদ্ৰলোক জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি, হাস্ছেন যে ?” আমি কারণটা বলতে তিনি বলিলেন “এর মধ্যেই চিনে নিয়েছেন।” গোশালার বন্দোবস্ত বড় স্বন্দর। গরু র্যাড়গুলি বেশ হৃষ্টপুষ্ট, দেখিলেই মনে হয় তারা বেশ স্বর্থী। ঘরগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। কোথাও খড়কুটা গোবর জমিয়৷ থাকে না । অনবরত সেগুলি পরিষ্কার করিয়া গরুর ঘাসের জমিতে সারের জন্য ফেলা হয় ৷ আশ্রমের মধ্যে এক গোশালার জন্তই তৃত্য নিযুক্ত আছে। একটা বড় জায়গায় দশ-বারটা বাছুর রাখা লইয়াছে, যে যার ইচ্ছামত চলাফেরা করে, মাঝখানে বড় একটা সৈন্ধব লবণের চাকা ঝুলিতেছে। যে যার ইচ্ছামত সেট চাটে । কচি ঘাস পাতাও আছে। আমি একদিন কাছে গিয়া দাড়ান মাত্র একে একে সবগুলি কাছে আসিয়া গলা মাথায় হাত বুলাইয়া দেওয়ার জন্য হুড়াছড়ি লাগাইয়া দিল । বাচ্চাগুলি বেশ হৃষ্টপুষ্ট, আহলাদে-আহ্লাদে গোছের চেহারা, দেখিলেই মনে হয় তাহদের মাতৃ-স্তন যতটুকু প্রাপ্য তাহ হইতে তাহাদের বঞ্চিত করা হয় নাই । অবশিষ্ট দুধষ্ট আশ্রমবাসীরা পায় । একদিন আমার রান্নাঘরে জলতোলার কাজ পড়িল । একটা বড় ইন্দারায় অবিকল মালার আকারে ছোট ছোট সব টিনের পাত্র লাগান আছে । তাহাতে এমন ভাবে কল বসান, একটা ষাড় ঘানির মত ঘুরিলে সেই মালাট অনবরত ইন্দারায় উঠা-নাম করিয়া প্রতি মিনিটে ভার ভার জল তোলে। সেই জল একটা বড় চৌবাচ্চায় গিয়া জমা হয়। সেখান হইতে একটা মোটা লোহার নল রান্না ঘরের নীচে চলিয়া গিয়াছে। সেখান হইতে পাম্প করিলে রান্নাঘরের উপরে যায়। বাকী জল থালা বাটি ধোয়ার জন্ত জমা থাকে। ঘাড়টা বুঝিতে পারিয়াছিল তার যে চালক সে একজন নূতন আনাড়ি। কাজেই ঠিকমত ঘুরিতেছিল না। এইটা দূর চইতে একটি ভদ্রলোক লক্ষ্য করিয়া ঘাড়টার চোখে একটা কাপড়ের টুক্র বাধিয়া দিলেন। তখন ধাড়টা বেশ চলিতে লাগিল । ওদিকে ভারে ভারে জলও উঠতে লাগিল। এর মধ্যে দেখি মহাত্মাজীর স্ত্রী একটা তামার কলসীর গলায় দড়ি বাধিয়া সেই ইন্দারা হইতে জল তুলিতেছেন। দেখিয়া মনে হইল যেন কষ্ট করিয়াই জল তুলিতেছেন। यांभि गिग्री कलौछि তুলিয়া দিৰ ভাবিতেছি ; আৰার ভাবিলাম, আমি তুলিতে গেলে ভদ্রমহিলা না জানি কি