পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

šš SO8O छेfäण । ७ छूहे८ञ्चब्र আর শেfনা যায় না । যথাসাধ্য দ্রুত পায়ে বাড়ির সম্মুখের মাঠ পার হইয়া রাধিকাবাবু বারান্দায় উঠিলেন। বামদিকে ভূত্যের ঘর, সম্মুখে বৈঠকখানা। তিনি বামদিকে সরিয়া গিয়া ভৃত্যকে বার-কয়েক ডাকিলেন। কিন্তু সাড়া পাইলেন না। শীতের রাত্রি, লোকে বিছানায় জাগিয়া থাকিলেও উঠিবার ভয়ে সাড়া দেয় না। হাতের লণ্ঠনটা মেঝেয় নামাইয়া দরজায় বারকয়েক ধাক্ক দিলেন । হঠাৎ হাতখানা দরজার কড়ার গায়ে ঠেকিল। একি ? তালা ? হতভাগ। দরজায় তাল লাগাইয়া বাহির হইয়া গেছে! তাহার পৌরুষ জাগিয়া উঠিল। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হইল, বৈঠকখানার ফরাসেও সে ঘুমাইয়া থাকিতে পারে। ঘুরিয়া বৈঠকখানার দরজায় ধাক্কা দিয়া তাহাকে ডাকিতে হুরু করিলেন। দরজা কঁাপিয়া উঠিল, তবুও কাহারও সাড়া নাই। কপাটে খানিক কান পাতিয়া থাকিলেন। কিন্তু কিছুই শুনিতে পাইলেন না। অমলাও বে তখন জাগিয়াছে, তাহাও বোঝা গেল না। বৈঠকখানার একখানা ঘর পরে, তাহার শয়নঘর। এখান হইতে ডাকিলে সেখান হইতে শোনা যায় না। তিনি বারান্দা হইতে নামিয়া দালানের কোল দিয়া কাদা ভাঙিয়া অন্ধকারে সেইদিক পানে গেলেন । শয়নঘরের পাশেই একটা প্রকাও জামগাছ ; অজস্র ডালপালা ও অন্ধকার লইয়া দাড়াইয়া ভিজিতেছে। সেখান হইতে সহজে তাহার একটি ডাল ধরিয়া প্রাচীর ডিঙাইয়া বাড়ির ভিতর যাওয়া যায়। রাধিকাবাবু তাহার তলায় দাড়াইয়া রুদ্ধজানালায় ঘা দিয়া তাহার স্ত্রীকে ডাকিতে লাগিলেন। প্রথমে ধীরে ধীরে নাম ধরিয়া খুব সম্ভব “অমু* বলিয়া । কিন্তু ভিতর হইতে সে ডাকের কোন সাড়া পাইলেন না। ক্রমে স্বর ও আঘাত দ্রুত এবং প্রচও হইয়া উঠিতে লাগিল। বৃষ্টিতে তাহার সর্বাঙ্গ সিক্ত ; অলেষ্টারট ওজনে সের কয়েক বাড়িয়া গেছে। কাদায় পা ছুথানা বসিয়া গিয়া বরফের মত জমিয়া যাইতেছে। আর অধিকক্ষণ সেভাবে দাড়াইয়া থাকা সম্ভব নয় । মাতমাতিতে নিজের পদশকাও সেই দরুণ ঠাগুয়েও তাহার রক্ত গরম হইয়া উঠিল । তিনি সে জানালা ছাড়িয়া দ্বিতীয় জানালায়, সেখান হইতে তৃতীয় জানালায় গিয়া আঘাত ও ডাকাডাকি করিতে লাগিলেন। এবার মনে হইল যেন ভিতরে একটু চঞ্চলতার সাড়া পাওয়া যাইতেছে । ভাবিলেন উত্তর পাওয়া যাইবে, কিন্তু তাহার পর প্রায় পাচ মিনিট কাটিয়া গেল-পূর্বের মতই সব চুপচাপ । কিছুক্ষণ পূৰ্ব্বে তাহার স্ত্রীর চোখে তন্দ্র আসিয়াছে। তাহার ঘোরে একটা দুঃস্বপ্ন মনের কোণ হষ্টতে ধীরে ধীরে বাহির হইয়া ভয়াল দেহ বিস্তার করিয়া সারা মনকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিতেছিল। মনে হইতেছিল, একটা ছুষমন আসিয়া দরজা ঠেলিয়া তাহার ঘরে ঢুকিতেছে। কি কালো ও বিকট তাহার মুখ ! এমন সময় বৃষ্টি শব্দের সঙ্গে সঙ্গে বাহির হইতে মোটা গলায় ডাক ও জানালায় সজোর আঘাত । তাহার তন্দ্রা ছুটিয়া গেল । সে ত্রস্তে কম্পিত বক্ষে শয্যার উপর উঠিয়া বসিল । হাত-পা থর থর করিয়া কঁাপিতেছে। গলার মধ্যে যেন খানিকটা ধূলা ঢুকিয়াছে। ভাবিল চীৎকার করিয়া উঠে । একবার চেষ্টাও করিল, কিন্তু পারিল না। মনে পড়িয়া গেল, বৈঠকখানার পাশেই চাকরের ঘর। স্থির করিল, ভিতরের দরজা খুলিয়া বৈঠকখানার ভিতর দিয়া তাহাকে ডাকিবে । কিন্তু ইতিমধ্যে লোকট। যদি জামগাছের ডাল ধরিয়া প্রাচীর ডিঙাইয়া ঘরের দরজার বাহিরে আসিয়া দাড়াইয়া থাকে ? সাহসে ভর করিয়া উঠানের জানালাটা খুলিয়া প্রাচীরের দিকে তাকাইয়াই তাহার বুকের রক্ত জমিয়া যাইবার উপক্রম। ঐ যে জামগাছের ডাল হইতে একটা কালো মূৰ্ত্তি প্রাচীরের উপর নামিয়া পড়িল ছযমন । সে সভয়ে স্বতীয় কণ্ঠে একবার চীৎকার করিয়াই জানালাটা মাটিয়া দিল । রাধিকাবাবুর হাকাহাৰিতে পাশের বাড়ির জনকয়েক যুবক ইতিমধ্যে সজাগ হইয়া কান পাতিয়া ব্যাপারটা কি বুঝিবার চেষ্টা করিতেছিল। সে ভয়ার্ভ তীক্ষ্ণ শৰে তৎক্ষণাৎ শয্যা ছাড়িয়া লাঠি ও লণ্ঠন হাতে সোরগোল করিতে করিতে বাহিরে জাসিয়া তাহারা শুনিতে পাইল,