পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

るひぐり সমকক্ষ না হয়ে উঠলে সমকক্ষের ব্যবহার পাওয়া যায় না। এই কারণেই মহাত্মাজি খুব একটা ঠেলা দিয়ে প্রজাপক্ষের শক্তিটাকে রাজপক্ষের অতুভবযোগ্য করে” তোলবার চেষ্টা করেচেন। উভয়পক্ষের মধ্যে আপোষনিম্পত্তিই তার লক্ষ্য ছিল । এই আপোষ-নিষ্পত্তি সবলদুৰ্ব্বলের একাত্ত ভেদ থাকূলে হতেই পারে না। আমরা যদি ধৰ্ম্মবলে রাজার সিংহাসনে ভূমিকম্প ঘটাতে পারতুম, তা হলে রাজার বাহুবল একটা ভালো রকম রফ করবার জন্যে আপনিই আমাদের ডাক পাড়ত। ভারতবর্ষে হিন্দুতে মুসলমানে প্রতিনিয়তই পরস্পর রফানিম্পত্তির কারণ ঘটুবে । অসমকক্ষত থাকূলে সে নিষ্পত্তি নিয়তই বিপত্তির আকার ধারণ করবে। ঝরণার জল পানের অধিকার নিয়ে একদা বাঘ ও মেযের মধ্যে একটা আপোষের কনফারেন্স বসেছিল । ঈশপের কথামালায় তার ইতিহাস আছে। উপসংহারে প্রবলতর চতুষ্পদটি তর্কের বিষয়টাকে কি রকম অত্যন্ত সরল করে এনেছিল সে-কথা সকলেরই জানা আছে। ভারতবর্ষের কল্যাণ যদি চাই তা হলে হিন্দুমুসলমানে কেবল যে মিলিত হতে হবে তা নয়, সমকক্ষ হতে হবে । সেই সমকক্ষতা তাল-ঠোকা পালোয়ানির ব্যক্তিগত সমকক্ষত নয়, উভয়পক্ষের সামাজিক শক্তির সমকক্ষতা । মালাবারে মোপ লাতে-হিন্দুতে যে কুৎসিত কাণ্ড ঘটেছিল সেটা ঘটেছিল খিলাফৎ-স্থত্রে হিন্দুমুসলমানের সন্ধির ভরা জোয়ারের মুখেই । ধে দুই পক্ষে বিরোধ তার সুদীর্ঘকাল থেকেই ধর্মের ব্যবহারকে নিত্য-ধৰ্ম্মনীতির বিরুদ্ধে প্রয়োগ করে এসেচে। নম্বুদ্রি ব্রাহ্মণের ধৰ্ম্ম মুসলমানকে ঘৃণা করেচে, মোপলা-মুসলমানের ধৰ্ম্ম নম্বুদ্রি ব্রাহ্মণকে অবজ্ঞা করেচে। আজ এই দুই পক্ষের কনগ্রেস্-মঞ্চঘটিত ভ্রাতৃভাবের জীর্ণ মসলার দ্বারা তাড়াতাড়ি অল্প কয়েক দিনের মধ্যে খুব মজবুং করে পোলিটিকাল সেতু বানাবার চেষ্টা বৃথা। অথচ আমরা বারবারই বলে আসূচি আমাদের সনাতন ধৰ্ম্ম যেমন আছে তেমনিই থাক, আমরা অবাস্তবকে দিয়েই বাস্তব ফল লাভ করব, তার পরে ফললাভ হলে আপনিই সমস্ত গলদ সংশোধন হয়ে যাবে। বাজিমাৎ করে দিয়ে তার পরে প্রবাসী-অগ্রহায়ণ , bరిరిe ASA SAMMAMMMMeeMMAMAMSAMMAM AM AMAM AeAMMMMAMMeAMMMMAM MAMMAM MM AMMS [ २७णं छांगें, ३$ थ७ AeAeSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS AAAAA AAAAMMSAMMSAASAASSAAAAAAS AAASASAAAAASAAAAMAAA AAASS চালের কথা ভাবব, আগে স্বরাট হব, তার পরে মানুষ হব । মালাবার-উৎপাত সম্বন্ধে এই ত গেল প্রথম কথা । তার পরে দ্বিতীয় কথা হচ্চে হিন্দুমুসলমানের অসমকক্ষতা । ডাক্তার মুঞ্জে এই উপদ্রবের বিবরণ আলোচনা করে দক্ষিণের হিন্দুসমাজগুরু শঙ্করাচার্ধ্যের কাছে একটি রিপোর্ট, পাঠিয়েচেন ; তাতে বলেচেন :– “The Hindus of Malabar are generally speaking mild and docile, and have come to entertain such a mortal fear of the Moplas that the moment any such trouble arises, the only way of escape the Hindus can think of, is to run for life leaving their children and womenfolk behind, to take care of themselves as best as they could, thinking perhaps honestly that if the Moplas attack them without any previous molestation, God, the Almighty and the Omniscient, is there to teach them a lesson and even to take a revenge on their behalf." ডাক্তার মুঞ্জের এ-কথাটির মানে হচ্চে এই যে হিন্দু ঐহিককে ঐহিকের নিয়মে ব্যবহার করতে অভ্যেস করেনি, সে নিতো অনিত্যে খিচুড়ি পাকিয়ে বুদ্ধিটাকে দিয়েচে জলে । বুদ্ধির জায়গায় বিধি, এবং আত্মশক্তির জায়গায় ভগবানকে দাড় করিয়ে দিয়ে এর আত্মাবমাননায় স্বয়ং ভগবানের অবমাননা করে বলেই দুঃখ পায়, সে কথা মনের জড়ত্ববশতই বোঝে না । ডাক্তার মুঞ্জের রিপোর্টের আরেকটা অংশে তিনি বলচেন, আটশে বৎসর আগে মালাবারের হিন্দু রাজা ব্রাহ্মণ-মন্ত্রীদের পরামর্শে র্তার রাজ্যে আরবদের বাসস্থাপনের জন্তে বিশেষভাবে সুবিধা করে দিয়েছিলেন । এমন কি, হিন্দুদের মুসলমান-করবার কাজে তিনি আরবদের এতদূর প্রশ্রয় দিয়েছিলেন যে তার আইন-মতে প্রত্যেক জেলে-পরিবার থেকে একজন হিন্দুকে মুসলমান হ’তেই হত । এর প্রধান কারণ ধৰ্ম্মপ্রাণ রাজা ও র্তার মন্ত্রীরা সমুদ্ৰ-যাত্রা ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ বলেই মেনে নিয়েছিলেন ; তাই, মালাবারের সমুদ্রতীরবর্তী রাজ্য রক্ষার ভার লেইসকল মুসলমানের হাতেই ছিল, সমুদ্রযাত্রার বৈধতা সম্বন্ধে যারা বৃদ্ধিকে মামৃত, মন্থকে মানত না । বুদ্ধিকে না মেনে অবুদ্ধিকে মানাই যাদের ধৰ্ম্ম, রাজাসনে বসে’ও