পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98史 দে ফুল, না উৎপন্ন করে ফসল, এখানে না আছে কোনো জীবজন্তুর বাস ; এখানে কেবল দেখি কোনো জার্টিং-বিধাতার বিনা কারণে একখানা যেমন-তেমন ছবি আঁকবার সখ ; উপরে মেঘহীন নীল আকাশ রৌত্রে পাণ্ডুর আর নীচে লাল কাকরের রং পড়েছে মোট তুলিতে নানা রকমের বাঁকাচোরা বন্ধুর রেখায়, সৃষ্টিকর্তার ছেলেমান্তী ছাড়া এর মধ্যে আর কিছুই দেখা যায় না। বালকের খেলার সঙ্গেই এর রচনার ছন্দের মিল ; এর পাহাড়, এর নদী, এর জলাশয়, এর গুহাগহবর সবই বালকের মনেরষ্ট পরিমাপে। এইখানে একলা আপন মনে আমার বেলা কেটেছে অনেক দিন, কেউ আমার কাজের হিসাব চায় নি, কারও কাছে আমার সময়ের জবাবদিহি ছিল ন। এখন এ খোওয়াইয়েব সে চেহারা নেই। বৎসরে ৰংসরে রাস্তা-মেরামতের মসলা এর উপর থেকে টেচে নিয়ে একে নয় দরিদ্র করে দিয়েছে, চ'লে গেছে এর বৈচিত্রা, এর স্বাভাবিক লাবণ্য। তখন শান্তিনিকেতনে আর একটি রোমাটিক অর্থাৎ কাহিনীরসের জিনিষ ছিল। যে-সর্দার ছিল এই বাগানের প্রহরী, এককালে সে-ই ছিল ডাকাতের দলের নায়ক। তখন সে বৃদ্ধ দীর্ঘ তার দেহ, মাংসের বাহুল্যমাত্র নেই, খামবৰ্ণ, তীক্ষ চোখের দৃষ্টি, লম্ব র্যাশের শঠি হাতে, কণ্ঠস্বরটা ভাঙা ভাঙা গোছের। বোধ হয় সকলে জানেন, মাজ শান্তিনিকেতনে যে অতিপ্রাচীন যুগল ছাতিমগাছ মালতীলতায় আচ্ছন্ন, এককালে মস্ত মাঠের মধ্যে ঐ দুটি ছাড়া জার গাছ ছিল না। ঐ গাছতলা ছিল ডাকাতের আড্ডা। ছায়াপ্রত্যাগী অনেক ক্লান্ত পথিক এই ছাতিম তলায় হয় ধন নয় প্রাণ নয় দুই-ই হারিয়েছে সেষ্ট শিথিল রাষ্ট্রশাসনের কালে । এই সর্দার সেই ডাকাতি-কাহিনীর শেষ পরিচ্ছেদের শেষ পরিশিষ্ট বলেই খ্যাত। বামাচারী তান্ত্রিক শাক্তের এই দেশে মা-কালীর খপরে এ যে নররক্ত জোগায়নি তা আমি বিশ্বাস করিনে। আশ্রমের সম্পর্কে কোনো রক্তচক্ষু রক্ততিলকলাতি ভজবংশের শাক্তকে জানতুম খিনি মহামাংসগ্রসাদভোগ করেছেন বলে জনশ্রুতি কানে এসেছে। ७कन ७झे कृषॆषांब शङिय शटिश्ब्र झांब जका क'zब्र দূরপখৰাত্রী পথিকেরা বিশ্রামের আশায় এখানে আগত আমার পিতৃদেবও রায়পুরের জুবন সিংহের বাড়িতে নিমন্ত্রণ সেৱে পান্ধী কয়ে ৰখন একদিন ফিরছিলেন তখন মাঠের মাঝখানে এই জুটি গাছের জাহান তার মনে এসে পৌঁচেছিল। এইখানে শাস্তির প্রত্যাশায় রায়পুরের সিঙ্গের কাছ থেকে এই জমি তিনি দানগ্রহণ করেছিলেন। একখানি একতলী বাড়ি পত্তন করে এবং রূক্ষ রিক্তভূমিতে অনেকগুলি গাছ রোপণ করে সাধনার জন্য এথানে তিনি মাঝে মাঝে আশ্রয় গ্রহণ করতেন। সেই সময়ে প্রায়ই র্তার ছিল হিমালয়ে নির্জন বাস। যখন রেললাইন স্থাপিত হ’ল, তখন বোলপুর ষ্টেশন ছিল পশ্চিমে যাবার পথে, অন্য লাইন তখন ছিল না। তাই হিমালয়ে যাবার মুখে বোলপুরে পিতা তার প্রথম ষায় ভঙ্গ করতেন। আমি যে-বারে তার সঙ্গে এলুম সে-বারেও ডালহৌসী পাহাড়ে যাবার পথে তিনি বোলপুরে অবতরণ করেন। আমার মনে পড়ে সকালবেলায় স্থধ্য ওঠবার পূর্কে তিনি ধ্যানে বসতেন অসমাপ্ত জলশূন্ত পুষ্করিণীর দক্ষিণ পাড়ির উপরে। স্বৰ্য্যাস্তকালে তার ধ্যানের আসন ছিল ছাতিমতলায়। এখন ছাতিম গাছ বেষ্টন ক’রে অনেক গাছপাল। হয়েছে তখন তার কিছুষ্ট ছিল না, সামনে অবারিত মাঠ পশ্চিমদিগন্ত পর্য্যস্ত ছিল একটানা। আমার পরে কটি বিশেষ কাজের ভার ছিল। ভগবদগীত গ্রন্থে কতকগুলি শ্লোক তিনি চিহ্নিত ক’রে দিয়েছিলেন, আমি প্রতিদিন কিছু কিছু তাই কপি করে দিতুম তাকে । তারপরে সন্ধ্যাবেল গোল আকাশের নীচে বসে সৌরজগতের গ্রহমণ্ডলের বিবরণ বলতেন আমাকে, আমি শুনতুম একান্ত ঔংস্থক্যের সঙ্গে । মনে পড়ে আমি তার মুখের সেই জ্যোতিষের ব্যাখ্যা লিখে তাকে শুনিয়েছিলুম। এই বর্ণনা থেকে বোঝা যাবে শান্তিনিকেতনের কোন ছবি আমার মনের মধ্যে কোন রসে ছাপা হয়ে গেছে। প্রথমত সেই বালক বয়সে এখানকার প্রকৃতির কাছ থেকে যে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেম, এখানকার জনবরুদ্ধ আকাশ ও মাঠ, দূর হতে প্রতিভাত নীলাভ শাল ও তালশ্রেণীর সমুচ্চ শাখাপুঞ্জে শুামলা শাভি, স্থতির সম্পদৰূপে চিরকাল আমার স্বভাবের অন্তভূক্ত হয়ে গেছে। তারপরে এই আকাশে এই জালোকে দেখেছি সকালে বিকালে পিতৃদেবের পূজার নিশা নিবেদন, তার গভীর গাজীষ্ট। তখন এখানে জায় কিছুই ছিল না, নাছিল এত গাছপাল, নাছিল মানুষের अष कcबग्न भड डिक, cक्षण द्ब्रशानैौ निलकलांब्र 'कश हिज ल्यको निर्वज'बकि ।