পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وهو مطا

  • যুধিষ্ঠির কি যেন বলিতে বাইতেছিল, দারোগাৰাৰু পায়ের জুতা দিয়া তাহাকে একটা ঠোকর মারিয়া বলিলেন, চুপ । জার কোন কথা না ।

তারপরে নগরবাসীর দিকে ফিরিয়া হাতের কতকগুলি গহনাপত্তর বাহির করিয়া বললেন, তোমার স্ত্রীর গান এসব ? আর তাকে একবার ডাক, সে এ-সব চিনতে পারে কি-না দেখা যাকৃ। উজ্জলা বহুপূৰ্ব্বেই দাওয়ায় আসিয়া দাড়াইয় ছিল। নগরবাসী ডাকিতেই সে উঠানে নামিয়া আসিল । যুধিষ্টির এমন সময়—চীৎকার করিয়া উঠিল, বৌদিগে— দারোগাবাবু খবরদার বলিয়া আর একটা ঠোক্কর মারিলেন। তারপরে গহনাগুলি উজ্জলাকে দেখাইয়া বলিলেন, এ গমনাগুলো চিনতে পার ? উজ্জলা একটুও বিচলিত না হইয়া বলিল, ই, এগুলো আমারষ্ট। দারোগাবাবু বলিলেন, এগুলো চুরি গেছে বলে থানায় তোমার স্বামী ডায়রী করে আসে ? উজ্জলা ত্রন্তে একবার স্বামীর দিকে চাহিয়া লইয়া বলিল, ন, চুরি যাবে কেন ? আমি নিজে থেকেই ঠাকুরপোকে দিয়েছিলাম ওগুলো বিক্রী করতে। দুৰ্ব্বংসর পড়ায় টাকাপয়সার টানাটানিতেই— নগরবাসী ক্ষিপ্তের মত বলিয়া উঠিল, না, মিথ্যে কথা দারোগাসাহেব, সব মিথ্যে কথা। ওকে বাচাঁবার জন্তে এসব কথা ওর। মেয়েমানুষ— কান্না দেখলেই গলে যায় একেবারে। জোচ্চোর যুধিষ্ঠির জেল খেটে আমুক দু’পাচ:বছর। তাই আমি চাই। পাপের ওর উচিত শাস্তি হোক। . উজ্জলা আরও দৃঢ় হইয়া উঠিল। বলিল, কেন মিথ্যে । ঠাকুরপোকে চোর অপবাদ দিচ্ছ ? তুমি তো এসবের কিছুই ৫: সেবামা ; SKo8O খোজ রাখে না। আমার হাত দিয়ে যা হয়েচে আমাকেই তা বলতে দাও । নগরবাসী বিস্ময়ে স্তম্ভিত হইয়া গেল। এ উজ্জলার হইয়াছে কি ? একটা পাযণ্ডের কাল্পায় হৃদয় তাহার গলিয়া গেল না-কি ? দারোগাবাবু সমস্তই বুঝিলেন। এ ব্যাপারের গলদ যে কোথায় তাহা তাহার এত কালের অভিজ্ঞতায় সহজেই প্রতীয়মান হইল। মৃদ্ধ একটু হাসিয়া শেষে নগরবাসীকে বলিলেন, আর কেন নগরবাসী, অনেক রঙ্গই তো এ-পর্যন্ত হলো। তারপরে চৌকিদারদের যুধিষ্ঠিরের হাতের রজু-বন্ধন খুলিয়া দিতে বলিলেন। যুধিষ্ঠিরের বন্ধন খুলিয়া দেওয়ার পরেও সে স্তম্ভিত হইয় সেখানে বসিয়া রহিল। - সকলে বিদায় লইয়া চলিয়া গেলে যুধিষ্ঠির সহসা উজ্জ্বলার দুই পা সবলে আঁকড়াইয়া ধরিয়া কাদিয়া ফেলিয়া বলিল, আমাকে কেন বঁাচাতে গেলে বৌদি ? আমি জেল থেটে আসতাম সেই আমার ভাল হত। উজ্জলা অতি কষ্টে, যুধিষ্ঠিরের কাল্প দেখিয়া অশ্র সংবরণ করিয়া বলিল, না, সে ভাল হত না । আমাকে তবে তুমি কোনদিনই চিনতে না। যুধিষ্ঠির আর কিছুই বলিতে পারিল না, নিজের উপর একান্ত ঘৃণায় শুধু উজ্জলার পা দুইটির উপরে মাথা ফুটিয়া মরিতে লাগিল । फेब्झण बजिण, चा, ७ु| अिङ्कब्रण। भांश्व कि फूल কখনও করে না জীবনে ? যুধিষ্ঠির তথাপি উজ্জলার পা ছাড়িল না। বলিল করে, করে, কিন্তু তার শান্তি এ নম্ব— ‘