পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃፃe করে থাকে। 'বালা এবং তার শিন্ধের সার বেঁধে ধূমুচি সামনে রেপে বন্দনা করে নুতা করতে থাকে । বাল শ্লোকগুলি বলে ভঙ্গীগুলি দেখিয়ে দেওয়ার পর শিল্পোরা ঢাকের তালে তালে নুতা আরম্ভ করে । তারপর বালা গান গেয়ে ':: - জয়দুর্গা ‘দশ অবতারে’র বিভিন্ন দশটি ভঙ্গী নুতো দেখিয়ে দেয়। ‘দশ অবতার" বলার পূৰ্ব্বে ধুতুচি সামনে রেখেই বালা বলে ওঠে, “ভামুরাম কুমোরের সাতে পাচে ভাই মাটিখানি ছেপিয়ে করলেন এক ঠাই মাটখানি ছেনিয়ে তুলে দিলেন চাকে থবৰ্ণ ধুপতি হ’ল আড়াইট পাকে রৰি দিলেন শুকিয়ে ব্ৰহ্মা দিলেন পুড়িয়ে গুরু দিলেন বর जाछ भई शृ°ठि स्ऽक कब्र cखांणां वtश्चब्र ।” শ্লোকটি বলেই বালা ও শিন্যেরা এই ভাবটি ফুটিয়ে তুলবে নৃত্যের মধ্য দিয়ে। 'কৃষ্ণলীলা গেয়ে গেয়ে তায় প্রত্যেক গ্রামের বাড়ি থেকে পুরস্কার নিয়ে আসে। এই গানের সঙ্গে যে নৃত্য হয়ে থাকে তাকে বলা হয় “শ্লোক নুতা,” • শ্লোক মানে ছড়া, এর মধ্যে রাইমিলন, নৌকা বিলাস, প্রিবাসনা SOBO বংশীহরণ ইত্যাদি ছড়াই প্রসিদ্ধ। এখানে শুধু বংশীহরণ সম্বন্ধে কিছু বলব। অদূরে কানাই মধুর স্বরে যমুনার তীরে বসে বঁাশী বাজাচ্ছেন, তা শুনে রাধা ও नशैौनव्र 'क्ष्म्ल शाझेख्न थां* काझेख्न लझेब्र यांग्र ' गवांझे ঠিক করলেন, কানাইয়ের বঁাশী চুরি করতে হবে। এসব মতলব টের পেয়ে চতুর কানাই “হাতের বঁাশী ছাড়া দিয়ে কালকূট ভুজঙ্গ হইয়ে দংশিলেন শ্ৰীমতীর গায় " রাধ যন্ত্রণায় অজ্ঞান হয়ে ঢুলে পড়লেন, সর্থীরা তাদের ধরাধরি করে নিয়ে এল। তখন রাধা ঘোষণা করে দিলেন, যে তার অমুখ ভাল করে দিবে, তাকে তার গলার হার পুরস্কার দিবেন। এ কথা শুনে কানাই বৈদ্যরূপে রাধার অসুখ সারিয়ে দিলেন এবং রাধ। তার গলার হার দিতে চাইলে । “বৈক্তরাজ বলে রাই, গলার হারের কার্য্য নাই দিবা মোরে প্রেম-আলিঙ্গন । যদি দয়া কর রাই, প্রেম-আলিঙ্গন আমি চাই, অন্ত ধনের নাহি প্রয়োজন । তথন রাইরে দিরে যত সর্থীগ ৭, কি আনন্দ মনে মনে, দরশনে পূর্ণ হ’ল আশ দেহ লৈবন সমপিয়ে, বৈঙ্গরাজ-সপ্তাধিয়ে, করিলেন প্রেম প্রকাশ ।” এরাই কিছু দিন পরে বৈশাখ মাসে ‘কাল বৈশাখী পূজা করে থাকে। এর অন্য নাম নীলপূজা । শিন্যেরা নীল ও অন্যান্য জিনিষ মাথায় করে দাড়ায় আর বালা খুব জোরালো মন্ত্র বলে তার সাম্নে ধূপ দিতে থাকে। একটি মন্ত্র “মোচ রা শিঙ্গে মেচ রা শিঙ্গে মোচর পারে চলে,

  • নয়ত চলে ধাপবনে নয়ত চলে জলে, শুনতে যদি চাল ওলো মোচ র শিঙ্গের কথা

ভূত প্ৰেত সঙ্গে করে দেও দেখি দেখা ।” এই ভাবে যখন গ্রামের দক্ষিণ পাড়া ভয়ানক ভাবে শাক্ত হুয়ে আসে, ঠিক উত্তর পাড়ায় এই সময় বৈষ্ণব ধৰ্ম্মে দীক্ষিত এমন একজনকে দেখতে পাই ধার জন্ত নলিয়া গ্রাম ঐ রসে ডুবে গিয়েছিল । এর নাম ঠাকুর পদ্মলোচন। ঠাকুর বাড়ির প্রসিদ্ধ তমাল গাছের জন্তেই বোধ হয় বিদ্যাপতির গানটি গ্রামের ছেলেমেয়ের মুখে এখনও শুনতে পাওয়া যায়y. ”সখিয়ে, না পোড়াও রাধা জজ, না ভাসাও জলে - মরিলে তুলিয়ে রেখো তমালেরি ডালে ” এই ভাবে ঠাকুর পদ্মলোচনের সংস্পর্শে এসে নলিয়ার উত্তর পাড়া অত্যন্ত জমকালো হয়ে ওঠে। ঠাকুরবাড়িতে