পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনি লয়। তারপর একদিন যখন সেই উন্নতপ্রণালীতে উৎপন্ন রগুন উক্ত দেশের বাজার সম্পূর্ণ একচেটিয়া করিয়া লয় তখন ফরিদপুরের রগুন ব্যবসায়ী হইতে রগুন-উৎপন্নকারী কৃষকের यौविक नहे श्ध्न योग्न । क्लशक ना शाझेब्रां भग्न, बारुणाग्रैौ দেউলিয়া হয়, মহাজন স্বদ পায় না, জমিদার খাজনা পায় না। মহাজন, জমিদার মাছ কিনিতে পারে না, অতএব মৎস্তব্যবসায়ী নষ্ট হইয়া যায়, কাপড় কিনিতে পারে না, অতএব বস্ত্রব্যবসায়ী নষ্ট হইয়া যায়। আমাদের দেশের বিরাট মূখর্তার পরিচায়ক একটি প্রবাদ আছে, আদার ব্যাপারীকে জাহাজের খবর লইতে নাই। আমি নিবেদন করি, জাহাজের খোজ লয় নাই বলিয়াই আজ আদার ব্যাপারী মরিতে বসিয়াছে এবং সঙ্গে সঙ্গে আমরা সকলে সহমরণে যাইতেছি। আজ আদার ব্যাপারীকে কেবল জাহাজের সংবাদ নয় দেশবিদেশের উৎপন্ন প্রব্যের মূল্যের সংবাদ লইতে হইবে। কৃষিতত্ত্ববিদের সহিত, কৃষকের সহিত ব্যবসামীর, ব্যবসায়ীর সহিত অর্থনীতিজ্ঞের ঘনিষ্ঠ যোগ স্থাপন করিতে হইবে। কিন্তু একা এ কাজ সম্ভব নহে বলিয়াই সঙ্ঘ গঠন করাই এখন প্রধান কৰ্ত্তব্য বলিয়া মনে করিতেছি। জমিদারেরও এখানে যথেষ্ট কৰ্ত্তব্য আছে, তাহারও এই সঙ্ঘে যোগদান করা উচিত। মনে রাখিবেন আমাদের উন্নতির প্রধান অন্তরায় আমাদের মনের জড়তা এবং অজ্ঞানতা। যদি এই মানসিক জড়তা দূর না হয়, যদি জগতের ব্যবসায়ের নূতন পদ্ধতি আয়ত্ত করিতে না পারি, তবে আমাদিগকে কেহই রক্ষা করিতে পারিবে না। একদিন রেশমের চাষ ছিল, উদ্যোগের অভাবে অন্যদেশ সে ব্যবসায় কাড়িয়া লইল । নীল আসিল, তাহাও উঠিয়া গেল। পাটও যাইবার মধ্যে। আখ লইয়া চেষ্টা চলিতেছে। কিন্তু সনাতন পদ্ধতিতে সৰ্ব্বনাশকে ঠেকাইয়া রাখা চলিবে না। সঙ্গবন্ধতার প্রয়োজন রহিয়াছে। সঙ্ঘবদ্ধতার প্রয়োজন সম্বন্ধে দু-একটা কথা বলিয়া আমি এই প্রসঙ্গ শেষ করিব। সঙ্গা প্রতিষ্ঠা যে কেবল বাংলার বৰলুীর পক্ষেই প্রয়োজন এমন নয়। বৰজ্ঞ ইউরোপ আমেরিকা, জাপান প্রভৃতি ব্যবসায়শিল্পে উন্নততর দেশে ব্যবসায়-ক্ষেত্রে বাঙালী L আজও সঙ্ঘস্থটির প্রয়োজন প্রচারিত হইতেছে। ইংলও, ফ্রান্স, জাৰ্শ্বেনী প্রভৃতি দেশে ব্যবসায়ী কারখানার মালিকের পক্ষে সজ্যভুক্ত হওয়া অনিবার্ষ্য হইয়া পড়িআছে। এই সকল দেশে ব্যবসায়শিল্প এখন ব্যাপকভাবে সম্ভব কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হইতেছে বলিয়াই দ্রুতগতি উন্নতির পথে অগ্রসর হইয়া আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অনান্য দেশকে অতিক্রম করিয়া যাইতেছে। ইদানীং ইংলণ্ডে ব্যালফোর কমিটি তাহাদের বিবরণীতে এ-বিষয়ে যে অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন তাহা বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। ইউরোপের কতিপয় দেশে বিস্তৃত সজ্ঞানিয়ন্ত্রণের কথা উল্লেখ করিয়া উক্ত কমিটি বলিয়াছেন,--“ইংলণ্ডের ব্যবসায় সঙ্গাগুলির মেম্বারের অপ্রাচুর্য্য ও তাহদের আর্থিক সংস্থানের অপ্রতুলতা তাহাদের কৰ্ম্মক্ষমতাকে দুর্বল করিয় রাখিয়াছে। আমরা আমাদের তদন্তে ব্যাপৃত থাকাকালীন ফ্রান্স এবং জাৰ্শেনীর সুনিয়ন্ত্রিত এবং বৃহৎ ব্যবসায় সঙ্ঘগুলির কার্যকলাপ যাহা লক্ষ্য করিয়াছি, তাহাতে আমাদের মনে কিঞ্চিং ঈর্ষার সঞ্চার করিয়াছে। এই দেশগুলিতে ব্যবসায়ী মাত্রেরষ্ট সঙ্গীভূক্ত না হইলে চলে না।" আজ ইংলণ্ডের মত ব্যবসায়শিল্পে অগ্রগণ্য দেশেও, তথায় ব্যবসায়ী সঙ্ঘ নিয়ন্ত্রণের যথেষ্ট ব্যবস্থা নাট বলিয়া ফ্রান্স ও জাৰ্শ্বেনীকে ঈর্ষা করিতেছে। ইহার পর ভারতবর্ষের মত দেশে ব্যবসায় সভ্য সংস্থাপনের আবশ্বকতা সম্বন্ধে বিস্তারিত যুক্তি প্রদর্শন করা নিম্প্রয়োজন। আমাদের দেশের ক্ষুদ্র কারবারগুলিকে এবং কুটিরশিল্পগুলিকে জাপানী প্রথা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ক্রয়বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের সহিত যুক্ত করিলে স্বফল হইতে পারে। ঐ প্রতিষ্ঠানগুলি ৰীেৰ কায়ারপে স্থাপিত হয় এবং উহার কাচা মাল সরবরাহ, উৎপন্ন স্নাদি একত্রে সংগ্ৰহ করিয়া থাকে এবং ক্রমবিক্রয় ইত্যাদি করিয়া ক্ষুত্র প্রতিষ্ঠানগুলির অর্থাভাবজনিত সমস্ত পূরণ করে। ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলি উহাদের নির্দেশমত বিভিন্ন প্রকারের এবং নির্দিষ্ট পরিমাণের দ্রব্যাদি প্রস্তুত করাতে পরম্পরের প্রতিযোগিতা এবং চাহিদার-অতিরিক্ত জিনিষ উৎপন্ন করিবার বিপদ হইতে উদ্ধার পায়। এইখানে আর একটি প্রসঙ্গের অবতারণ করা বিশেষ প্রয়োজন মনে করি । বাংলা দেশে বাঙালীর পরিচালিত প্রকৃত কমার্শিাল ব্যাঙ্ক একটিও নাই। ষে-কটি কমাশিয়াল ব্যাঙ্ক কাজ করিতেছে তাহাজের প্রায়