পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8や2 বাইরে থেকে যারা কাছাকাছি, ভিতরের থেকে তাদের যদি ভেদ ঘটুল, তাহলে ঐ ভেদটাই হল মূল বিপদ । যতক্ষশ্ব সেটা আছে, ততক্ষণ ইন্দ্রদেবের বজ্রকে, উনপঞ্চাশ পবনের চপেটাঘাতকে, বৈধ বা অবৈধ আন্দোলনের দ্বারা দমন করবার চেষ্টা করে ঝড়ের আন্দোলন কিছুতেই থামানো যায় না । আমরা যখন বলি স্বাধীনতা চাই, তখন কি চাই সেটা ভেবে দেখা চাই। মানুষ যেখানে সম্পূর্ণ একলা, সেইখানে সে সম্পূর্ণ স্বাধীন। সেখানে তার কারো সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ নেই, কারে কাছে কোনো দায়িত্ব নেই, কারো প্রতি কোনো নির্ভর নেই, সেখানে তার স্বাতন্ত্র্যে লেশমাত্র হস্তক্ষেপ করবার কোনো মাহুষই নেই। কিন্তু মাহুষ এ স্বাধীনতা কেবল যে চায় না, তা নয় ; পেলে বিষম দুঃখ বোধ করে। রবিনসন ক্রুসো তার জনহীন দ্বীপে যতখন একেবারে একলা ছিল ততখন সে একেবারে স্বাধীন ছিল। যখনই ফ্রাইডে এল তখনই তার সেই একান্ত স্বাধীনতা চলে গেল । তখন ফ্রাইডের সঙ্গে তার একটা পরস্পর সম্বন্ধ বেধে গেল । সম্বন্ধ মাত্রেই অধীনত । এমন কি, প্রভূভূত্যের সম্বন্ধে প্রভুও ভূত্যের অধীন। কিন্তু রবিনসন ক্রুসো ফ্রাইডের সঙ্গে পরস্পর-দায়িত্বে জড়িত হয়েও নিজের স্বাধীনতার ক্ষতিজনিত দুঃখ কেন বোধ করে নি ? কেননা, তাষ্ট্রের সম্বন্ধের মধ্যে ভেদের বাধা ছিল না । সম্বন্ধের মধ্যে ভেদ আসে কোথায় ? যেখানে অবিশ্বাস আসে, ভয় আসে, যেখানে উভয়ে উভয়কে ঠকিয়ে জিততে চায়, যেখানে উভয়ের সঙ্গে উভয়ের ব্যবহারে সহজভাব থাকে না । ফ্রাইডে যদি হিংস্ৰ বৰ্ব্বর অবিশ্বাসী হ’ত, তাহলে তার সম্বন্ধে রবিনসন ক্রুসোর স্বাধীনতা নষ্ট হত। যার সঙ্গে আমার সম্বন্ধের পূর্ণতা নেই, অর্থাৎ যার প্রতি আমি উদাসীন, সে আমাকে টেনে রাখে না, কিন্তু তাই বলেই যে তারই সম্পর্কে আমি স্বাধীনতার যথার্থ আনন্দ ভোগ করি তা নয়। যার সঙ্গে আমার সম্বন্ধের পূর্ণতা, যে আমার পরম বন্ধু, সুতরাং য়ে আমাকে বাধে, আমার চিত্ত তারই সম্বন্ধের মধ্যে স্বাধীনতা পায়, কোনো বাধা পায় না। যে স্বাধীনতা সম্বন্ধহীনতায়, সেটা নেতিস্থচক, সেই শূন্তত প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩০ . SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAAAASAASAASAASAASAAMMS MAMMAMMMMAAASAAAA [ २७° छांग, २घ्न थ७ ്നു. --സസ്സസസ خمینیمه মুলক স্বাধীনতায় মানুষকে পীড়া দেয়। এর কারণ হচ্চে, অসম্বন্ধ মাছুয় সত্য নয়, অঙ্কের সঙ্গে, সকলের সঙ্গে সম্বন্ধের ভিতর দিখেই সে নিজের সত্যত উপলব্ধি করে। এই সত্যত উপলব্ধির বাধায় অর্থাৎ • সম্বন্ধের ভেদে, অসম্পূর্ণতায়, বিকৃতিতেই তার স্বাধীনতার বাধা। কেননা, ইতিস্থচক স্বাধীনতাই মানুষের যথার্থ স্বাধীনতা । মানুষের গার্হস্থ্যের মধ্যে বা রাজ্যের মধ্যে বিপ্লব বাধে কথন, না, যখন পরস্পরের সহজ সম্বন্ধের বিপৰ্য্যয় ঘটে । যখন ভাইদের মধ্যে সন্দেহ বা ঈর্ষ বা লোভ প্রবেশ করে তাদের সম্বন্ধকে পীড়িত করতে থাকে, তখন তারা পরস্পরের মধ্যে বাধা পায়, কেবলি ঠোকর খেয়ে খেয়ে পড়ে, তাদের জীবনযাত্রার প্রবাহ পদে পদে প্রতিহত হয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তখন পরিবারে বিপ্লব ঘটে। রাষ্ট্রবিপ্লবও সম্বন্ধভেদের বিপ্লব। কারণ সম্বন্ধভেদেই অশান্তি, সেই অশাস্তিতেই স্বাধীনতার ক্ষতি। আমাদের ধৰ্ম্মসাধনাতেও কোন মুক্তিকে মুক্তি বলে? যে মুক্তিতে অহঙ্কার দূর করে দিয়ে বিশ্বের সঙ্গে চিত্তের পূর্ণ যোগ সাধন করে। তার কারণ, বিশ্বের সঙ্গে যোগেই মানুষ সত্য—এইজন্যে সেই সত্যের মধ্যেই মানুষ যথার্থ স্বাধীনতা পায়। আমরা একান্ত স্বাধীনতার শূন্ততাকে চাইনে, আমরা ভেদ ঘুচিয়ে দিয়ে সম্বন্ধের পরিপূর্ণতাকে চাই, তাকেই বলি মুক্তি। যখন দেশের স্বাধীনত চাই, তখন নেতিস্থচক স্বাধীনতা চাইনে, তখন দেশের সকল লোকের সঙ্গে সম্বন্ধকে যথাসম্ভব সত্য ও বাধামুক্ত করতে চাই। সেটা হয় ভেদের কারণ দূর করে দিয়ে, কিন্তু সে কারণ ভিতরেও থাকৃতে পারে, বাইরেও থাকৃতে পারে। আমরা পশ্চিমের ইতিহাসে পড়েচি, সেখানকার লোকের স্বাধীনতা চাই বলে’ প্রায় মাঝে মাঝে কোলাহল তুলেচে । আমরাও সেই কোলাহলের অনুকরণ করি, আমরাও বলি আমরা স্বাধীনত চাই। আমাদের এই কথাটি স্পষ্ট করে বুঝতে হবে যে যুরোপ যখন বলেচে স্বাধীনতা চাই তখন বিশেষ অবস্থায় বিশেষ কারণে তার সমাজ-দেহের মধ্যে ভেদের দুঃখ ঘটেছিল— সমাজবৰ্ত্তী লোকদের মধ্যে কোনো-না-কোনো বিষয়ে কোনো-না-কোনো আকারে সম্বন্ধের বিচ্ছেদ বা বিকৃতি