পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একলগী মসজিদ ও আদিনা মসজিদের কারুকায়া কানি। আবার মসজিদেরও অভাব নেই। বাইশ হাজারী এষ্টেটের একটা মসজিদ আছে । পীরসাহেব এখানে ধৰ্ম্মালোচনা করতেন। তাই তার কোরাণ, ঝাণ্ড, চামর যত্নে বেদীর উপর রাখা হয়েছে। এখানে যাত্রীদের থাকার বেশ বন্দোবস্ত আছে, খাবারটা বাদে । খাবার সঙ্গে না নিয়ে গেলে নাকাল হতে হবে। আদিনা মসজিদের সামনে ডাকবাঙলোয় থাকা চলে কিন্তু খাবার সঙ্গে থাক চাই। জঙ্গলে, জঙ্গলে বিস্তর পুকুর, শুধু যে এই পনর-বিশ মাইলের ভেতরেই সব সঞ্চিত আছে, তা নয়। যাটসত্তর মাইলের ভেতর অষ্টার নব নব স্বষ্টি ছড়িয়ে পড়েছে ! কাছেই কলিগাও বলে একটা গ্রাম আছে, সেখানকার মন্দির ও মসজিদ অতি চমৎকার। মসজিদটা আকারে খুব ছোট হ’লেও ষ্টাইলে করেছে মাখ। এর আগাগোড়া প্রত্যেকটি লাইন নিজের বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে চলেছে। এটা দেখে মনে হয় যেন জ্ঞানগরিমায় ভরপুর আত্মভোলা মাটির মানুষ। এ যেন খাদে-গাওয়া করুণ স্বরের সঙ্গীত। ছাংলা পড়েছে, গায়ে থেকে ইট খসে পড়েছে, জল গুযে গুণে সাংসোতে হয়ে রয়েছে ; কোন দিন বা ধ্বসে পড়বে। এই বহু যুগের বহু পুরাতন স্থষ্টিগুলি মানুষের চোখে নূতন ভাবে ধরা দিতেই আছে।