পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাইব্রেরী ও অন্যান্ত ব্যবস্থা ছিল যথোচিত। কদাচিৎ সেই ছুক্ষশ্যে কেউ কেউ এখানে আসতেন, কিন্তু অধিকাংশ লোক নাসতেন ছুটি যাপন করবার স্বযোগে এবং বায়ুপরিবর্তনের সাহায্যে শারীরিক আরোগসাধনায় । আমার বয়স যখন অল্প পিতৃদেবের সঙ্গে ভ্রমণে বের হয়েছিলেম। ঘর ছেড়ে সেষ্ট আমার প্রথম বাহিরে ধাত্রা । ইটকাঠের অরণ্য থেকে অবারিত আকাশের মধ্যে বৃহৎ মুক্তি এই প্রথম আমি ভোগ করেছি। প্রথম বললে সম্পূর্ণ ঠিক বলা হয় না। এর পূৰ্ব্বে কলকাতায় একবার যখন ডেন্ধু জর সংক্রামক হয়ে উঠেছিল তখন আমার গুরুজনদের সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলেম গঙ্গার ধারে মালাবাবুদের বাগানে। বসুন্ধরার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে সুদূরব্যাপ্ত আস্তরণের একটি প্রান্তে সেদিন আমার বসবার আসন জুটেছিল । সমস্ত দিন বিরাটের মধ্যে মনকে ছাড়া দিয়ে আমার বিস্ময়ের এবং আনন্দের ক্লাস্তি ছিল না। কিন্তু তখনও আমি আমাদের পূর্ব নিয়মে fছলেম বন্দী, অবাধে বেড়ানো ছিল নিষিদ্ধ। অর্থাং কলকাতায় ছিলেম ঢাকা খাচার পার্থী, কেবল চলার স্বাধীনতা নয় চোখের স্বাধীনতাও ছিল সঙ্কীর্ণ, এগানে রইলুম দাডের পার্থী, আকাশ খোলা চারিদিকে কিন্তু পায়ে শিকল । শান্তিনিকেতনে এসষ্ট আমার জীবনে প্রথম সম্পূর্ণ ছাড়া পেয়েছি বিশ্বপ্রকৃতির মধ্যে। উপনয়নের পরেই আমি এখানে এসেছি। উপনয়ন অনুষ্ঠানে ভূভূর্ব স্বলোকের মধ্যে চেতনাকে পরিব্যাপ্ত করবার যে দীক্ষা পেয়েছিলেম পিতৃদেবের কাছ থেকে,-এখানে বিশ্বদেবতার কাছ থেকে পেয়েছিলেম সেই দীক্ষাই । আমার জীবন নিতান্তই অসম্পূর্ণ থাকত প্রথম বয়সে এই সুযোগ যদি আমার না ঘটত। পিতৃদেব কোনো নিযেধ বা শাসন দিয়ে আমাকে বেষ্টন করেন নি। সকালবেলায় অল্প কিছুক্ষণ র্তার কাছে ইংরেজি ও সংস্কৃত পড়তেম, তারপরে আমার অবাধ ছুটি। বোলপুঞ্জ नश्ब्र ठशन शैठ ट्रग्न eóनि । क्रोtनब्र करनब्र ८र्षtब्र আকাশকে কলুষিত আর তার দুর্গন্ধ সমল করেনি মলয় বাতাসকে । মাঠের মাঝখান দিয়ে যে লাল মাটির পথ চলে গেছে তাতে লোকচলাচল ছিল অল্পই। বাধের জল ছিল পরিপূর্ণ প্রসারিত, চারদিক থেকে পলি-পড়া চাষের জমি তাকে কোণ-ঠেলা করে জানে নি। তার পশ্চিমের উচু जाजष्-किछांणदछद्र चूब्जा o পাড়ির উপর অক্ষুঞ্জ ছিল ঘন তালগাছের শ্রেণী । ষাকে আমরা খোম্বাই বলি, অর্থাৎ কাকুরে জমির মধ্যে দিয়ে বর্ধার জলধারায় আঁকাবাকা উচুনীচু খোদাই পথ, সে ছিল নানা জাতের নানা আকৃতির পাথরে পরিকীর্ণ, কোনোটতে শির-কাটা পাতার ছাপ, কোনোটা লম্বা অঁাশওয়ালা কাঠের টুকরোয় মত, কোনোট ফটিকের দানা সাজানো, কোনোটা অগ্নিগলিত মক্ষণ। মনে আছে, ১৮৭০ খৃষ্টাব্দের ফরাসী-প্রসীয় যুদ্ধের পরে একজন ফরাসী সৈনিক আমাদের বাড়িতে আজন্ম নিয়েছিল ; সে ফরাসী-রাক্স রে ধে খাওয়াত আমার দাদাদের, আর তাদের ফরাসী ভাষা পোত , তখন আমার দাদারা একবার বোলপুরে এসেছিলেন, সে ছিঙ্গ সঙ্গে। একটা ছোট হাতুড়ি নিম্নে আর একটা খলি কোমরে ঝুলিয়ে সে এই পোয়াইয়ে দুলৰ্ভ পাথর সন্ধান করে বেড়াত। একদিন একটা বড়গোছের স্ফটিক সে পেয়েছিল, সেটাকে আঙটির মত বাধিয়ে কলকাতার কোন ধনীর কাছে বেচেছিল আশা টাকা। আমিও সমস্ত ছুপুরবেল খোরাষ্টয়ে প্রবেশ করে নানারকম পাথর সংগ্রহ করেছি, ধন উপার্জনের লোভে নম্ন, পাথর উপার্জন করতেষ্ট। মাঠের জল চুইয়ে সেট গোয়াইয়ের এক জায়গায় উপরের ডাঙা থেকে ছোট ঝরণা ঝরে পড়ত। সেখানে জমেছিল একটি ছোট জলাশয়, তার সাদাটে ঘোলা জল, আমার পক্ষে ডুব দিয়ে স্বান করবার মত যথেষ্ট গভীর। সেই ডোবাটা উপচিয়ে ক্ষীণ স্বচ্ছ জলের শ্ৰোত ঝিরঝির করে বয়ে যেত নানা শাখা-প্রশাখায়, ছোট ছোট মাছ সেই স্রোতে উজান মুখে সাতার কাটত । আমি জলের ধার বেয়ে বেয়ে আবিষ্কার করতে বেরভূম সেই শিশু ভূবিভাগের নতুন নতুন বালখিল্য গিরিনদী। মাঝে মাঝে পাওয়া যেত পাড়ির গায়ে গহবর। তার মধ্যে নিজেকে প্রচ্ছন্ন করে অচেন জিয়োগ্রাফির भाषा अयशंकान्नैौंद्र cगोब्रद चछ्छब कब्रङ्कम । ८थांच्चाहेरबब्र স্থানে স্থানে বেখানে মাটি জমা সেখানে ঘেঁটে ঘেঁটে বুনে জাম বুনো খেজুর—কোথাও বা ঘন কাশ লম্ব হয়ে উঠেছে। উপরে দূর মাঠে গোরু চরছে, সাঁওতালরা কোথাও করছে চাষ, কোথাও চলেছে পথহীন প্রান্তরে আর্ভস্বরে গোরুর গাড়ি, কিন্তু এই খোয়াইয়ের গহবরে জনপ্রাণী নেই। ছায়ায় রেীত্রে विञ्जि जाण कैक्रब्रब्र “हें निकुछ जग५, नcना क्न, मा_