পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃፃፀ জয় দেবো না লো জোকার দেৰ সোনার ভাইখন কোলে ভু ল নেব। ( R ) ঙ্গাচর ঠাউরনের পূজো ক’ৱৰ খাটখনি তার কষ্ট ? মালিনী লো সই ! আছে আছে খাটখানি তার বাশুনগোয় পাড়া বাওন গোর কায়া ইত্যাদি ) সাত চেমরী পৃঙ্গে করে তারা ।” কাথা শেলাই, সিকা তৈরি, এর আবার সুন্দর স্বন্দর मन जबङाब्र नृप्ऊा-कृष* जक्ठाब्र পদ্ম পোগল’, ‘কালপাশা" ইত্যাদি। এই গ্রামের একশ' বছর পূর্কে একটি দশ বছরের মেয়ে রমণীমোহন ঘোষ । নামে একটি ছেলেকে ভালোবেলে দু-বছর ধরে একখানা কাখা শেলাই ক’রে ছেলেটিকে তার ভালোবাসার নিদর্শন-স্বরূপ উপহার দিয়েছিল। এদের বিয়ে হওয়ার পরেই দু-জনেই মারা যায় এবং তাদের স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ এই কথাখানা সযত্নে তুলে" রাখা হয়েছে। এই-সৰ ছেড়া কাখ কত ৫ প্রবাসী ;) SOBO পুরানো স্থতি নিয়ে বাংলার এ-গাঁও ও-গাওয়ের পানে তাকিয়ে মরে । এর পরে নলিয়া গ্রামে বয়স্থ ও কুমারী মেয়েদের চরম বিকাশ দেখতে পাই বিবাহ-অনুষ্ঠানে। সাধারণত পূৰ্ব্ববঙ্গের বিবাহব্যাপার একটি বিরাট অল্পষ্ঠান। এখনও যেখানে একটু প্রাচীন প্রথায় বিবাহ হয় সেখানে প্রচুর পরিমাণে গান ও নাচ হয়ে থাকে । বিবাহের বহু অঙ্গ আছে এবং প্রায় এক হাজার গান বিবাহের সময় গীত হয়ে থাকে ও প্রায় প্রত্যেক বিবাহের অল্পষ্টানগুলিত্তেই মেয়েরা নুত্য ক’রে থাকেন। শ্রদ্ধেয় গুরুসদর দত্ত মহাশয় এই নলিয়া গ্রামের বিবাহ-অনুষ্ঠান আদ্যোপাস্ত বহু অর্থব্যয়ে চলচ্চিত্র করে রেখেছেন এবং অনেকেই তার পরিচয় বহু পূৰ্ব্বেষ্ট পেয়েছেন। বিবাহের সময় ষে সধবা মহিলারা গায়ে হলুদ দেয়, স্বান করান, বরণ করা, গঙ্গা পূজা করা ইত্যাদি বিবাহের এ-সব কাৰ্য্যাদি সম্পন্ন করেন তাদেরকে এয়ো বলা হয়।. আজ গ্রাম থেকে ভদ্রমহিলাদের গান করাটা উঠে গিয়েছে ও যাচ্ছে। প্রাচীনাদের মধ্যে যারা আছেন তারা এখনও এক এক সময় গান করে থাকেন, কিন্তু নতুন ধারা আসছেন তার তো এ-সব জানেনও না, করেনও না, শেখেনও না । গ্রামে যে-সব বুদ্ধা গান গু নাচ জানতেন তারাও একে একে সরে পড়ছেন, নতুন কেউ আগ্রহ করে শেখেও না, কাজেই এ-সব ক্রমেই উঠে যাচ্ছে । গানগুলির সহস্থ, সরল ধারা অথচ একটি সংযত গাম্ভীৰ্য্যপূর্ণ এবং লীলায়িত স্বর ও নৃত্যের ভদী মনোমুগ্ধকর। সাহিত্য ও সঙ্গীত উভয়ের দিক থেকেই যে এগুলির একটি বিশিষ্ট স্থান আছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিবাহের পূৰ্ব্বে বরপক্ষ ও কন্যাপক্ষ উভয়ে পত্র লেখেন, একে বলা হয় ‘পত্ৰলেখা । তারপর উভয় পক্ষই মেয়ে-ছেলেকে “আশীৰ্ব্বাদ” ক’রে যান। এই সময় এয়োরা আশীৰ্ব্বাদের বহু গান করে থাকেন। উভয় পক্ষে “লগ্নপত্র’ ঠিক হয়ে গেলে হলুদ কোটা হয়। এই সময় এম্বোরা হলুদ কোটার গান কুরে থাকেন। হলুকোটা পর ছেলে ও মেৰে আন প্লেন - হয় ও এই সময় এম্বোরা যে গান করে থাকেন, তাঁকে বলা হয় ‘নাওয়ানোর গান’। উভয় বাড়িতেই আনন্দ নাডু তৈরি হয়, তারপর খুবড়ল পূজা হয়ে থাকে। খুব ভোরে