পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮e২ আবার নয়ন ছাপাইয়া অশ্র , নামিল। অনুপমা আবার বিছানায় লুটাইয় পড়িল। দিনের পর দিন যায়। প্রতাহের বিষাক্ত শরগুলি অন্তরে আসিয়া বিঁধে । শত চেষ্টায়ও অনুপম সেগুলিকে বাহির করিতে পারে না। কখনও চোখে অশ্রু নামে, কখনও বা অগ্নিশিখা জলিয় উঠে। ভাবে দূর হউক সংসার, বাপের বাড়ি চলিয়া যাই। কিন্তু স্বামীর মুখের পানে চাহিয়া কথাটা আর বলিতে পারে না। তিনি নিত্য হাসিমুখে আসিয়া সংসারের কথাই বলেন। এ-সংসারে শান্তির হাওয়া লাগিয়াছে, প্রাণ জাগিয়াছে এবং ভবিষ্যতে কত লোক এই বাড়ির পানে চাহিয়া আদর্শ খুঁজিয়া পাইবে! স্বামীর জনগল আশ+উল্লাসের কাহিনীর তলায় অনুপমার এ ক্ষুদ্র অভিযোগ তলাইয়া যায়। নিজের উপর নিজের স্থণা বোধ হয়। দিন দিন সে কোথায় নামিতেছে ? স্বামীর উদার হৃদয়ের স্পর্শে দিনের সঞ্চিত গ্লানি ধুইয়া মুছিয়। মনটি নিৰ্ম্মল হইয় উঠে। চক্ষুতে আনন্দ দীপ্তি উছলিয়া পড়ে । সে দীপ্তি দেখিয়া স্বামী বলেন,--অম্ল, তুমিই পারবে । ও-দৃষ্টিকে আমি ভুল বুঝি নি। কিন্তু দিনের আলোয় রাত্রির প্রশাস্তি কোথায় চলিহ্মা कुछ । সে-দিন অকুপমা কাপড় কাচিয়া আসিয়া দেখে, তার অত সাধের ছবিখানা কে কাচ ভাঙিয়া ছিড়িয়া রাখিয়াছে। ছবিখানি সে সখ করিয়া কিনিয়া আনিম্নাছিল। প্রসন্ন মাতৃ-মূৰ্ত্তি, কোলে তার সন্তান। দৃষ্টিতে জগৎসংসার চরাচর লুপ্ত। শুধু সন্তানের প্রতি অসীম প্রতি- অগাধ স্নেহ । নিৰ্ণিমেষ দৃষ্টি সেই সন্তানমায়ায় স্বযুপ্ত।...বড় সাধের ছবি, অত উচু হইতে কে টানিয়া ভাঙিল ? ছোটদের কাজ इंट्र नटङ् । নয়নে আবার অগ্নিশিখা জলিল। দাতে দাত চাপিয়া অনুপমা নিস্তন্ধ পাষাণমূৰ্ত্তির মতই ছিন্ন ছবির পানে চাহিয়া বুলি। অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশঃই বাড়িতে লাগিল। আর ,७क नि छ्ननानैौÉी खांडिब cगण। बश्छद्र चर्षिकांश्ल ઉ ક્યાં.<ાઝti B SOBO পাতাই কে ছিড়িয়া রাখে। আলমারীর গায়ে চুণের আকজোক, বিছানার উপর ছোট ছোট পায়ের ধুলাকাদার দাগ। অনুপম কি করিবে ? দুয়ারে কুলুপ লাগাইয়া কিছু নীচে যাওয়া যায় না। স্বামীকে এই সব ক্ষুদ্র বিষয় বলিতে তার লজ্জা করে। অথচ প্রতিকারহীন মনে নিত্য এই সবের মালিন্ত জমা হইতে থাকে। ঘুণ। ক্রোধ দুঃখ দিব্য আসন পাতিয়া মনকে দখল করিতেছে। সম্মুখে অমাবস্তা, গাঢ় দুৰ্ভেদ্য নিচ্ছিত্র অন্ধকার। তাহারই মাঝে অধোগামী হইতে হইতে অনুপমা ভাবে, মৃত্যু কি এর চেয়েও ভীষণ, এর চেয়েও কুৎসিত ? তার পর যে-দিন খোকার জন্ত বোনা উলের মোজা ও জামাকে টুকরা টুকরা করিয়া ছিড়িয়া রাখিয়াছে দেখা গেল, সে-দিন দুজ্জয় ক্রোধে ফুলিয়া অনুপম অস্পষ্ট ভাবে বলিয়া ফেলিল, –হিংস্বক, এরা হিংস্কক । রাত্ৰিতে মনোনীত হাসি মুখে সংসারের কি একটা কথা বলিতেই অনুপমা অকস্মাৎ বলিয়া উঠিল,-- আমি কালই বাপের বাড়ি যাব । রূঢ় কণ্ঠস্বরে চমকিত হুইয়া মনোনীত বলিল,— কেন, হঠাৎ ?—অনুপম তেমনই স্বরে উত্তর দিল, তোমার কি চোখ মেলে একবার কোন দিকে চাইতে নেই ? দেখ দেখি, ঘরখানা কি ছিল, কি হয়েচে । ছবি ছেড়া, ফুলদানী ভাঙা ; বই, খাট, আলমারী, দেয়াল, আয়না এ-সব কিছুই তোমার নজরে পড়ে না? আজ দেখ এই কীৰ্ত্তি – বলিয়৷ ছেড়া উলগুলি সে মনোনীতের কোলের উপর একরূপ ছড়িয়াই ফেলিয়া দিল । উলগুলিকে নাড়িতে নাড়িতে মনোনীত দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিল,—বুঝেছি, আবার ভাঙন ধরেচে। কিন্তু অঙ্ক, সহ করবো ব’লেই ত আমরা এই ব্ৰত নিয়েছিলাম। অনুপমা উত্তর দিল,— সঙ্কেরও একটা সীমা আছে। আমার শরীর খারাপ, কাজ পারি না, ওঁরা কত কথাই বলেন। একটা পেটে এসেচে বলে ওঁদের হিংলে। মনোনীত কিছুক্ষণ গুৰু হুইয়া রহিল। অতি কষ্টে নিঃশ্বাসকে ঠেলিয়া দিয়া ধীরে ধীরে বলিল—সম্ভার = সংসারকে তুমি পৃথক করে দিলে, অল্প ।