পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] চলিতে থাকে। এবং বিরাট অয়োজনের ফলে দেড় লক্ষ স্বসজ্জিত সৈন্ত মেলিল দুর্গ জয় করিবার জন্ত প্রেরিত হয়। কিন্তু স্পেনের এমনই দুর্ভাগ্য যে সমস্ত আয়োজন ব্যর্থ করিয়া প্রায় দশ সহস্র সৈন্ত ক্ষয় করিয়া অভিযান ফিরিয়া আসে। স্পেন-সরকারের এই শক্তিক্ষয়ে কুযোগ বুঝির ক্যাটালোনিয়া প্রদেশের অধিবাণীবৰ্গ মাথা নাড়া দিতে আরম্ভ করে । ক্যাটালোনিয়া-প্রদেশবাসীগণ স্পেনের শাসনপাশ হইতে মুক্ত হইয়া স্বাধীন শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করিবার প্রয়াস অনেক দিন হইতেই করিয়া আসিয়াছে , বৈবাজ্যবাদ (anarchism ) এ প্রদেশে অনেক দিন হইতেই বেশ প্রভাব বিস্তার করিয়ছে। বাসি লোনা সহর বৈরাজ্যবাদীদের একটি প্রধান আস্তান । তাই বাদি লোন অঞ্চলে সরকার-পক্ষের সহিত ইহাদের দাঙ্গ হtaাম৷ অনেকবারই হইয়া গিয়াছে । অকৰ্ম্মণ্য মন্ত্রীসভার কৰ্ম্মকুশলতার অভাব দেখিয় বৈরাজ্যবাদীগণ নিজেদের স্বর্থসিদ্ধির জন্য কjiট|লোনীয়া-বাসীগণকে স্পেনের সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া স্বরাষ্ট্ৰ হইতে উৎসাহিত করিতে লাগিলেন। ঘরে ও বাহিরে স্পেনের এই অসীম দুৰ্গতি কৰ্ম্মীব দ্য-রিভেরাধ প্রাণে আঘাত করে । শক্তিধর পুরসের যথেচ্ছ শাসনের দ্বারাই স্পেনের বর্তমান অবস্থার একমাত্র প্রতিকার সম্ভবপর বিবেচনা করিয়| দ্য-রিভের ৭েইরূপ শাসন-ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করিয়াছেন । র্তাহাব এই বিদ্রোহ সম্রাটের বিবাদ্ধে নহে । কেবলমাত্র বর্ধমান মন্ত্ৰীসভাকে দুব করিয়া দিয়া শাসনভার শক্তিধব পুরুষদিগের এক পরিচালনা-সমিতির ( directory ) হস্তে সম্পূর্ণভাবে গুস্ত করিয়া দেওয়াই এই বিদ্রোহে মুখ্য উদেখা । দ্য-রিভের বলেন সে বৈরাজ্যবাদী এবং মুক্তিকামীদিগকে দমন কব পরিচালকগণের সৰ্ব্বপ্রধান লক্ষ্য । অtহার পর মরক্কোতে আপনার মর্যাদার প্রতিষ্ঠা করা ইষ্টদের কৰ্ত্তব্য । জাতীয় অহঙ্কাব অটুট রাগিয়া যথাসম্ভব মরক্কোর যুদ্ধ বিগ্ৰহ হইতে স্পেনকে সরিয়া পডিতে হইবে । যুদ্ধের অসম্ভব ব্যয় বহন কর রাজস্বের বইমান অবস্থায় স্পেনের পক্ষে সম্ভব নহে । দ্য-রিভেরার কৰ্ম্মক্ষমতায় মুগ্ধ হইয়। স্পেনের সামরিক বিভাগ দ্য-প্লিভেরার পক্ষ অবলম্বন কবিয়াছেন । বিপদ গণিয মন্ত্ৰীসভা পদত্যাগ করিয়াছেন ও সম্রাটু অ্যালফোনসো দ্য রিভেরাকে মন্ত্ৰীসভা গঠন করিতে আহবান করিয়াছেন । কিন্তু বর্ধমান গণসভাকে মানিয়া চলিতে বা আইন-পরিষদের হুকুম মানিতে দ্য রিভের রাজী নহেন। সেইজস্ব মন্ত্ৰীসভা গঠন করিতে দ্য রিভের সন্মত হন নাই । চলের মতকে ছিন্ন করিয়া যতদিন পর্য্যস্ত না স্বাধীনমত আত্মবিকাশ করিতে সমর্থ হইবে ততদিন শাসন-পরিষদ ও আইন-মজলিস উঠাইয়া দিয়৷ শক্তিশালী পুরুষদিগকে বাছাই করিয়| দ্য রিভের এক পরিচালকমণ্ডলী ( directory ) গঠন করিয়া দেশশাসনের ভার নিজহস্তে গ্রহণ কপ্লিবেন । সম্রাটু দ্য-রিভেরীর প্রস্তাবে সন্মত হইয়াছেন এবং দেশবাসীর বিরুদ্ধাচরণ রোধ করিবাব জস্য সামবিক অইন জারি করিবার হুকুমনাম সহি করিয়াছেন । সামরিক আইনের বলে বিরুদ্ধবাদীদিগকে দমন করিবার স্ববিধ দ্য রিভের লাভ করিলেন । শাসন-ক্ষমতা লাভ করিয়াই দ্য-রিভের জুয়া খেলা বন্ধ করিয়া এক হুকুমনাম। জারি করিয়াছেন এবং নানা প্রকার কঠোর বিধিব্যবস্থ৷ প্রণয়ন করিয়া দেশে শুঙ্খলা ও মুশাসন অনিবার প্রয়াস করিতেছেন । তুরস্কে নূভন শাসনতন্ত্ৰ— লোজান সন্ধিপত্র স্বাক্ষর হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই নবীন তুরঙ্গের শাসনপদ্ধতি লইয়। তুরস্কে একটা নুতন সমস্ত দেখা দিয়াছে। আঙ্গেরাসরকারের হুকুমে খলিফার রাষ্ট্রীয় ক্ষমত। লুপ্ত করিয়া ফ্রাহকে ইসলামধৰ্ম্ম দেশ-বিদেশের কথা—ভারতবর্ষ AeMAeAee AeS eeSAeMAMM AeMAMAMAMAeAeAAAASASASS • حاجیبی هخامنهای رهبری خبری ۹ জগতের গুরু করিয়াই যথন কেবল রাখিবার বন্দোবস্ত হইল তখন প্রয়োজনের চাপে রাষ্ট্রের নেতৃত্ব মুস্তফা কামালের উপর অর্পণ করা হইলেও কোনও বিধি অনুসারে আইনসঙ্গতভাবে ঠাহীর নির্বাচন হয় নাই। স্তামুল হইতে রাজধানী অ্যাঙ্গোরাতে সরাইয়া লওয়াও প্রজাবর্গের মত লইয়া হয় নাই । লোজান বৈঠকের পর যখন শাস্তি স্থাপিত হইল তখন আত্মরক্ষার অজুহাতে যে-সব ব্যবস্থা হইয়াছিল তাহা বজায় রাখিতে হইলে আইন মজলিসের সম্মতি প্রয়োজন হইয় পড়ে। মুস্তাফার দল নিয়মতন্ত্র প্রচলনের চেষ্টাই পাইয় আসিয়াছেন। কাজে-কাজেই পূৰ্ব্বে কাজগুলিকে আইন মজলিসের নিকট হইতে মঞ্জর করাইয় লওয়া দরকার হইল। তুরস্কের শাসনতন্ত্র সাধারণতন্ত্র অনুসারে পরিচালিত হইবে বলিয়৷ আইন-মল্প লিস ঘোষণা করিয়াছেন এবং মুস্তাফা কামাল পাশা প্রথম সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছেন। রাজধানী কোথায় হইবে এখনও স্থির হয় নাই । ধাৰ্ম্মিক মুসলমানের স্তম্বুলেই রাজধানী রাগিবীব জন্য ইচ্ছুক কিন্তু জাতীয় দল রাষ্ট্রনীতিক ও সামরিক স্ববিধার দিক হইতে অ্যাঙ্গেীরাতেই রাজধানী স্থাপনের জন্য বদ্ধপরিকর। শীঘ্রই এ সম্বন্ধে একটি শেষ মীমাংসা হইবে। এতদিন পয্যন্ত তুরস্ক রাজ্যে ধর্মগুস্ত্রের (theocracyর ) প্রভাবই বেশী ছিল, মুস্তাফা কামালেব সাধনায় তাহ রাষ্ট্ৰতন্ত্রে পরিণত হইল । শ্ৰী প্রভাত চন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় ভারতবর্ষ দিল্লীর কংগ্রেস– গত ১৫ই সেপ্টেম্বৰ দিল্লীতে স্পেশাল কংগ্রেসের অধিবেশন হইয়। গিয়াছে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ সভাপতিত্ব আসন গ্রহণ করিয়াছিলেন । অভিভাষণে তিনি বলিয়ছেন –"কংগ্রেস এখন আর কেবলমাত্র আমলা-তন্ত্রের অন্তীয় কীয্যের প্রতিবাদ করিয়াই নিশ্চিন্ত হইয়া নাই –লে শাসন-তন্ত্রের বিরুদ্ধে সমস্ত শক্তি নিয়োগ করিতে চেষ্টা করিতেছে । কেবল মাত্র নিজের নহে, সমগ্র পাশ্চাত্য জাতির দাসত্ব-মোচনের চেষ্টtয ভারতকে যোগদান করিতে হইবে । খেলাফতের অন্দোলনে যোগদান করায় ভারতবর্ধেরও উপকার হইয়াছে । তাহতে ভারতবাসীব মনেও স্বাধীনতার অী কাঙক্ষা জাগিয়াছে। জাতীয় সংগ্রামে জয়লাভ করিবাব পক্ষে অসহযোগি তাই শেঠ অস্থ । এই অসহযোগ-নীতির ফলেই দেশের লোকের চোখ ফুটিয়াছে—আইনআদালতের হুমকিকে দেশের লোকে এখন আর তেমন ভয় করে না । "কাউন্সিল প্রবেশ-সম্পর্কে মতভেদ লইয়া যথেষ্ট শক্তির অপব্যয় হইয়াছে। গয় কংগ্রেসেব পপ যদি সকলে মিলিয় একযোগে কাজ করিতেন তাই। হইলে ব ওমান বিরোধ ঘটিত না । বৰ্ত্তমান অবস্থায় কাউন্সিল বজ্জন বৃথা । এখন কাউন্সিলে প্রবেশ করিয়া কাউন্সিলগুলিকে অসহযোগের উপকরণ হিসাবে ব্যবস্থার করিতে হইবে। কাউন্সিলের ভিতরে ও বাহিবে কাজ চালাইলীর ভীর নিখিল-ভারতকংগ্রেস-কমিটিকে নিজের হাতে লইতে হইবে। হিন্দু-মুসলমানের একতা ব্যতিরেকে ভারতের স্বাধীনতা লাভ স্বপ্নের মতই অলীক বলিয়। মনে হয় । আমি ঈশ্বলের নামে আপনাদিগকে বলিতেছি, আপনার এইপানেই ঠিক করুন- ভবিতবাণী তাছার মুক্তির শেষ আশাটুকু বঁচাইয়। রাগিলে, ন সাহাবানপুর ও আগ্রাব রক্তাল্পত মৃত্তিকায় তাঙ্ক বিসর্জন দিবে। ১৯১২ সালে মুসলমানদে । রাজনীতিক্ষেত্র হইতে দুর সরিয়া থাক। আমি যেমন সমর্থন করি নাই, এখনও তেমনি