পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wow গুর্থ সাজেন্ট, কয়েদী গাড়ী এবং রাইকলের ভিড় কাটাইয়া আবাৰু টােতে চুকিতে বাইবে পাশের বারা হইতে ধুতিপর একটি রোগা কালে বাঙালী ভদ্রলোক ছুটিয়া আসিয়া তাহাকে বাধা দিলেন । হাসিয়া বলিলেন, “কি মশায়, আপনার যে দেখছি ভারি বেজায় গরজ । কোথায় চলেছেন, জমন করে হনহনিয়ে। একটু দাড়ান, দুটাে কথা হোক, পকেটগুলো দেখি আগে, তারপর ত ভেতরে যেতে পাবেন। কি নাম আপনার ?” r “औषणम् ब्राप्तः ।” “কাছাকাছিই কোথাও থাকেন বুঝি ?” “আজো হ্য, এই বৌবাজারেক্ট একটা গলিতে " "ত বৌবাজারের গলিগুলির কি নাম নেই ?” এই যা, গলির নামটা যে কি, অনাবশ্বক-বোধে অজয় একদিনও তাহার খোজ করে নাই। উপায় ? একেই ত তাহার এই পোষাক, এই চেহারা, তদুপরি নিজের ঠিকানা বলিতে না পারিলেই হইয়াছে আর কি ! তাড়াতাড়ি কহিল, “আমার সম্বন্ধে যা, যা জানতে চান পরে সব শুনবেন এখন । সম্প্রতি আমার একটা উপকার করুন।” “বটে ? তা বেশ, বলুন কি করতে হবে।” “আমার একটি বন্ধুর খোজ নিয়ে দিন " | "আপনার বন্ধু ? এমন স্থানে ? পুলিশে কাজ করেন ৰুৰি ?” - “আঞ্জে না, এই ক'দিন আগে জানি না কেন তাকে ধরে আনা হয়েছে। শ্রীনন্দলাল মিত্র। আই-এ পড়ে।” “নন্দলাল মিত্র...নন্দলাল মিত্র...উহু, মনে পড়ছে না। আই-এ, এখনকার দিনে অমন অনেকেই পড়ে। চার্জটা কি ?” "তা ত জানি না, তবে আমি বলতে পারি, কোনো অপরাধ করা তার স্বভাবে সম্ভবই নয়।" “লোকটাকে যখন চোখেই দেখিনি এবং আমার কেস নয় তখন এ নিয়ে আপনার সঙ্গে আর তর্ক করব না । আপনার কথাই শিরোধাৰ্য্য করে নিচ্ছি ।" “তার সঙ্গে কোনো রকমে কি একবার দেখা হয় ?” “चोुन् िउद्म ८े इन ?” - - “কেউ না। কিন্তু আসলে ভাইয়ের চেয়েও বেশী।” . SOBO “বেশী না হয়ে ঠিক মাপ-মতন ভাই হ’ল চেষ্টা করে দেখা যেত। একজন উকীল সঙ্গে করে জানতে পারেন " প্রিয়গোপালের নামটা কিছুতেই তখন অজয়ের মনে আসিল না। মাপ-মজন ভাইয়ের প্রসঙ্গেরপর মাপ-মতন উকীলদের কথাই সে ভাবিল, প্রিয়গোপাল ব্যারিস্টার। উকীল বন্ধু তাহার কেহ নাই, বন্ধু নহে এমন উকীল জুটাইবার মত সঙ্গতি নাই। বাড়ী ফিরিবার পথে আবার ইহাই মনে করিঃ খুসি হইতে চেষ্টা করিল যে, আসিবার সময় তাহাকে ডাকিয় সেই রোগ৷ কালে লোকটি তাহার গলির নামটা আবার জানিতে চাহে নাই। আশ্চৰ্য্য, বাড়ীর নম্বরটা সে ঠিক জানে, রাস্তার নামটাই জানে না, নামের পাটা কোথায় কোনদিকে আছে দেখিয়া আজই এই ক্রটি সে সারিয়া লইবে । কিন্তু রাস্তার নাম না-হয় জানা হইল, মনের উপর হইতে অবসাদের ভার ত নামিতেছে না । লালবাজারে অত্যস্ত অনাত্মীয় সমাবেশের মধ্যে এবং নন্দলালকে দেখিতে না পাইয়। সে-অবসাদ যেন আরও বাড়িয়াই গিয়াছে। না, মনটাতে কিছুতেই সে স্বাভাবিকতা ফিরাইয়া আনিতে পারিতেছে না। তাহার চারিপাশের পৃথিবীও যেন কেমন অবসর, ব্যাধিগ্রস্ত। আজ সে যেদিকে চাহিতেছে কদৰ্যত দেখিতেছে, উচ্ছখলত ও অসাম্য দেখিতেছে, অস্বাস্থ্যের গ্লানি দেখিতেছে। চতুৰ্দ্দিকের এই সীমাহীন ব্যাধিক্লিন্নতার মধ্যে নিজের জন্য কোথায় কোন মন্ত্রবলে স্বাস্থ্যের নীড় সে রচনা করিতে চাহে ...দুই পাশের পায়ে-চলা পথের অবর্ণনীয় নোংরামি । সন্দেশের দোকানের পাশে কুকুর-বিড়ালের মৃতদেহ চাপ দিয়া রাখিবার জায়গা। আজ সেখান হইতে একটা পূতিগন্ধময় ঘোড়ার শব সরানো হইতেছে। রোগ-বিগলিত-দেহ ভিক্ষুকের দলের পাশে বেলফুলের মালা বিকাইতেছে। পথের লোকের কুংসিত অপরিচ্ছন্ন পোষাক, বিচিত্র ছাদের গতি। কেহ সোজা চলিতেছে না, একে অপরের গায়ে ধাক্কা লাগিয়া যাইতেছে, পায়ে পা ঠেকিতেছে, সকলেই যেন পা-ফুটাকে টানিয়া চলিতেছে। মনে পড়িল, বিমান বলিত, সোজা হয়ে হাটেই না কি কেবল, সোজা হয়ে দাড়ায় না, সোজা হয়ে বসে না, সোজা হয়ে শোয় না পৰ্যন্ত, কুকুর-কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে থাকে। একটা লোক কলার খোসাতে পা হুড়কাইয় পড়িতে পড়িতে गांधणारेब्र। cगंज, ऐरक्रक्ष यहचत्र शक्झिं, श्रोणि श्रीक्लिन क्रूि