পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাত্র - बेडैटब्रां८णं छांब्रडौब्र लिख fi్న जाब बैंइक्षिा ছিল এই যে, আমাদের কতকগুলি জিনিব ছিল যাহাঁদের প্রত্যেকটি বিভিন্ন গঠনের । এক রকমের এক ডজন জিনিষ দেখাইবার উপায় ছিল না। কাজেই, ব্যবসায়ীদের কাছে সে-সব জিনিষ বিক্রয়ের কোন আশাই ছিল না । এই ভাবের বাংলার শিল্পকে ইউরোপে চালাইতে অনেক অন্ধবিধা ভোগ করিয়াছি। ফলে ইউরোপে আমাদের দেশের শিল্প-প্রচলনের সুবিধা-অস্থবিধ অনেক-কিছু জানিয়শুনিয়| আসিয়াছি । ইউরোপের বাজারে আমাদের দেশের শিল্পের যে স্থান হইতে পারে, এ সম্বন্ধে অনেক আশা লইয়া আসিয়াছি। বোম্বাই, গুজরাট, পেশোয়ার, পঞ্জাব, রাজপুতান প্রভৃতি স্থানের অনেক ব্যবসায়ী ইংলণ্ডের স্থানে স্থানে ভারতীয় দ্রব্য বিক্রয় করিয়া থাকেন, কিন্তু কোন বাঙালী যুবককে দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় না। ইউরোপে ভারতীয় জিনিষ বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীদের সম্বন্ধে একটু দুঃখের কথাও আছে । ইহাদের অনেকেই জাপান বা জাৰ্শেনীর প্রস্তুত জিনিষ ভারতীয় বলিয়া বিক্রয় করিয়া থাকেন । চেকোশ্লেভাকিয়ার প্রস্তুত নানা রঙের কাচের বা ক’ড়ে মাটির মালা দাঞ্জিলিঙের পাথরের মালা বলিয়া ইউরোপের বাজারে কাটে। (বল বাহুল্য আমাদের দেশে দার্জিলিঙের মালা নামে যাহা প্রচলিত তাহাও চেকোশ্লোভাকিয়ায় প্রস্তুত ) ৷ ভারতীয় লোকের হাতে বিক্রয় করিতে দেখিয় লোকে সহজেই ভারতীয় শিল্প বলিয়া বিশ্বাস করে। ভারতীয় শিল্পের মর্যাদা এই ভাবে ক্ষুঞ্জ হইতে দেওয়া আমাদের ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অযোগ্যতা ব্যতীত আর কি বলিব ! আমেরিকান প্রভৃতি বহু বৈদেশিক ভ্রমণকারী ইউরোপের নানা স্থানে ভ্রমণ করিতে আসিয়া থাকেন । র্তাহার নানা দেশের নানাপ্রকার বিচিত্র বস্থ ক্রয় করিয়া থাকেন। এই প্রকার ভ্রমণকারীর সংখ্য যে কত তাহা ঘরমুখে৷ বাঙালী আমরা সহজে ধারণা করিতে পারি না । এই সকল বৈদেশিক যাত্রীর অর্থে ইউরোপের বহু বচ্চ নগর পরিপুষ্ট হইতেছে। ইউরোপের দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী বন্দরগুলি, স্বইজরল্যাণ্ডের স্বাস্থ্যকর অঞ্চলগুলি, প্যারিস, বার্লিন, ' ভেনিসের মত বড় শহরগুলিতে ५डरे शृंखैौब्र चांमनानेौ ८९, हेंशzवव्र ग्रंडिबिर्षिब्र नांनांaयंकांब्र ԵՖ-ՖC 4oծ ব্যবস্থা করিবার জন্ত বহু বহু বড় বড় কোম্পানী পরিচালিত ও পুষ্ট হইতেছে। আমাদের দেশেও আমেরিকান এক্সপ্রেস "টমাস কুক এও সন’ কলিকাতা, দাৰ্জিলিং, বোধগয়া, বেনারস, দিল্লী, আগ্রা দেখাইয়া বিদেশী যাত্রীদের কাছ হইতে অনেক টাকা রোজগার করে। ইউরোপে এশিয়ার জাপান, চীন, ইন্দোচীন, পারস্য, আরব, প্যালেস্তাইন, বাগদাদ, ভারতবর্ষ প্রভৃতি সকল দেশেরই দোকান আছে এবং তাহারী দিন দিন বিশেষ উন্নতি লাভ করিতেছে। প্যারিলে গুজরাটী কয়েক জন ব্যবসায়ী পারঙ্গ-সাগরের মুক্ত বিক্রয় করিয়া যথেষ্ট অর্থোপার্জন করত: ওদেশে সম্মানের সহিত বসবাস করিক্তেছেন। দুঃখের বিষয়, মুক্তার কারবারও বৰ্ত্তমানে অচলপ্রায় হওয়ায় তাহদের যথেষ্ট অসুবিধা হইতেছে। প্যারিলে ভারতীয় শিল্পদ্রব্যের খুব ভাল বাজার গুষ্টি হটতে পারে । উপযুক্ত লোক এদিকে মনোযোগ দিলে যথেষ্ট হুবিধা হইবার আশা করা যায় । ছয় মাস কাল প্যারিসের একজিবিশনটিতে আমাদের কার্ষ্য শেষ করিয়া আমি ইউরোপের অন্যান্ত দেশের শিল্প বাণিজ্য দেপিবার জন্য ভ্রমণে বাহির হই এবং একে একে বেলজিয়ম, জাৰ্ম্মেনী, অষ্ট্রিম, স্বইজরল্যও, ইটালি, প্রভৃতি দেশের শিল্পকেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করি । ভারতের প্রতি, ভারতীয় শিল্পের প্রতি তাহাদের সকলেরষ্ট যে একটা আকর্ষণ আছে তাহাও বুঝিয়াছি। তবে, কোন জিনিস কোন দেশে কি ভাবে চলিতে পারে, ক্ষণিকের দেখাশুনার ফলে তাহার একটা ধারণা করা চলে না। একটি বিষয়ের কথা আমি নিশ্চিত্ত রূপে বলিতে পারি যাহার বিরাট ব্যবসা ইউরোপে চলিতে পারে । আমাদের দেশের কতকগুলি কঁচামাল যাহা অন্তৰ দুলৰ্ভ, যেমন-তেঁতুল, খেজুর, চিনি, চিটাগুড়, মধু, মোম গ্রব্য, তিল, তিলি, সরিষা প্রভৃতি শস্য, নারিকেল কলা আম জানারস প্রভৃতি ফল, নানাবিধ ভেষজ দ্রব্য ইউরোপে চলিতে পারে। কাৰ্য্য আরম্ভ করিলে ক্রমে আরও অনেক জিনিসের সন্ধান হইতে পারে বাহা আমরা ঐ সকল দেশে সরবরাহ করিতে পারি। বিদেশী-বাণিজ্য সম্বন্ধে প্রধান কথা হইতেছে কাইম-ডিউটি অর্থাৎ বাণিজ্য-শুদ্ধ লইয়া । ইহা বিদেশী-বাণিজ্যের বড়ই অভরায়। কোন প্রব্য কোন দেশে পাঠাইতে কিরূপ কষ্টমডিউটি দিতে হয় সর্বাগ্রে অহাই জানা জাবস্তক । গভর্ণমেন্ট