পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিন যে কাঠের তৈরি সিংহাসনটি আছে, তা তিন ভাগে ভাগ করা যায় । স্বর্গ. মৰ্ত্তা, পাতাল এক্ট ত্রিভুবনের কল্পনা নিয়ে মিস্ত্রী এই সিংহাসনটি গড়েছিল । ঠাকুরবাড়ির ঠিক পাশেই ৬ষ্ঠায়ভূষণ পণ্ডিত মহাশয় বিরাট টোল খুলেছিলেন ও তার সামনে একটি পুকুর করিয়েছিলেন। এখন সে টোলও নেই, পুকুরও নেই, আছে শুধু টোলবাগান ও একটা এদে পুকুর । গ্রামের এই আনন্দের মাঝে মেয়ের ভাদের কতটুকু স্থান করে নিয়েছিলেন সে সম্বন্ধে কিছু বলব । নলিয়। গ্রামের মেয়ের একরূপ ঘাঘর জানি’ খেলা করে ছড়া বা কবিতার মধ্য দিয়ে, একজন বলে, ‘এতটুকু পানি’ সবাই তখন বলে, ‘ঘাঘর জানি । তখনও বলে, "এই পথ দিয়ে যাবে।' এরা ব’লে ওঠে "কোদাল, দাও ইত্যাদি ফেলে মারবো । প্ল" .*

বৈরাগী ও বোঞ্ছনী বরষার প্রথম দিনে গ্রামের ছোট ছোট মেয়ের এক হাতে আঁচল ধীরে ঘুরে ঘুরে নেচে বলে থাকে,

  • ওলো মেম্বারাণী হাত-পা ধুয়ে ফেলাও পানি ।

ফরিদপুরের একটি পুরাতন গ্রাম ዓጫ> চিনে বনে চিক্‌ চিকেনী ধান বনে ইটু পানি কলতলায় গল জল গপ গপাষ্টয়ে নাইম পড ।” এক্টভাবে গ্রামের মেয়ের প্রথম দিনের মেঘকে ভঙ্গীতে পৃথিবীতে আহবান নুতে, কথ। ওঁ তাদের করে । গ্র্যামরায়ের মঙ্গির আমের বঁাশী যদি না বাজত অমনি বলে উঠত, “টিম্ টিম টিম, ভাষ শালিকের ডিম, বাণী যদি না বাজিস্ত কচু বনে ফ্যালামু দিব, গ! পাঞ্জয়ে, ময়ু মন্ত্র মন্থ।” শীতকালে সমস্ত গ্রামের আঙিন ব্রত-আলপনায় ভরে উঠত । এষ্টসব আপেল ৪ ব্ৰতকথার মধ্য দিয়ে ছোট মেয়ের তাদের ভবিষ্যৎ জীবন গড়ে তোলবার সাভাস পেত । গ্রামে সাধারণত দেখি কুমারী মেয়েরাই আলপনা, ব্ৰতকথাম বিশেষ অগ্রণী । মলিয়। গ্রামে যতগুলি ব্ৰতকথা ও আলপন দেখেছি তাতে আমার মনে হয় যে, ব্ৰতকথার আলপন সম্পূর্ণ অন্ত প্রক্সতির । এক একটি খণ্ড খণ্ড ছবির মত, ঐগুলিকে ব্ৰভকাহিনীর চিত্র-প্রসাধন বলা যায়। এই সমস্ত আলপনা প্রায়ই গ্রাম্যজীবনের পারিপার্থিক...'মন্থস্থা থেকে