পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন शीर्षबिब्रांकौ क्षणंभांब ७ अभियककौ यjोक ꬃዓ፭» স্বতঃই মনে হয় যে, এমন কোনও ব্যবস্থার সম্ভাবনা আছে কি না যাহাতে কৃষকদিগের দীর্ঘমিয়াদী ঋণদানের স্ববিধ হয়, অথচ ঋণদান-সমিতিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় অথবা তাহাদিগকে দীর্ঘকালের জন্ত টাকা আটকাইয়া থাকিলে কাৰ্য্য চালাইবার পক্ষে অসুবিধা ভোগ করিতে না হয়। এ-দেশের অর্থনীতিবিৎ বিশেষজ্ঞগণ কৃষকদিগের দীর্ঘমিয়াদী ঋণালনের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে একমত হইয়াছেন। ভারতীয় ব্যাঙ্ক-অমুসন্ধান-সমিতিও এ-বিষয়ে সকলের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছেন। তাহারা দেখাষ্টয়াছেন যে কৃষকদিগের সর্বসমেত ঋণের পরিমাণ প্রায় সাত শত কোটি টাকা এবং এই কারণে ঋণের পরিমাণ ক্রমশঃ পরিশোধ করিবার জন্য রুযকদিগকে দীর্ঘমিয়াদী ঋণদানের ব্যবস্থা কর। একান্ত প্রয়োজনীয়। এই সমস্যার সমাধানের নিমিত্ত ভারতীয় ব্যাঙ্ক-অতুসন্ধান-সমিতি প্রাদেশিক জমিবন্ধকী ব্যাঙ্ক ও জেলা জমিবন্ধুকী ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠার কথা বলিয়াছেন । ইহু। ভিন্ন টাউনসেও সাহেবের সভাপতিত্বে সমবায় তদস্থ কমিটিও এইরূপ ব্যাঙ্ক-স্থাপনের উপদেশ দিয়াছিলেন ; রুমি-সম্বন্ধে রাজকীয় . তদন্ত সমিতিও কষকদিগের মধ্যে দাৰ্ণমিয়াদী ঋণদানের ব্যবস্থা করিয়া তাহাদিগের জমির আবশ্যক উন্নতিসাধনের জন্ম জমিবন্ধক প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তুলিবার পরামর্শ দিয়াছেন। এই সকল ব্যবস্থা কিরূপে কাৰ্য্যে পরিণত কর। যাইতে পারে এবং তাছার জন্য কি ভাবে মূলধন সংগ্রহ করা যাষ্টতে পারে, তাহা বিশেষ ভাবে ভাবিয়া দেখা প্রয়োজন। এই বিষয়ে মান্দ্রাজ ভারতের সকল প্রদেশের অগ্রগামী হইয়াছে। মান্দ্রাজের সমবায় জমিবন্ধকী ব্যাঙ্ক এই উদ্দেশ্লেষ্ট প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। এই ব্যাঙ্কের লক্ষ্য সমবায়ু-ঋণদানসমিতিগুলিকে অর্থসাহায্য করা, যাহাতে উহার রুযকদিগের দীর্ঘমিয়াদী ঋণদান ব্যবস্থা করিতে পারে এবং পরে বন্ধকী জমি উক্ত জমিবন্ধক ব্যাঙ্কের নামে নির্দিষ্ট করিয়া দিয়৷ নিজেদের পরিচালনার পূৰ্ব্বোক্ত অসুবিধা দূর করিতে পারে। ইউরোপ ও আমেরিকার জমিবন্ধকী ঋণদান-সমিতিগুলির স্মাদর্শে এই ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। ইহার কার্ধ্যপ্রণালী অনেকটা এইরূপ : -বিশ বৎসরের মিয়াদী এবং বিশেষ অবস্থায় প্রয়োজন হইলে দশ বৎসরের মিয়াদী ডিবেঞ্চার (debenture) সাধারণের নিকট বিক্রয়ের জন্য উপস্থাপিত করা হয়। সাধারণতঃ ডিবেঞ্চারের উপর শতকরা পাচ কি ছয় টাকা স্বদ দেওয়া হইয়া থাকে ; ডিবেঞ্চার ক্রয় করিবায় সময়ে দরগাস্তের সহিত শতকরা পঞ্চাশ টাকা এবং বিক্রয় স্থির হইলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট শতকরা পঞ্চাশ টাকা মিটাইম্বা দিতে হইবে । ১০০০ টাক, ৫০০ টাকা বা নিম্নতম সংখ্যায় ১০০ টাকা মূল্যের ডিবেঞ্চার বিক্রয়ার্থ উপস্থিত করা যাক্টতে পারে। এই প্রসঙ্গে বলিয়া রাখা আবশ্বক যে, পূৰ্ব্বোক্ত ডিবেঞ্চারগুলি যদি অন্যান্য সিকিউরিটিস্-এর মত গবৰ্ণমেণ্টের অনুমোদিত না হয়, তাহা হইলে সাধারণের নিকট উছাদিগের বিক্রয় একপ্রকার অসম্ভব হুইয়া পড়ে। এই ব্যাপার লইয়৷ মাক্সাজে জমিবন্ধকী ব্যাঙ্কের বিশেষ অসুবিধায়ু পড়িতে হুইয়াছিল। সম্প্রতি উহাদিগকে অন্যান্ত সিকিউরিটিস-এর দ্যাম গ্রহণযোগ্য বলিয়৷ মান্দ্রাজ গবর্ণমেণ্ট ঘোষিত করিয়াছেন। ইহা ভিন্ন সাধারণের নিকট ডিবেঞ্চারগুলি যাহাতে গ্রাহ হয়, তাহার জন্ত অন্যান্য ব্যবস্থাও কর হুষ্টয়াছে । এক্ষণে দেখিতে হুইবে কিরূপ ব্যবস্থা করিলে অঙি সত্বর ডিবেঞ্চারগুলি বিক্রয় করিয়া অর্থ সংগ্ৰহ করিতে পারা যায়। কেবল ব্যক্তিগত ক্রেতার নিকট ডিবেঞ্চার বিক্রয় করিতে চেষ্টা করিলে অনেক সময়ে এত অধিক বিলম্ব হুষ্টতে পারে যাহাতে অনেক অসুবিধা হুইবার সম্ভাবন, অথচ অতি সঙ্গর অর্থ সংগ্রহ ন হইলে ঋণের টাকা দুয়েন দেওয়া ঘাটবে না। এরূপ স্থলে ভারতীয় বীম কোম্পানিগুলির সহযোগিতা পাঙ্গলে জমি বন্ধকী ব্যাঙ্কের অর্থ সংগ্রহের সহজ উপায় হুষ্টতে পারে । বীম কোম্পানিগুলি সংগৃহীত অর্থ ভালরূপে গচ্ছিত রাখিবার ব্যবস্থা করিয়া থাকে ; ধাহাতে সুদও বেশী পাওয়া যায় অথচ গচ্ছিত অর্থের কোনও ক্ষতি ম হয়, এইরূপ ভাল ব্যবস্থা দেখিয়া বীম! কোম্পানীগুলি অর্থ গচ্ছিত রাখে। সাধারণতঃ তাহার। নিরাপদ ব্যবস্থায় নিমিত্ত্বে গবৰ্ণমেণ্ট বা মিউনিসিপ্যাল কাগজ ক্রয় করিয়া থাকে ; ইহাতে গচ্চিত অর্থের কোনও ক্ষতি হুইবার ভয় থাকে না বটে, কিন্তু কাগজের দামের প্রায়ষ্ট হ্রাস হুইতে দেখা যায়, এই কারণে আবার কতকট। অর্থ কাগজের বাজারদরের হাসের অনুপাতে পৃথক ভাবে গচ্ছিত রাখিতে হয়। স্বত্তরাং এইরূপ ব্যবস্থা ৰীমা কোম্পানীগুলির পক্ষে সকল সময়ে খুব সমীচীন বলির মনে হয় না। জমিবদ্ধকী ব্যাঙ্কগুলি